সমানভাবে প্রতিশোধ নেওয়াকে আরবি ভাষায় কী বলে?
A
দিয়াত্
B
রজম
C
কিসাস্
D
লেয়ান
উত্তরের বিবরণ
‘আল-কিসাস’ (القصاص) শব্দের অর্থ হলো সমানভাবে প্রতিশোধ গ্রহণ করা, যা ইসলামী আইন অনুযায়ী ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-
কিসাস এমন এক নীতি, যেখানে অপরাধীর প্রতি যেমন ক্ষতি করা হয়েছে তেমন প্রতিশোধ নেওয়া হয়, অর্থাৎ প্রতিশোধে সীমা অতিক্রম করা নিষিদ্ধ।
-
এটি মূলত হত্যা বা শারীরিক আঘাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাতে সমাজে ন্যায় ও ভারসাম্য বজায় থাকে।
-
কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী, কিসাসের মাধ্যমে অন্যায়ের প্রতিদান ন্যায়সঙ্গতভাবে নির্ধারিত হয়।
-
এই বিধান সমাজে অপরাধ প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে।
-
তবে ইসলাম ক্ষমা ও দয়ার পথও উন্মুক্ত রেখেছে, যেখানে ভুক্তভোগী পক্ষ চাইলে অপরাধীকে ক্ষমা করতে বা ক্ষতিপূরণ নিতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
আল্লাহ্ কাকে জিবরাইল (আঃ)-এর মাধ্যমে সালাম দেন?
Created: 22 hours ago
A
হযরত আয়েশা (রাঃ)
B
হযরত খাদীজা (রাঃ)
C
হযরত ওমর (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিবরাইল (আ.) আগমন করেন, তখন তাঁর পাশে ছিলেন হজরত খাদিজা (রা.)। জিবরাইল (আ.) নবী করিম (সা.)-কে বললেন যে, আল্লাহ তায়ালা নিজেই খাদিজা (রা.)-কে সালাম পাঠিয়েছেন। এটি ছিল তাঁর প্রতি আল্লাহর বিশেষ সম্মান ও ভালোবাসার প্রকাশ।
-
হজরত খাদিজা (রা.) জবাবে বলেন, “ইন্নাল্লাহা হুয়াস সালাম, ওয়া আলা জিবরিলাস সালাম, ওয়া আলাইকাস সালাম, ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকুহ।”
-
এর অর্থ, “নিশ্চয় আল্লাহ সেই সত্তা যিনি সালাম ও শান্তির অধিকারী, জিবরাইলের ওপর সালাম, আপনার ওপরও সালাম ও আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।”
-
এই ঘটনা আল্লাহর প্রেরিত সালামের একমাত্র উদাহরণ হিসেবে ইসলামী ইতিহাসে বিখ্যাত।
-
এটি হজরত খাদিজা (রা.)-এর মর্যাদা, ঈমান, ও মহান চরিত্রের স্বীকৃতি প্রকাশ করে।
-
বুখারি ও নাসায়ি গ্রন্থে এই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়।
-
উল্লেখযোগ্য যে, হজরত আয়েশা (রা.)-কে জিবরাইল (আ.) নিজে সালাম দিয়েছেন, তবে আল্লাহ সরাসরি সালাম পাঠাননি, যা খাদিজা (রা.)-এর বিশেষত্বকে আরও স্পষ্ট করে।

0
Updated: 22 hours ago
হাবসার বাদশাহ নাজজাশীর সম্মুখে মুসলমানদের পক্ষ থেকে যে সাহাবী বক্তব্য রাখেন তাঁর নাম?
Created: 1 day ago
A
হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
B
হযরত জাফর ইবনে আবি তালিব (রাঃ)
C
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
D
হযরত বেলাল ইবনে রাবাহ (রাঃ)
হযরত জাফর ইবনে আবি তালিব (রা.) হাবশার বাদশাহ নাজাশীর দরবারে ইসলামের মূল শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর বক্তব্যে ইসলামের আগমনের আগে আরব সমাজের অজ্ঞতা ও পাপাচারের চিত্র যেমন ফুটে ওঠে, তেমনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনে সেই সমাজে ন্যায়, মানবতা ও একত্ববাদের আলোকপ্রাপ্তিও প্রকাশ পায়।
পয়েন্ট আকারে—
-
হযরত জাফর (রা.) বলেন, ইসলামের আগমনের আগে আরবরা ছিল অজ্ঞ ও মূর্খ জাতি, যারা মূর্তিপূজা করত এবং মৃতদের মাংস খেত।
-
তারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করত, প্রতিবেশীর প্রতি খারাপ আচরণ করত এবং সমাজে অন্যায় ছিল স্বাভাবিক বিষয়।
-
এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত নবী হিসেবে আগমন করেন, যিনি মানুষকে একত্ববাদ, সত্য, ন্যায়বিচার ও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার শিক্ষা দেন।
-
তিনি মানুষকে অন্যায়ের পরিবর্তে ন্যায়ের পথে, মূর্তিপূজার পরিবর্তে আল্লাহর উপাসনায়, আর বিদ্বেষের পরিবর্তে ভালোবাসা ও মানবিকতায় আহ্বান জানান।
-
জাফর (রা.)-এর এই যুক্তিগ্রাহ্য ও প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্য শুনে বাদশাহ নাজাশী ইসলামের শিক্ষা সম্পর্কে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং পরবর্তীতে মুসলমানদের আশ্রয় দেন।

0
Updated: 1 day ago
বদর যুদ্ধের পর মদিনার কোন্ ইহুদী গোত্রকে বহিষ্কার করা হয়?
Created: 22 hours ago
A
বানু কায়নুকা
B
বানু গাত্ফান
C
বানু নাসির
D
বানু কোরায়জা
বদর যুদ্ধের পর মদিনার বনু কায়নুকা ইহুদি গোত্রকে মদিনা থেকে বহিষ্কার করা হয়, কারণ তারা মদিনা সনদের শর্ত ভঙ্গ করেছিল। এক মুসলিম নারীর সম্ভ্রমহানি ঘটনার মাধ্যমে তারা মুসলমানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যার ফলস্বরূপ এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
-
বনু কায়নুকা ছিল মদিনার তিনটি প্রধান ইহুদি গোত্রের একটি।
-
তারা প্রথমেই মুসলমানদের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করে শত্রুতা প্রকাশ করে।
-
এক ইহুদি স্বর্ণকার এক মুসলিম নারীর বস্ত্র খুলে দিয়ে অপমান করলে ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
-
ফলস্বরূপ মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় এবং খলিফা মুহাম্মদ (সা.) তাদের মদিনা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।
-
এই ঘটনার পর বাকি ইহুদি গোত্রগুলোও মুসলমানদের প্রতি সতর্ক হয়ে যায়।

0
Updated: 22 hours ago