প্রানীকোষের শক্তির প্রধান উৎস কোনটি?
A
গ্লুকোজ
B
রাইবোজ
C
পাইরানোজ
D
রিবিউলোজ
উত্তরের বিবরণ
উ. গ্লুকোজ
-
গ্লুকোজ (Glucose) হলো প্রাণীকোষের শক্তির প্রধান উৎস এবং এটি একটি সরল মনোস্যাকারাইড চিনি।
-
কোষে কোষীয় শ্বসন (Cellular respiration) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্লুকোজ ভেঙে ATP (Adenosine Triphosphate) তৈরি হয়, যা কোষের প্রাথমিক শক্তি মুদ্রা হিসেবে কাজ করে।
-
প্রাণীরা খাদ্য থেকে গ্লুকোজ গ্রহণ করে এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজ গ্লাইকোজেন (Glycogen) আকারে যকৃত ও পেশিতে সঞ্চিত থাকে।
-
প্রয়োজনের সময় গ্লাইকোজেন ভেঙে পুনরায় গ্লুকোজ তৈরি হয় এবং শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
-
এছাড়া ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যামিনো অ্যাসিডের ভাঙন থেকেও গ্লুকোজ উৎপন্ন হতে পারে।
-
সুতরাং, গ্লুকোজ প্রাণীকোষের প্রাথমিক ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অণু, যা দেহের সব শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।

0
Updated: 1 day ago
প্রানীকোষের সিলিয়া বা ফ্লাজেলার ভিত্তিমুলে যুক্ত বর্তুলাকার অঙ্গাণুকে কি বলে?
Created: 12 hours ago
A
সাইটোপ্লাজমিক ফিলামেন্ট
B
মাইক্রোফিলামেন্ট
C
ম্যাক্রোফিলামেন্ট
D
ব্যাসাল গ্রানিউল
বেসাল বডি (Basal body) হলো এক ধরনের অর্গানেল, যা মূলত সিলিয়া (Cilia) এবং ফ্ল্যাজেলা (Flagella)-এর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি মূলত একটি পরিবর্তিত সেন্ট্রিওল (Modified centriole), যা মাইক্রোটিউবুলের নোঙর ও সংগঠক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
-
গঠন: বেসাল বডির গঠন সেন্ট্রিওলের মতো, যেখানে নয়টি ট্রিপলেট মাইক্রোটিউবুল থাকে, যা সিলিয়া বা ফ্ল্যাজেলার ভিতরের কাঠামো (axoneme)-এর সঙ্গে যুক্ত।
-
কাজ: এটি সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলার বৃদ্ধি, বিন্যাস এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা করে, ফলে কোষ চলাচল ও পরিবেশগত সাড়া প্রদানে সহায়তা করে।
-
অবস্থান: সাধারণত সিলিয়েটেড বা ফ্ল্যাজেলেটেড প্রোটোজোয়া, যেমন প্যারামেসিয়াম, এবং কিছু বহুকোষী প্রাণীর ইপিথেলিয়াল কোষে এটি পাওয়া যায়।

0
Updated: 12 hours ago
Paramecium-এ কোন্ অঙ্গাণুটি পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী?
Created: 1 day ago
A
মাইটোকন্ড্রিয়া
B
সংকোচনশীল গহবর
C
নিউক্লিয়াস
D
এন্ডোপ্লাজমিক ঝিল্লি।
Paramecium-এ পানির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি বিশেষ অঙ্গাণু থাকে, যাকে কনট্রাকটাইল ভ্যাকিউল (Contractile Vacuole) বলা হয়। এই ভ্যাকিউল অতিরিক্ত পানি কোষের বাইরে নির্গত করে কোষের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে স্থিতিশীল রাখে। এটি প্যারামিসিয়ামের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অসমোস নিয়ন্ত্রণকারী (osmoregulatory) অঙ্গাণু।
-
অবস্থান ও সংখ্যা: সাধারণত প্যারামিসিয়ামে দুটি কনট্রাকটাইল ভ্যাকিউল থাকে—একটি কোষের সামনের দিকে এবং অন্যটি পেছনের দিকে।
-
কার্যপ্রণালি: পানিতে দ্রবীভূত পদার্থের ঘনত্বের পার্থক্যের কারণে পানি ক্রমাগত কোষে প্রবেশ করে; এই অতিরিক্ত পানি ভ্যাকিউলে জমা হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর ভ্যাকিউল সংকুচিত হয়ে তা কোষের বাইরে বের করে দেয়।
-
গুরুত্ব: এটি কোষের অভ্যন্তরীণ অস্মোটিক চাপ (osmotic pressure) বা পানি ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে কোষ ফেটে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
-
জীববৈজ্ঞানিক তাৎপর্য: মিঠা পানির এককোষী প্রাণী হিসেবে প্যারামিসিয়ামকে হাইপোটনিক পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করে, যা তার শারীরবৃত্তীয় স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago
কোষের সাইটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান অজীব বস্তুকে বলা হয়?
Created: 1 day ago
A
প্লাজমোজেল
B
অরগানয়ডস
C
লাইসোজোম
D
প্যারাপ্লাজম
উ. প্যারাপ্লাজম
-
প্যারাপ্লাজম (Paraplasm) হলো সাইটোপ্লাজমের নির্জীব বা অজৈব উপাদান, যেমন চর্বির ফোঁটা, কুসুম দানা বা সঞ্চিত পদার্থ।
-
এটি মূলত কোষের প্রোটোপ্লাজমের বাইরের স্তর বা অক্রিয় অংশ বোঝাতে ব্যবহৃত একটি পুরোনো শব্দ।
-
আধুনিক কোষ জীববিজ্ঞানে এই শব্দটি প্রায় পরিত্যক্ত এবং এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট শব্দ যেমন পেরিপ্লাজম (Periplasm) বা নিউক্লিওপ্লাজম (Nucleoplasm) ব্যবহার করা হয়।
-
পেরিপ্লাজম (Periplasm): ব্যাকটেরিয়ার ভেতরের ও বাইরের ঝিল্লির মধ্যবর্তী স্থান, যেখানে প্রোটিন ও পেপটিডোগ্লাইক্যান থাকে।
-
নিউক্লিওপ্লাজম (Nucleoplasm): ইউক্যারিওটিক কোষের নিউক্লিয়াসের ভেতরের তরল পদার্থ, যেখানে ক্রোমাটিন ও নিউক্লিওলাস অবস্থান করে।
-
শব্দ উৎপত্তি: “প্যারা–” (পাশে) এবং গ্রীক শব্দ “প্লাজম” (ঢালাই করা পদার্থ) থেকে এসেছে, অর্থাৎ প্রোটোপ্লাজমের বাইরের বা পার্শ্ববর্তী অংশ।

0
Updated: 1 day ago