পবিত্র কুরআনের কোন সুরায় মৌমাছির কথা বলা আছে?
A
সূরা বাকারা
B
সূরা আন্ নাজম
C
সূরা আন্ নাহল
D
সূরা ইয়াসীন
উত্তরের বিবরণ
পবিত্র কুরআনের ১৬তম সূরা ‘আন-নাহল’ (النحل) মানবজাতিকে আল্লাহর অনুগ্রহ, সৃষ্টির বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়। এই সূরার নামকরণ করা হয়েছে মৌমাছি (নাহল)-এর নামে, কারণ এতে মৌমাছির জীবনধারা ও কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমতা ও প্রজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে।
১. সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, এবং এতে আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের উল্লেখ রয়েছে।
২. ৬৮ ও ৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মৌমাছিকে নির্দেশ দেন, যাতে সে পাহাড়, গাছপালা ও মানুষের নির্মিত স্থানে ঘর তৈরি করে।
৩. এসব আয়াতে মৌমাছির অতুলনীয় কর্মদক্ষতা ও আল্লাহপ্রদত্ত প্রেরণার কথা বর্ণিত হয়েছে।
৪. মৌমাছির তৈরি মধুকে আল্লাহ “মানুষের জন্য নিরাময়” হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
৫. এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রাকৃতিক ব্যবস্থার মধ্যে তাঁর অসীম জ্ঞান ও পরিকল্পনা প্রতিফলিত হয়েছে।
৬. ‘আন-নাহল’ সূরা মানুষকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, চিন্তাশীলতা ও অনুধাবনের আহ্বান জানায়।
৭. মৌমাছির উদাহরণের মাধ্যমে সূরাটি শেখায় যে সুশৃঙ্খলতা, পরিশ্রম ও উপকারিতা আল্লাহপ্রদত্ত একটি গুণ।
৮. তাই এই সূরাকে প্রায়ই “আল্লাহর নিয়ামত ও সৃষ্টির জ্ঞানভিত্তিক সূরা” বলা হয়ে থাকে।

0
Updated: 1 day ago
'মাইসির' অর্থ কী?
Created: 1 day ago
A
সুদ
B
ঘুষ
C
জুয়া
D
মদ
‘মাইসির’ বা জুয়া ইসলামে এক ধরনের নিষিদ্ধ আর্থিক ও নৈতিক অনাচার, যা পরিশ্রম ছাড়া সম্পদ অর্জনের প্রবণতাকে বোঝায়। এটি সমাজে অন্যায়ভাবে সম্পদ হস্তান্তর ও বৈরিতা সৃষ্টি করে।
-
‘মাইসির’ (مَيْسِر) শব্দের অর্থ জুয়া বা ভাগ্যনির্ভর খেলা, যেখানে লাভ-ক্ষতি সম্পূর্ণভাবে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল।
-
এটি এসেছে আরবি ধাতু يَسَرَ থেকে, যার অর্থ সহজলাভ বা পরিশ্রম ছাড়া কিছু পাওয়া।
-
ইসলামী পরিভাষায় মাইসির এমন লেনদেন বা খেলাকে বোঝায়, যেখানে একজন লাভবান হয় এবং অন্যজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়— অর্থাৎ অন্যের ক্ষতির বিনিময়ে নিজের লাভ।
-
আল-কুরআনে মাইসিরকে নিষিদ্ধ ও শয়তানের কাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, কারণ এটি মানুষের মধ্যে বিরোধ, শত্রুতা ও নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করে।
-
ইসলামী দৃষ্টিতে বৈধ সম্পদ অর্জনের উপায় হলো পরিশ্রম, ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য ও হালাল শ্রম, ভাগ্যনির্ভর খেলা নয়।

0
Updated: 1 day ago
বিদায়ী হজ্জের ভাষণে কোন্ মৌলিক নীতির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে?
Created: 21 hours ago
A
যুদ্ধ কৌশল
B
যুদ্ধ বিলোপ
C
নারী অধিকার
D
মানবতার মর্যাদা ও ক্ষমতা
বিদায় হজের ভাষণ ছিল মানবতার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ মানবজাতির ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের নীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এটি শুধু ধর্মীয় নির্দেশ নয়, বরং সমগ্র মানবসমাজের জন্য এক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
মানুষের জীবন, সম্পদ ও মর্যাদা পবিত্র, এগুলোর প্রতি আঘাত বা অবমাননা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
-
জাতি, বর্ণ ও ভাষার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় কেবল তাকওয়া ও সৎকর্মের ভিত্তিতে।
-
নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়, যাতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সমাজে ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
সুদ, রক্তপাত ও অন্যায়ের সকল রূপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।
-
এই ভাষণ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন এক দলিল, যেখানে মানবতার মর্যাদা ও সমতার মূলনীতি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
ইতিহাসে 'আমুল ফীল' কিসের জন্য বিখ্যাত?
Created: 22 hours ago
A
আবু তালেবের বিবাহের বছর হিসাবে
B
হযরত হামজা (রাঃ) এর জন্মের বছর হিসাবে
C
আবু সুফিয়ানের জন্মের বছর হিসাবে
D
রাসুল (সাঃ) এর জন্মের বছর হিসাবে
‘আমুল ফিল’ অর্থাৎ ‘হাতির বছর’ ইসলামি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নির্দেশ করে। এই বছরে ইয়েমেনের শাসক আব্রাহা কাবা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে হস্তীবাহিনীসহ মক্কার দিকে অগ্রসর হন। তবে আল্লাহ তাআলা তাঁর কুদরতে ছোট ছোট আবাবিল পাখি পাঠান, যারা পাথরের দ্বারা সেই বাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়।
-
এই ঘটনাটি ‘সুরা আল-ফিল’-এ বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
-
ঘটনাটি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত হয়।
-
একই বছরে রাসুলুল্লাহ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন, তাই এ বছরটি তাঁর জন্মবছর হিসেবে বিখ্যাত।
-
এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা কাবা শরিফের পবিত্রতা ও সংরক্ষণ স্বয়ং তাঁর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেন।
-
সূত্র: যাদুল মা‘আদ (১/৭৬) এবং সুবুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতে খাইরিল ইবাদ (১/৩৩৪–৩৩৫)।

0
Updated: 22 hours ago