ইসলামী রাষ্ট্রে জোর জবরদস্তি আছে কী?
A
আছে, আইনের ব্যবস্থাপনায়
B
নাই
C
কিছু ধর্মীয় অনুশাসনের ক্ষেত্রে
D
ধর্মীয় ও আইন উভয় ক্ষেত্রে
উত্তরের বিবরণ
ইসলামী রাষ্ট্রে ধর্ম ও আইনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামের মূলনীতি অনুযায়ী ধর্মের বিষয়ে কোনো প্রকার জোর-জবরদস্তি নেই, তবে সমাজে ন্যায়বিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রয়োগ অপরিহার্য।
-
কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—“ধর্মে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই” (সূরা আল-বাকারা ২:২৫৬); অর্থাৎ কেউ কাউকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করতে পারে না।
-
তবে আইন ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তাই অপরাধ, অন্যায় বা অবাধ্যতার ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
-
ইসলামী শাসনব্যবস্থায় ধর্মীয় বিধান ও নাগরিক আইন—দুটিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
প্রশ্নে যেহেতু কেবল “জোর-জবরদস্তি” বলা হয়েছে, কিন্তু ধর্ম বিষয়টি নির্দিষ্ট করা হয়নি, তাই এর আওতা বিস্তৃত হয়ে ধর্মীয় ও আইন উভয় ক্ষেত্রকেই অন্তর্ভুক্ত করে।
-
এই নীতির উদ্দেশ্য হলো সমাজে ন্যায়, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা, যাতে সবাই স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ থাকে।

0
Updated: 1 day ago
সর্বপ্রথম পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ভুল ভাবে কে নির্ণয় করেন?
Created: 22 hours ago
A
ইবনে হাইসাম
B
আল ইদ্রিসি
C
আল কিন্দি
D
আল বেরুনী
আল-বেরুনী ছিলেন মধ্যযুগের এক মহান মুসলিম বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ, যিনি সর্বপ্রথম পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ভুলভাবে নির্ণয় করেন। তিনি গণনার জন্য নিজস্ব এক অভিনব ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন।
-
তিনি পাহাড়ের উচ্চতা ও দৃষ্টিকোণ পর্যবেক্ষণ করে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করেন।
-
ব্যবহৃত পদ্ধতিতে তিনি ত্রিকোণমিতি ও জ্যামিতির নিয়ম প্রয়োগ করেন, যা তখনকার যুগে অত্যন্ত আধুনিক ছিল।
-
তার এই পরিমাপ আধুনিক প্রযুক্তির আগেও অবিশ্বাস্যভাবে সঠিক ছিল।
-
আল-বেরুনীর কাজ পরবর্তীকালে ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যা ও পদার্থবিজ্ঞানের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 22 hours ago
হযরত আবু সুফিয়ান কখন ইসলাম গ্রহণ করেন?
Created: 1 day ago
A
হুদাইবিয়ার সন্ধির সময়
B
মক্কা বিজয়ের সময়
C
উহুদের যুদ্ধের সময়
D
খন্দকের যুদ্ধের সময়
৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন, যা ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। দীর্ঘ সময় তিনি ইসলামের বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত সত্য গ্রহণ করেন।
১. তাঁর পূর্ণ নাম ছিল আবু সুফিয়ান ইবন হারব, এবং তিনি কুরাইশ গোত্রের প্রধান নেতা ছিলেন।
২. তিনি ছিলেন রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই ও দুধ ভাই, অর্থাৎ পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত।
৩. ইসলামের প্রারম্ভিক সময়ে তিনি মুসলমানদের অন্যতম প্রবল বিরোধী ও যুদ্ধনেতা ছিলেন।
৪. তিনি উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধসহ বহু যুদ্ধে কুরাইশ বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৫. মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে রাসুল (সা.)-এর সাথে সাক্ষাতের পর তিনি ইসলামের সত্যতা উপলব্ধি করে ইসলাম গ্রহণ করেন।
৬. ইসলাম গ্রহণের পর তিনি মুসলমানদের মধ্যে সম্মানজনক স্থান লাভ করেন এবং পরবর্তীতে মুয়াবিয়া (রা.)-এর পিতা হিসেবে মুসলিম ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
৭. তাঁর ইসলাম গ্রহণ মক্কাবাসীর মনোভাব পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং মক্কা বিজয়কে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী ঈমানের অংশ হচ্ছে?
Created: 22 hours ago
A
সৎসাহস
B
অন্যায়ের প্রতিরোধ
C
তাকওয়া
D
হায়া (লজ্জাশীলতা)
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এই হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সঃ) ঈমানের বিভিন্ন দিক ও স্তর সম্পর্কে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এতে বোঝা যায়, ঈমান শুধু মুখের স্বীকারোক্তি নয়, বরং তা আচরণ, নৈতিকতা ও কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
-
হাদীসে বলা হয়েছে, ঈমানের সত্তরটিরও বেশি শাখা রয়েছে, যা ঈমানের বিস্তৃত ও বহুমাত্রিক প্রকৃতি নির্দেশ করে।
-
এর মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” — অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই— এই ঘোষণা।
-
সাধারণ শাখা হলো পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা, যা সমাজে মানবকল্যাণ ও নিরাপত্তার প্রতীক।
-
লজ্জাশীলতা (হায়া) কে এখানে ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা নৈতিক চরিত্রের পরিচায়ক।
-
এই হাদীস শিক্ষা দেয় যে ঈমান শুধুমাত্র বিশ্বাস নয়, বরং মানুষের নৈতিক আচরণ, সমাজসেবা ও আত্মসংযমের প্রতিফলন।

0
Updated: 22 hours ago