‘সমগ্র সৃষ্টিই আল্লাহর পরিজন' এটা কার উক্তি?
A
মহানবী (সাঃ)
B
আবু হানিফা
C
কুরআনের বাণী
D
হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উক্তি
উত্তরের বিবরণ
এই হাদীসটি মানবতা ও দয়ার প্রতি ইসলামের গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, যেখানে সমগ্র সৃষ্টিকে আল্লাহর পরিবারের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি, করুণা ও সদ্ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
-
হাদীসটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বাণী, যেখানে বলা হয়েছে: “الْخَلْقُ عِيَالُ اللَّهِ” অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহর পরিজন বা পরিবারের সদস্য।
-
এই হাদীসটি আনাস (রা.) ও আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত।
-
নবী করিম (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর পরিবারের প্রতি অনুগ্রহশীল ও দয়ালু।
-
এই বাণীর মূল শিক্ষা হলো— মানুষ হোক বা অন্য কোনো প্রাণী, প্রত্যেক সৃষ্টিই আল্লাহর সৃষ্টি, তাই তাদের প্রতি ভালোবাসা, সাহায্য ও সহমর্মিতা প্রদর্শন ইবাদতের অংশ।
-
এটি প্রমাণ করে যে, ইসলামে মানবসেবা, সামাজিক দয়া ও ন্যায়পরায়ণতা আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম উপায়।
-
হাদীসটি মুসলমানদের মনে সার্বজনীন কল্যাণ ও মানবিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার আহ্বান জানায়।

0
Updated: 1 day ago
আমর বিল্ মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার এর আসল উদ্দেশ্য কী?
Created: 22 hours ago
A
সমাজে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা
B
ভাল কাজে সহায়তা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা
C
যুদ্ধ করা
D
সেবা করা
‘আমর বিল্ মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার’ অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ — এটি ইসলামী সমাজব্যবস্থার একটি মৌলিক নীতি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সৎ কাজ উৎসাহিত হয় এবং অসৎ কাজ নিরুৎসাহিত হয়। এটি কেবল ব্যক্তিগত নৈতিকতার বিষয় নয়; বরং এটি সামাজিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
-
এর মাধ্যমে সমাজে সৎ নেতৃত্ব ও ন্যায়ভিত্তিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।
-
ইসলামে প্রত্যেক মুসলমানকে সাধ্যমতো ভালো কাজের নির্দেশ ও মন্দ কাজের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
-
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে (যেমন সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪ ও ১১০) এই নীতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
-
নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায় দেখেও তা পরিবর্তনের চেষ্টা করে না, তার ঈমান দুর্বল।
-
এই নীতি সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং ইসলামী আদর্শে গঠিত একটি সুবিচারপূর্ণ সমাজ নিশ্চিত করে।

0
Updated: 22 hours ago
বায়তুল মাল কী?
Created: 22 hours ago
A
ক্রয়কৃত সম্পদ
B
বাবসায়ীক সম্পদ
C
মজুদকৃত সম্পদ
D
ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় তহবিল
বায়তুল মাল শব্দটি ইসলামী অর্থব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা মুসলিম সমাজের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও জনকল্যাণমূলক কাজের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এটি শুধু অর্থ সংরক্ষণের স্থান নয়, বরং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম মাধ্যম।
১. বায়তুল মাল (بيت المال) শব্দের অর্থ “অর্থের ঘর” বা “ধনের ঘর”।
২. এটি মূলত একটি ইসলামী রাষ্ট্রীয় কোষাগার, যেখানে যাকাত, খরাজ, জিজিয়া, ফয় ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় রাজস্ব সংরক্ষিত হয়।
৩. সংগৃহীত অর্থ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়, যেমন—দরিদ্রদের সহায়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং যুদ্ধকালীন ব্যয়।
৪. প্রাথমিক ইসলামিক খিলাফতে এটি রাষ্ট্রীয় আর্থিক ব্যবস্থার কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
৫. খলিফা ও সুলতানরা এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের আয়-ব্যয় তত্ত্বাবধান করতেন এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতেন।
৬. বায়তুল মাল ইসলামী সমাজে অর্থনৈতিক সাম্য ও সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখার অন্যতম কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 22 hours ago
তাকাফুল জায়েজ কী না?
Created: 1 day ago
A
লাভ ক্ষতির ভিত্তিতে জায়েজ
B
জায়েজ নয়
C
হারাম
D
মুবাহ্
ইসলাম পারস্পরিক সহযোগিতা ও কল্যাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত লেনদেনকে সমর্থন করে। তাই যদি কোনো বীমা বা তাকাফুল ব্যবস্থা এমন নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শরীয়তের নির্দেশ অনুযায়ী চলে এবং হারাম উপাদান থেকে মুক্ত থাকে, তবে সেটি বৈধ গণ্য হয়।
-
তাকাফুল শব্দের অর্থ পারস্পরিক দায়িত্ব বা সহযোগিতা, যা ইসলামী বীমা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত।
-
এই ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের ক্ষতি পূরণে সাহায্য করে, লাভ বা ক্ষতি ভাগাভাগি করে নেয়।
-
সংগৃহীত অর্থ যদি হালাল ব্যবসা বা শরীয়তসম্মত বিনিয়োগে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা বৈধ।
-
এতে সুদ (রিবা), জুয়া (মায়সির) বা অনিশ্চয়তা (গারার) থাকা চলবে না।
-
মূল উদ্দেশ্য হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণ, লাভ অর্জন নয় বরং সমাজে নিরাপত্তা ও সহায়তার পরিবেশ তৈরি করা।
-
শরীয়তসম্মত তাকাফুল ব্যবস্থা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক উত্তম উপায়, যা সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago