ইসরা বা মিরাজ কত খ্রিঃ অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
A
৬২১ খ্রিঃ
B
৬২২ খ্রিঃ
C
৬২৪ খ্রিঃ
D
৬২৩ খ্রিঃ
উত্তরের বিবরণ
ইসরা ও মিরাজ ইসলামের ইতিহাসে এক অলৌকিক ঘটনা, যেখানে নবী করিম (সা.)-কে এক রাতের মধ্যে মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সেখান থেকে সপ্তাকাশে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়। এটি ছিল তাঁর জন্য এক বিশেষ সম্মান ও মানবজাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
-
অধিকাংশ ইসলামিক ঐতিহাসিকের মতে, এই ঘটনা সংঘটিত হয় নবুয়তের ১১তম বছরে, অর্থাৎ ৬২১ খ্রিস্টাব্দে।
-
যদিও এর সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে—কেউ বলেন রজব মাসের ২৭ তারিখে, আবার কেউ বলেন অন্য কোনো সময়ে এটি সংঘটিত হয়েছিল।
-
‘ইসরা’ বলতে বোঝায় মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত রাত্রিকালীন সফর, আর ‘মিরাজ’ বলতে বোঝায় সেখান থেকে আকাশলোকে আরোহণ।
-
এই সফরে নবী করিম (সা.) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ লাভ করেন।
-
ইসরা ও মিরাজ মুসলমানদের জন্য ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর অসীম ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাকে অসাধারণভাবে সম্মানিত করেন এবং ঈমানদারদের জন্য চূড়ান্ত পুরস্কার আখিরাতে রয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
ইসলামের প্রথম শহীদ কে?
Created: 1 day ago
A
হযরত আম্মার
B
হযরত খুবাইর
C
হযরত হারিস
D
হযরত হানজালা
ইসলামের প্রথম শহীদদের মধ্যে পুরুষ ও নারীর পৃথক পরিচয় ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। হযরত হারিস ইবনে আবি হালা (রাঃ) ছিলেন ইসলামের পথে শহীদ হওয়া প্রথম পুরুষ সাহাবি, যিনি নবী করিম (সা.)-এর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। অপরদিকে, ইসলামের প্রথম শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এক সাহসী নারী, হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত (রাঃ)।
-
হযরত সুমাইয়া (রাঃ) ইসলামের শুরুতে মক্কায় নির্যাতিত মুসলিমদের অন্যতম ছিলেন।
-
তিনি ইসলামের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও অবিচল সাহসের কারণে আবু জাহলের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন।
-
তাঁর স্বামী ইয়াসির (রাঃ) ও পুত্র **আম্মার (রাঃ)**ও ইসলামের প্রথম যুগের নির্যাতিত সাহাবিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
-
হযরত সুমাইয়া (রাঃ)-এর শহীদত্ব প্রমাণ করে যে, নারীও ইসলামের পথে ত্যাগ ও সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
-
ইসলামের ইতিহাসে এই ঘটনা মুসলিম সমাজে ঈমান, ধৈর্য ও ত্যাগের এক অনুপ্রেরণামূলক নিদর্শন হিসেবে অমর হয়ে আছে।

0
Updated: 1 day ago
মহানবীর (সাঃ) মদিনায় প্রথম কোন্ মসজিদ নির্মাণ করেন?
Created: 22 hours ago
A
মসজিদে নববী
B
মসজিদে কুবা
C
মসজিদে নামিরা
D
মসজিদে দ্বিয়ার
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম প্রতিষ্ঠিত মসজিদ হলো মসজিদে কুবা। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের পর মদিনার উপকণ্ঠে এসে এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। এটি ছিল এমন একটি মসজিদ যা তাকওয়া ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল।
-
মসজিদে কুবা ইসলামের প্রথম নির্মিত ইবাদতগৃহ, যেখানে নবী করিম (সা.) নিজ হাতে ইট বসিয়েছিলেন।
-
এটি মদিনা শরিফের দক্ষিণে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
-
এই মসজিদ সম্পর্কে সুরা আত-তাওবা (আয়াত ১০৮)-এ আল্লাহ তাআলা প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে এটি তাকওয়ার ভিত্তিতে নির্মিত।
-
নবী করিম (সা.) প্রতি শনিবার এখানে এসে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন।
-
ইতিহাসে বলা হয়, এখানে নামাজ আদায় করা এক উমরাহ পালনের সমতুল্য সওয়াব অর্জনের মাধ্যম।
-
মসজিদে কুবা আজও মুসলমানদের জন্য পবিত্র স্থান ও ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে গুরুত্ব বহন করে।

0
Updated: 22 hours ago
ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম নিরাপত্তা করকে কী বলা হয়?
Created: 1 day ago
A
উশর
B
জিজিয়া
C
দিয়াত
D
খারাজ
জিযিয়া হলো ইসলামী শাসনব্যবস্থার একটি আর্থ-সামাজিক বিধান, যা অমুসলিম নাগরিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সংরক্ষণের নিশ্চয়তা দেয়।
-
জিযিয়া (الْجِزْيَةُ) অর্থ নির্ধারিত অর্থকর বা ট্যাক্স, যা ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম নাগরিকদের (আহলে জিম্মা) কাছ থেকে আদায় করা হয়।
-
এই করের বিনিময়ে তাদের জান-মাল, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
-
মুসলমানরা যেখানে যাকাত প্রদান করে, সেখানে অমুসলিম নাগরিকরা জিযিয়া প্রদান করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে।
-
জিযিয়া প্রদানের পর তারা ইসলামী রাষ্ট্রের সুরক্ষা ও প্রশাসনিক সুবিধা ভোগ করে, এবং তাদের ধর্মীয় আচারে কোনো বাধা দেওয়া হয় না।
-
ইসলামী ইতিহাসে এই বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ন্যায়বিচার, সহাবস্থান ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তার ভিত্তিতে।

0
Updated: 1 day ago