মক্কা বিজয়কে প্রাচীন ইতিহাসে একটি তুলনাহীন মহাবিজয় বলে অভিহিত করেছেন কে?
A
নিকলসন
B
বসত্তারথ
C
যেসেফহেল
D
পি. কে. হিট্টি
উত্তরের বিবরণ
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ফিলিপ কে. হিট্টি মক্কা বিজয়কে ইতিহাসের অন্যতম অনন্য ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে, এটি এমন এক বিজয় যেখানে কোনো প্রতিশোধ, রক্তপাত বা ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়াই মানবিকতা, ন্যায় ও ক্ষমার মহত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল।
পয়েন্ট আকারে—
-
ফিলিপ কে. হিট্টি (Philip K. Hitti) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও ইসলামি সভ্যতার গবেষক।
-
তিনি তাঁর গ্রন্থে মক্কা বিজয়কে “a unique and unparalleled conquest”, অর্থাৎ “প্রাচীন ইতিহাসের এক তুলনাহীন মহাবিজয়” বলে উল্লেখ করেছেন।
-
এই বর্ণনা দ্বারা তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, মক্কা বিজয় ছিল রক্তপাতহীন, ন্যায়নিষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
-
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা জয় করেও শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়েছেন, যা ইতিহাসে বিরল উদাহরণ।
-
এই বিজয়ের মাধ্যমে ইসলামের দয়া, ন্যায়বিচার ও মানবিকতার আদর্শ সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
তাই হিট্টির দৃষ্টিতে মক্কা বিজয় শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিজয় হিসেবেও অমর হয়ে আছে।

0
Updated: 1 day ago
ইহুদী ধর্মের মূল ভাষা কী?
Created: 22 hours ago
A
আরবি
B
ইংরেজি
C
হিব্রু
D
ল্যাটিন
হিব্রু ভাষা ইহুদি ধর্মের পবিত্র ও ধর্মীয় ভাষা হিসেবে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত হিব্রু ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছিল, যা আজও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, প্রার্থনা ও ধর্মগ্রন্থ পাঠে ব্যবহৃত হয়।
-
হিব্রু ভাষা একসময় কথ্য ভাষা হিসেবে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তবে পরবর্তীতে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের মাধ্যমে এটি আবার গুরুত্ব ফিরে পায়।
-
বর্তমানে এটি মূলত ধর্মীয় অধ্যয়ন, প্রার্থনা এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের পারস্পরিক যোগাযোগে ব্যবহৃত হয়।
-
প্রাচীন যুগে হিব্রু ভাষাই ছিল ইহুদি জাতির ধর্মীয় ও জাগতিক ভাষা।
-
খ্রিষ্টপূর্ব ৭ম শতাব্দী থেকে আরামীয় (Aramaic) ভাষা ফিলিস্তিন ও ইহুদি জাতির মধ্যে সাধারণ ভাষা বা Lingua Franca হিসেবে প্রচলিত হয়।
-
আরামীয় ও হিব্রু উভয়ই সেমিটিক ভাষা, এবং তাদের মধ্যে গঠন, শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণে ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে।
-
সবশেষে, ইহুদি ধর্মের মূল ও প্রাচীন ভাষা হিব্রু—যা আজও ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে টিকে আছে।

0
Updated: 22 hours ago
হিন্দু ধর্মের প্রধান ও প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ কোনটি?
Created: 21 hours ago
A
রামায়ন
B
মহাভারত
C
বেদ
D
হিন্দুধর্মের প্রধান ও প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ হলো বেদ। এটি হিন্দুধর্মের আদি ও মূল ধর্মগ্রন্থ হিসেবে সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে এবং হিন্দুরা একে ঈশ্বরের বাণী (শ্রুতি) বলে বিশ্বাস করে। বেদে ধর্মীয় আচার, দার্শনিক চিন্তা ও মানবজীবনের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
-
বেদের সংখ্যা চারটি: ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ।
-
প্রতিটি বেদের চারটি উপবিভাগ রয়েছে: সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ।
-
ঋগ্বেদে দেবতাদের উদ্দেশ্যে স্তোত্র ও মন্ত্র সংকলিত হয়েছে।
-
যজুর্বেদে যজ্ঞের নিয়ম ও মন্ত্র রয়েছে।
-
সামবেদে সংগীত ও সুরভিত পাঠের পদ্ধতি বর্ণিত।
-
অথর্ববেদে চিকিৎসা, জাদুবিদ্যা ও দৈনন্দিন জীবনের নানা অনুষঙ্গের কথা রয়েছে।
-
পরবর্তী যুগে উপনিষদ, মহাভারত, রামায়ণ, পুরাণ প্রভৃতি বহু ধর্মগ্রন্থ রচিত হলেও, বেদের প্রাধান্যই সর্বাধিক থেকে গেছে।

0
Updated: 21 hours ago
তাকাফুল জায়েজ কী না?
Created: 1 day ago
A
লাভ ক্ষতির ভিত্তিতে জায়েজ
B
জায়েজ নয়
C
হারাম
D
মুবাহ্
ইসলাম পারস্পরিক সহযোগিতা ও কল্যাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত লেনদেনকে সমর্থন করে। তাই যদি কোনো বীমা বা তাকাফুল ব্যবস্থা এমন নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শরীয়তের নির্দেশ অনুযায়ী চলে এবং হারাম উপাদান থেকে মুক্ত থাকে, তবে সেটি বৈধ গণ্য হয়।
-
তাকাফুল শব্দের অর্থ পারস্পরিক দায়িত্ব বা সহযোগিতা, যা ইসলামী বীমা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত।
-
এই ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের ক্ষতি পূরণে সাহায্য করে, লাভ বা ক্ষতি ভাগাভাগি করে নেয়।
-
সংগৃহীত অর্থ যদি হালাল ব্যবসা বা শরীয়তসম্মত বিনিয়োগে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা বৈধ।
-
এতে সুদ (রিবা), জুয়া (মায়সির) বা অনিশ্চয়তা (গারার) থাকা চলবে না।
-
মূল উদ্দেশ্য হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণ, লাভ অর্জন নয় বরং সমাজে নিরাপত্তা ও সহায়তার পরিবেশ তৈরি করা।
-
শরীয়তসম্মত তাকাফুল ব্যবস্থা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক উত্তম উপায়, যা সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago