ইসলামী বীমা বা তাকাফুলের মূল সুবিধা-
A
সামাজিক নিরাপত্তা
B
সম্পদ সংরক্ষন
C
সামাজিক নিরাপত্তা ও পরস্পারিক সহায়তা
D
উত্তরের বিবরণ
ইসলামী বীমা বা তাকাফুল এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থা যা সামাজিক দায়িত্ববোধ, পারস্পরিক সহযোগিতা ও ন্যায্যতার নীতিতে প্রতিষ্ঠিত। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজে নিরাপত্তা সৃষ্টি করা এবং সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার বন্ধন জোরদার করা।
পয়েন্ট আকারে—
-
তাকাফুল শব্দটি আরবি “তাকাফুল” থেকে এসেছে, যার অর্থ পারস্পরিক সহযোগিতা বা দায়িত্ব ভাগাভাগি।
-
এতে অংশগ্রহণকারীরা একটি সম্মিলিত তহবিল গঠন করেন, যা থেকে সদস্যদের সম্ভাব্য ক্ষতি পূরণ করা হয়।
-
এটি প্রচলিত বীমার ইসলামী বিকল্প, যেখানে সুদ (রিবা), জুয়া (মায়সির) ও অনিশ্চয়তা (গারার) পরিহার করা হয়।
-
তাকাফুল ব্যবস্থা ভ্রাতৃত্ব, সংহতি, ন্যায়বিচার ও পরস্পর সহায়তার নীতির ওপর পরিচালিত হয়।
-
এতে লাভের উদ্দেশ্য নয়, বরং সমাজে নিরাপত্তা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য।
-
অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের ক্ষতির ভার ভাগাভাগি করে, ফলে এটি এক ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।
-
ইসলামী অর্থনীতিতে তাকাফুলকে নৈতিক ও শরিয়তসম্মত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আদর্শ পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
পিতা মাতার জন্য 'উফ বলোনা' আল কুরআনের কোন্ সূরায় বলা হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
সূরা আসর
B
সূরা ফুরকান
C
সূরা হজ্জ
D
সূরা বনী ইসরাইল
এই আয়াতটি আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস ও পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়। এতে মুসলমানদের জন্য আদর্শ আচরণ ও নৈতিক দায়িত্বের স্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।
-
আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে, অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহরই উপাসনা করা ঈমানের মূল ভিত্তি।
-
একই সঙ্গে বলা হয়েছে পিতা-মাতার সঙ্গে সদাচরণ করতে, কারণ তারা সন্তানদের জন্য কষ্ট সহ্য করেন এবং তাদের অধিকার আল্লাহর পরেই আসে।
-
যদি পিতা-মাতা বার্ধক্যে উপনীত হন, তখন তাদের প্রতি অধৈর্য বা বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না; এমনকি ‘উফ’ বলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
-
তাদেরকে ধমক না দেওয়ার আদেশ এসেছে, যাতে সন্তানরা তাদের প্রতি কঠোর আচরণ না করে।
-
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সম্মানজনক ও কোমল ভাষায় কথা বলার, যা আদব ও নম্রতার পরিচায়ক।
-
এই আয়াত মানুষকে শেখায় যে, আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি পিতা-মাতার সেবা ও সম্মানও ধর্মীয় কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।

0
Updated: 1 day ago
বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন কতজন সাক্ষী প্রয়োজন?
Created: 22 hours ago
A
দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী
B
দুইজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন নারী
C
একজন পুরুষ ও একজন নারী
D
একজন পুরুষ ও তিন জন নারী
বিবাহের আকদ বা চুক্তি ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যেখানে সাক্ষীর উপস্থিতি অপরিহার্য। কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী, সাক্ষী হিসেবে দুজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুজন নারী থাকা আবশ্যক। এতে চুক্তির স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
-
সূত্র: সুরা আল-বাকারা, আয়াত ২৮২—এ আয়াতে সাক্ষীর সংখ্যা ও শর্ত স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
বিয়ের সময় সাক্ষীরা প্রস্তাব (ইজাব) ও কবুল (কবুল) উভয় বক্তব্য শুনে উপস্থিত থাকতে হবে।
-
সাক্ষী হতে হবে বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন ব্যক্তি, যাতে পরবর্তীতে কোনো বিভ্রান্তি বা অস্বীকারের সুযোগ না থাকে।
-
ইসলামে সাক্ষীর উপস্থিতি বিবাহের বৈধতা ও সামাজিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করার একটি মূল শর্ত।
-
এই নিয়মের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার ও পারিবারিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং বিবাহ সম্পর্কের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

0
Updated: 22 hours ago
ইতিহাসে 'আমুল ফীল' কিসের জন্য বিখ্যাত?
Created: 22 hours ago
A
আবু তালেবের বিবাহের বছর হিসাবে
B
হযরত হামজা (রাঃ) এর জন্মের বছর হিসাবে
C
আবু সুফিয়ানের জন্মের বছর হিসাবে
D
রাসুল (সাঃ) এর জন্মের বছর হিসাবে
‘আমুল ফিল’ অর্থাৎ ‘হাতির বছর’ ইসলামি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নির্দেশ করে। এই বছরে ইয়েমেনের শাসক আব্রাহা কাবা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে হস্তীবাহিনীসহ মক্কার দিকে অগ্রসর হন। তবে আল্লাহ তাআলা তাঁর কুদরতে ছোট ছোট আবাবিল পাখি পাঠান, যারা পাথরের দ্বারা সেই বাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়।
-
এই ঘটনাটি ‘সুরা আল-ফিল’-এ বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
-
ঘটনাটি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত হয়।
-
একই বছরে রাসুলুল্লাহ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন, তাই এ বছরটি তাঁর জন্মবছর হিসেবে বিখ্যাত।
-
এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা কাবা শরিফের পবিত্রতা ও সংরক্ষণ স্বয়ং তাঁর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেন।
-
সূত্র: যাদুল মা‘আদ (১/৭৬) এবং সুবুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতে খাইরিল ইবাদ (১/৩৩৪–৩৩৫)।

0
Updated: 22 hours ago