যে হাদিসের বর্ণনা সূত্র সাহাবি পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে কোন্ হাদীস বলে?
A
মারফু
B
গরীব
C
মাওকুফ
D
মাকতু
উত্তরের বিবরণ
হাদিসের বর্ণনাশ্রেণি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার নামকরণ করা হয়েছে, যা বর্ণনাকারীর স্তর অনুসারে নির্ধারিত হয়।
-
মাওকুফ হাদিস হলো সেই হাদিস, যার বর্ণনা সূত্র সাহাবি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, অর্থাৎ রাসুল (সা.)-এর কথা নয়, বরং সাহাবির উক্তি, কর্ম বা অনুমোদন এতে উল্লেখ থাকে।
-
মারফু হাদিস সেই হাদিস, যার বর্ণনা সূত্র সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সা.) পর্যন্ত পৌঁছেছে; অর্থাৎ নবী (সা.)-এর বাণী, কর্ম বা অনুমোদন এতে অন্তর্ভুক্ত।
-
মাকতু হাদিস হলো সেই হাদিস, যার বর্ণনা সূত্র তাবেয়ি পর্যন্ত সীমিত, অর্থাৎ তাবেয়ির নিজস্ব মত, কর্ম বা ব্যাখ্যা এতে প্রকাশ পায়।
-
এই শ্রেণিবিভাগের উদ্দেশ্য হলো হাদিসের উৎস ও নির্ভরযোগ্যতা নির্ধারণ করা, যাতে ইসলামি জ্ঞানের সঠিক শৃঙ্খল রক্ষা পায়।

0
Updated: 1 day ago
সূরা হুজরাতের আলোচ্য বিষয় কী?
Created: 1 day ago
A
সামাজিক নিয়মনীতির শিক্ষা
B
রাজনৈতিক নিয়মনীতির শিক্ষা
C
অর্থনৈতিক মূলনীতির শিক্ষা
D
নামাজের নিয়মনীতির শিক্ষা
সূরা হুজরাত ইসলামী সমাজে শিষ্টাচার, সামাজিক আচরণ ও পারস্পরিক সম্পর্কের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটি মদীনায় অবতীর্ণ হয় এবং মুসলমানদের নৈতিক ও সামাজিক জীবনের আদর্শ গঠন করে।
১. সূরাটিকে “سورة الأخلاق والأدب” বলা হয়, কারণ এতে আদব, শিষ্টাচার ও সামাজিক আচরণের নিয়ম বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
২. এতে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও আদব রক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩. মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
৪. কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়ার পর তা যাচাই না করে প্রচার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।
৫. মুসলিম সমাজে দ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ দেখা দিলে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সমঝোতা স্থাপন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
৬. অন্যের অপমান, উপহাস, গীবত ও সন্দেহ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারণ এগুলো সমাজের বন্ধন দুর্বল করে।
৭. সূরায় ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং প্রকৃত সত্যবাদী ও মুমিনদের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
৮. এই সূরার মাধ্যমে ইসলামী সমাজে নৈতিকতা, আদব ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখার এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান উপস্থাপন করা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
জমজমের পানিতে প্রতি লিটারে ক্যালসিয়াম কতটুকু থাকে?
Created: 22 hours ago
A
১০০ মি.লি.
B
৯৬ মি.লি.
C
১০৪ মি.লি.
D
৭৬ মি.লি.
জমজমের পানি ইসলাম ধর্মে যেমন পবিত্র বলে বিবেচিত, তেমনি বৈজ্ঞানিক দিক থেকেও এটি একটি অনন্য প্রাকৃতিক খনিজসমৃদ্ধ পানি। এর ভেতরে থাকা বিভিন্ন উপাদান পানিটিকে বিশেষ গুণসম্পন্ন করে তোলে।
১. প্রতি লিটার জমজমের পানিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ প্রায় ৯৬ মিলিগ্রাম।
২. এতে আরও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।
৩. এসব উপাদানের পাশাপাশি এতে বিভিন্ন ঋণাত্মক আয়ন (negative ions) বিদ্যমান।
৪. সব উপাদান মিলিয়ে জমজমের পানিতে মোট খনিজ উপাদানের পরিমাণ প্রায় ২০০০ মিলিগ্রাম প্রতি লিটার।
৫. এই খনিজসমৃদ্ধ গঠন জমজমের পানিকে শারীরিকভাবে উপকারী ও স্বতন্ত্র স্বাদযুক্ত করে তোলে।
৬. দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করলেও এই পানির গন্ধ, স্বাদ বা বিশুদ্ধতা নষ্ট হয় না, যা বৈজ্ঞানিকভাবে একে আরও বিস্ময়কর করে তোলে।

0
Updated: 22 hours ago
‘দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না' এটা কার উক্তি?
Created: 22 hours ago
A
এরিস্টটল
B
জর্জ বার্নার্ড শ
C
ইপিকিউরাস
D
ইবনে সিনা
ইপিকিউরাস ছিলেন প্রাচীন গ্রিক চিন্তাধারার একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, যিনি মানবজীবনের প্রকৃত সুখকে ভয় ও কুসংস্কারমুক্ত মানসিক শান্তিতে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁর চিন্তায় মুক্তি মানে ছিল আত্মিক প্রশান্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বচ্ছতা অর্জন করা।
১. উক্তি — “দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না।” — এর মাধ্যমে তিনি মানুষকে অযৌক্তিক ভয় ও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তির আহ্বান জানান।
২. ইপিকিউরাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪১–২৭০) ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক।
৩. তিনি “Epicureanism” নামের দর্শনধারার প্রবর্তক, যার মূল ভিত্তি হলো আনন্দ ও মানসিক প্রশান্তি (Ataraxia)।
৪. তাঁর মতে, প্রকৃত সুখ আসে দেবতা, মৃত্যু ও অজানার ভয় থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে।
৫. তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানুষ যদি যুক্তি ও জ্ঞানের দ্বারা জীবন পরিচালনা করে, তবে ভয়, কুসংস্কার ও দুঃখ থেকে মুক্তি সম্ভব।
৬. ইপিকিউরাসের দর্শন পরবর্তীতে পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় নৈতিকতা, আত্মসংযম ও সুখবাদ (Hedonism) সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।

0
Updated: 22 hours ago