হুদাইবিয়ার সন্ধি কত বছর স্থায়ী হয়?
A
২ বছর
B
৩ বছর
C
৪ বছর
D
১ বছর
উত্তরের বিবরণ
হুদাইবিয়ার সন্ধি ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চুক্তি, যা মুসলমানদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও ইসলামের বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। এটি মদিনার মুসলমান ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সম্পাদিত হয়।
১. চুক্তিটি ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে (৬ হিজরি) হুদাইবিয়া নামক স্থানে স্বাক্ষরিত হয়।
২. এর মেয়াদ ছিল ১০ বছর, যার মধ্যে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকবে বলে শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।
৩. সন্ধির মাধ্যমে মুসলমানদের নিরাপদে মক্কায় ওমরাহ পালনের অনুমতি পরবর্তী বছরে দেওয়া হয়।
৪. এতে কিছু শর্ত মুসলমানদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও, তা ভবিষ্যতে ইসলামের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করে।
৫. মাত্র দুই বছর পর কুরাইশরা সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করে, একটি মিত্র গোত্রের ওপর হামলা চালিয়ে।
৬. এর ফলে চুক্তিটি বাতিল হয় এবং মুসলমানরা মক্কা বিজয়ের পথে অগ্রসর হয়, যা ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয়।
৭. হুদাইবিয়ার সন্ধি ছিল ইসলামী কূটনীতির ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও কৌশলগত সফলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
৮. এই চুক্তির মাধ্যমে ইসলামের বার্তা শান্তিপূর্ণভাবে আরব উপদ্বীপে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 1 day ago
আমর বিল্ মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার এর আসল উদ্দেশ্য কী?
Created: 22 hours ago
A
সমাজে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা
B
ভাল কাজে সহায়তা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা
C
যুদ্ধ করা
D
সেবা করা
‘আমর বিল্ মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার’ অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ — এটি ইসলামী সমাজব্যবস্থার একটি মৌলিক নীতি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সৎ কাজ উৎসাহিত হয় এবং অসৎ কাজ নিরুৎসাহিত হয়। এটি কেবল ব্যক্তিগত নৈতিকতার বিষয় নয়; বরং এটি সামাজিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
-
এর মাধ্যমে সমাজে সৎ নেতৃত্ব ও ন্যায়ভিত্তিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।
-
ইসলামে প্রত্যেক মুসলমানকে সাধ্যমতো ভালো কাজের নির্দেশ ও মন্দ কাজের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
-
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে (যেমন সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪ ও ১১০) এই নীতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
-
নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায় দেখেও তা পরিবর্তনের চেষ্টা করে না, তার ঈমান দুর্বল।
-
এই নীতি সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং ইসলামী আদর্শে গঠিত একটি সুবিচারপূর্ণ সমাজ নিশ্চিত করে।

0
Updated: 22 hours ago
'মাইসির' অর্থ কী?
Created: 1 day ago
A
সুদ
B
ঘুষ
C
জুয়া
D
মদ
‘মাইসির’ বা জুয়া ইসলামে এক ধরনের নিষিদ্ধ আর্থিক ও নৈতিক অনাচার, যা পরিশ্রম ছাড়া সম্পদ অর্জনের প্রবণতাকে বোঝায়। এটি সমাজে অন্যায়ভাবে সম্পদ হস্তান্তর ও বৈরিতা সৃষ্টি করে।
-
‘মাইসির’ (مَيْسِر) শব্দের অর্থ জুয়া বা ভাগ্যনির্ভর খেলা, যেখানে লাভ-ক্ষতি সম্পূর্ণভাবে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল।
-
এটি এসেছে আরবি ধাতু يَسَرَ থেকে, যার অর্থ সহজলাভ বা পরিশ্রম ছাড়া কিছু পাওয়া।
-
ইসলামী পরিভাষায় মাইসির এমন লেনদেন বা খেলাকে বোঝায়, যেখানে একজন লাভবান হয় এবং অন্যজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়— অর্থাৎ অন্যের ক্ষতির বিনিময়ে নিজের লাভ।
-
আল-কুরআনে মাইসিরকে নিষিদ্ধ ও শয়তানের কাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, কারণ এটি মানুষের মধ্যে বিরোধ, শত্রুতা ও নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করে।
-
ইসলামী দৃষ্টিতে বৈধ সম্পদ অর্জনের উপায় হলো পরিশ্রম, ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য ও হালাল শ্রম, ভাগ্যনির্ভর খেলা নয়।

0
Updated: 1 day ago
‘দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না' এটা কার উক্তি?
Created: 22 hours ago
A
এরিস্টটল
B
জর্জ বার্নার্ড শ
C
ইপিকিউরাস
D
ইবনে সিনা
ইপিকিউরাস ছিলেন প্রাচীন গ্রিক চিন্তাধারার একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, যিনি মানবজীবনের প্রকৃত সুখকে ভয় ও কুসংস্কারমুক্ত মানসিক শান্তিতে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁর চিন্তায় মুক্তি মানে ছিল আত্মিক প্রশান্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বচ্ছতা অর্জন করা।
১. উক্তি — “দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না।” — এর মাধ্যমে তিনি মানুষকে অযৌক্তিক ভয় ও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তির আহ্বান জানান।
২. ইপিকিউরাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪১–২৭০) ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক।
৩. তিনি “Epicureanism” নামের দর্শনধারার প্রবর্তক, যার মূল ভিত্তি হলো আনন্দ ও মানসিক প্রশান্তি (Ataraxia)।
৪. তাঁর মতে, প্রকৃত সুখ আসে দেবতা, মৃত্যু ও অজানার ভয় থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে।
৫. তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানুষ যদি যুক্তি ও জ্ঞানের দ্বারা জীবন পরিচালনা করে, তবে ভয়, কুসংস্কার ও দুঃখ থেকে মুক্তি সম্ভব।
৬. ইপিকিউরাসের দর্শন পরবর্তীতে পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় নৈতিকতা, আত্মসংযম ও সুখবাদ (Hedonism) সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।

0
Updated: 22 hours ago