'মাইসির' অর্থ কী?
A
সুদ
B
ঘুষ
C
জুয়া
D
মদ
উত্তরের বিবরণ
‘মাইসির’ বা জুয়া ইসলামে এক ধরনের নিষিদ্ধ আর্থিক ও নৈতিক অনাচার, যা পরিশ্রম ছাড়া সম্পদ অর্জনের প্রবণতাকে বোঝায়। এটি সমাজে অন্যায়ভাবে সম্পদ হস্তান্তর ও বৈরিতা সৃষ্টি করে।
-
‘মাইসির’ (مَيْسِر) শব্দের অর্থ জুয়া বা ভাগ্যনির্ভর খেলা, যেখানে লাভ-ক্ষতি সম্পূর্ণভাবে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল।
-
এটি এসেছে আরবি ধাতু يَسَرَ থেকে, যার অর্থ সহজলাভ বা পরিশ্রম ছাড়া কিছু পাওয়া।
-
ইসলামী পরিভাষায় মাইসির এমন লেনদেন বা খেলাকে বোঝায়, যেখানে একজন লাভবান হয় এবং অন্যজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়— অর্থাৎ অন্যের ক্ষতির বিনিময়ে নিজের লাভ।
-
আল-কুরআনে মাইসিরকে নিষিদ্ধ ও শয়তানের কাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, কারণ এটি মানুষের মধ্যে বিরোধ, শত্রুতা ও নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করে।
-
ইসলামী দৃষ্টিতে বৈধ সম্পদ অর্জনের উপায় হলো পরিশ্রম, ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য ও হালাল শ্রম, ভাগ্যনির্ভর খেলা নয়।

0
Updated: 1 day ago
হিজরতের পর ইসলামের প্রথম সৃষ্ট সামাজিক বন্ধন কী নামে পরিচিত?
Created: 22 hours ago
A
মুয়াখাত (ভাই ভাই)
B
আখলাকী বন্ধন
C
মদিনা সনদ
D
বৈমাত্রেয় ভাই
হিজরতের পর ইসলামি সমাজে একটি নতুন সামাজিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়, যার মূল ভিত্তি ছিল মুহাজির ও আনসারদের ভ্রাতৃত্ব বা মুখাওয়াত। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় আগমনের পর মক্কার মুহাজির ও মদিনার আনসারদের মধ্যে এই ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেন, যা মুসলমানদের পারস্পরিক ঐক্য, সহানুভূতি ও সহযোগিতার দৃষ্টান্ত তৈরি করে।
-
মুখাওয়াত ছিল ইসলামের প্রথম সামাজিক বন্ধন, যা সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও সমতার ভিত্তি স্থাপন করে।
-
মদিনার আনসাররা মুহাজিরদের সহায়তা ও আশ্রয় দেন, ফলে তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
-
এই বন্ধনের মাধ্যমে মুসলিম সমাজে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
এটি পরবর্তীতে ইসলামি সমাজব্যবস্থার একটি মূল নীতি হিসেবে গণ্য হয়, যেখানে মুসলমানরা একে অপরের ভাই হিসেবে বিবেচিত।
-
মুখাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামী সমাজে জাতি, বংশ ও শ্রেণিবৈষম্য বিলুপ্ত হয়ে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে।

0
Updated: 22 hours ago
পবিত্র কুরআনের কোন সুরায় মৌমাছির কথা বলা আছে?
Created: 1 day ago
A
সূরা বাকারা
B
সূরা আন্ নাজম
C
সূরা আন্ নাহল
D
সূরা ইয়াসীন
পবিত্র কুরআনের ১৬তম সূরা ‘আন-নাহল’ (النحل) মানবজাতিকে আল্লাহর অনুগ্রহ, সৃষ্টির বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়। এই সূরার নামকরণ করা হয়েছে মৌমাছি (নাহল)-এর নামে, কারণ এতে মৌমাছির জীবনধারা ও কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমতা ও প্রজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে।
১. সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, এবং এতে আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের উল্লেখ রয়েছে।
২. ৬৮ ও ৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মৌমাছিকে নির্দেশ দেন, যাতে সে পাহাড়, গাছপালা ও মানুষের নির্মিত স্থানে ঘর তৈরি করে।
৩. এসব আয়াতে মৌমাছির অতুলনীয় কর্মদক্ষতা ও আল্লাহপ্রদত্ত প্রেরণার কথা বর্ণিত হয়েছে।
৪. মৌমাছির তৈরি মধুকে আল্লাহ “মানুষের জন্য নিরাময়” হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
৫. এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রাকৃতিক ব্যবস্থার মধ্যে তাঁর অসীম জ্ঞান ও পরিকল্পনা প্রতিফলিত হয়েছে।
৬. ‘আন-নাহল’ সূরা মানুষকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, চিন্তাশীলতা ও অনুধাবনের আহ্বান জানায়।
৭. মৌমাছির উদাহরণের মাধ্যমে সূরাটি শেখায় যে সুশৃঙ্খলতা, পরিশ্রম ও উপকারিতা আল্লাহপ্রদত্ত একটি গুণ।
৮. তাই এই সূরাকে প্রায়ই “আল্লাহর নিয়ামত ও সৃষ্টির জ্ঞানভিত্তিক সূরা” বলা হয়ে থাকে।

0
Updated: 1 day ago
আমর বিল্ মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার এর আসল উদ্দেশ্য কী?
Created: 22 hours ago
A
সমাজে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা
B
ভাল কাজে সহায়তা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা
C
যুদ্ধ করা
D
সেবা করা
‘আমর বিল্ মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার’ অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ — এটি ইসলামী সমাজব্যবস্থার একটি মৌলিক নীতি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সৎ কাজ উৎসাহিত হয় এবং অসৎ কাজ নিরুৎসাহিত হয়। এটি কেবল ব্যক্তিগত নৈতিকতার বিষয় নয়; বরং এটি সামাজিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
-
এর মাধ্যমে সমাজে সৎ নেতৃত্ব ও ন্যায়ভিত্তিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।
-
ইসলামে প্রত্যেক মুসলমানকে সাধ্যমতো ভালো কাজের নির্দেশ ও মন্দ কাজের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
-
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে (যেমন সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪ ও ১১০) এই নীতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
-
নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায় দেখেও তা পরিবর্তনের চেষ্টা করে না, তার ঈমান দুর্বল।
-
এই নীতি সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং ইসলামী আদর্শে গঠিত একটি সুবিচারপূর্ণ সমাজ নিশ্চিত করে।

0
Updated: 22 hours ago