বিবাহের রোকন কী?
A
দুইজন সাক্ষী
B
উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
C
ইজাব কবুল
D
গণ্যমান্য মেহমান উপস্থিত থাকা
উত্তরের বিবরণ
ইসলামে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, যা নির্দিষ্ট শর্ত ও নিয়মের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এর মূল ভিত্তি বা রুকন হলো ‘ইজাব ও কবুল’, অর্থাৎ প্রস্তাব ও গ্রহণ।
-
ইজাব বলতে বোঝায় কনের অভিভাবক বা প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব প্রদান।
-
কবুল হলো বরের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা, যা বিবাহের বৈধতা নিশ্চিত করে।
-
এই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই দুজন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হতে হবে, যাতে বিবাহ প্রকাশ্য ও স্বীকৃত হয়।
-
ইজাব ও কবুল স্পষ্ট ও সম্মতভাবে উচ্চারণ করা জরুরি, যাতে কোনো পক্ষের অনিচ্ছা না থাকে।
-
এই বিধান ইসলামে ন্যায়, সম্মতি ও সামাজিক স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিবাহ প্রতিষ্ঠার প্রতীক।

0
Updated: 1 day ago
পবিত্র কুরআনের কোন সুরায় মৌমাছির কথা বলা আছে?
Created: 1 day ago
A
সূরা বাকারা
B
সূরা আন্ নাজম
C
সূরা আন্ নাহল
D
সূরা ইয়াসীন
পবিত্র কুরআনের ১৬তম সূরা ‘আন-নাহল’ (النحل) মানবজাতিকে আল্লাহর অনুগ্রহ, সৃষ্টির বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়। এই সূরার নামকরণ করা হয়েছে মৌমাছি (নাহল)-এর নামে, কারণ এতে মৌমাছির জীবনধারা ও কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমতা ও প্রজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে।
১. সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, এবং এতে আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের উল্লেখ রয়েছে।
২. ৬৮ ও ৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মৌমাছিকে নির্দেশ দেন, যাতে সে পাহাড়, গাছপালা ও মানুষের নির্মিত স্থানে ঘর তৈরি করে।
৩. এসব আয়াতে মৌমাছির অতুলনীয় কর্মদক্ষতা ও আল্লাহপ্রদত্ত প্রেরণার কথা বর্ণিত হয়েছে।
৪. মৌমাছির তৈরি মধুকে আল্লাহ “মানুষের জন্য নিরাময়” হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
৫. এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রাকৃতিক ব্যবস্থার মধ্যে তাঁর অসীম জ্ঞান ও পরিকল্পনা প্রতিফলিত হয়েছে।
৬. ‘আন-নাহল’ সূরা মানুষকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, চিন্তাশীলতা ও অনুধাবনের আহ্বান জানায়।
৭. মৌমাছির উদাহরণের মাধ্যমে সূরাটি শেখায় যে সুশৃঙ্খলতা, পরিশ্রম ও উপকারিতা আল্লাহপ্রদত্ত একটি গুণ।
৮. তাই এই সূরাকে প্রায়ই “আল্লাহর নিয়ামত ও সৃষ্টির জ্ঞানভিত্তিক সূরা” বলা হয়ে থাকে।

0
Updated: 1 day ago
হিন্দু ধর্মের প্রধান ও প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ কোনটি?
Created: 22 hours ago
A
রামায়ন
B
মহাভারত
C
বেদ
D
হিন্দুধর্মের প্রধান ও প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ হলো বেদ। এটি হিন্দুধর্মের আদি ও মূল ধর্মগ্রন্থ হিসেবে সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে এবং হিন্দুরা একে ঈশ্বরের বাণী (শ্রুতি) বলে বিশ্বাস করে। বেদে ধর্মীয় আচার, দার্শনিক চিন্তা ও মানবজীবনের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
-
বেদের সংখ্যা চারটি: ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ।
-
প্রতিটি বেদের চারটি উপবিভাগ রয়েছে: সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ।
-
ঋগ্বেদে দেবতাদের উদ্দেশ্যে স্তোত্র ও মন্ত্র সংকলিত হয়েছে।
-
যজুর্বেদে যজ্ঞের নিয়ম ও মন্ত্র রয়েছে।
-
সামবেদে সংগীত ও সুরভিত পাঠের পদ্ধতি বর্ণিত।
-
অথর্ববেদে চিকিৎসা, জাদুবিদ্যা ও দৈনন্দিন জীবনের নানা অনুষঙ্গের কথা রয়েছে।
-
পরবর্তী যুগে উপনিষদ, মহাভারত, রামায়ণ, পুরাণ প্রভৃতি বহু ধর্মগ্রন্থ রচিত হলেও, বেদের প্রাধান্যই সর্বাধিক থেকে গেছে।

0
Updated: 22 hours ago
বায়তুল মাল কী?
Created: 22 hours ago
A
ক্রয়কৃত সম্পদ
B
বাবসায়ীক সম্পদ
C
মজুদকৃত সম্পদ
D
ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় তহবিল
বায়তুল মাল শব্দটি ইসলামী অর্থব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা মুসলিম সমাজের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও জনকল্যাণমূলক কাজের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এটি শুধু অর্থ সংরক্ষণের স্থান নয়, বরং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম মাধ্যম।
১. বায়তুল মাল (بيت المال) শব্দের অর্থ “অর্থের ঘর” বা “ধনের ঘর”।
২. এটি মূলত একটি ইসলামী রাষ্ট্রীয় কোষাগার, যেখানে যাকাত, খরাজ, জিজিয়া, ফয় ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় রাজস্ব সংরক্ষিত হয়।
৩. সংগৃহীত অর্থ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়, যেমন—দরিদ্রদের সহায়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং যুদ্ধকালীন ব্যয়।
৪. প্রাথমিক ইসলামিক খিলাফতে এটি রাষ্ট্রীয় আর্থিক ব্যবস্থার কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
৫. খলিফা ও সুলতানরা এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের আয়-ব্যয় তত্ত্বাবধান করতেন এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতেন।
৬. বায়তুল মাল ইসলামী সমাজে অর্থনৈতিক সাম্য ও সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখার অন্যতম কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 22 hours ago