ইমানের সর্বোচ্চ শাখা কোনটি?
A
সত্য কথা বলা
B
লজ্জা থাকা
C
'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্' বলা
D
আল্লাহর প্রশংসা করা
উত্তরের বিবরণ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এই হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈমানের পরিপূর্ণতা ও তার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছেন। এতে বোঝা যায়, ঈমান কেবল বিশ্বাস নয়, বরং আচরণ, চরিত্র ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের মধ্যেও এর প্রকাশ ঘটে।
-
হাদীস অনুযায়ী, ঈমানের সত্তরটিরও বেশি শাখা রয়েছে, যা বিশ্বাস, কাজ ও নৈতিক গুণাবলির সমন্বয়ে গঠিত।
-
এর মধ্যে সর্বোচ্চ শাখা হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”—অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, এই ঘোষণা। এটি ঈমানের মূল ভিত্তি।
-
ঈমানের সাধারণ শাখা হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা, যা সমাজে কল্যাণ ও সহানুভূতির প্রতিফলন ঘটায়।
-
লজ্জাশীলতা (হায়া) ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা মানুষকে পাপ ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখে।
-
এই হাদীস শিক্ষা দেয় যে ঈমান শুধুমাত্র মুখের কথা নয়, বরং বিশ্বাস, কর্ম ও নৈতিকতার সমন্বয়।
-
ইসলামে ঈমানের প্রকৃত সৌন্দর্য প্রকাশ পায় আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধ এবং উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে।

0
Updated: 1 day ago
হাদিসের আলোকে 'আয্ল' এর হুকুম কী?
Created: 1 day ago
A
সম্পূর্ণ হারাম
B
সম্পূর্ণ হালাল
C
মুস্তাহাব
D
শর্ত সাপেক্ষে বৈধ
হাদীসের আলোকে ‘আয্ল’ বা স্ত্রীর গোপনাঙ্গের বাইরে বীর্যপাত করার বিষয়টি ইসলামী শরীয়তে সীমিতভাবে অনুমোদিত, তবে তা নির্দিষ্ট শর্ত ও উদ্দেশ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
-
‘আয্ল’ অর্থ হলো সহবাসের সময় বীর্যপাতের আগে সরে আসা, যাতে গর্ভধারণ না ঘটে।
-
নবী করিম (সা.)-এর যুগে সাহাবারা এ কাজ করতেন এবং রাসূল (সা.) একে সরাসরি নিষিদ্ধ করেননি, তবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
-
এটি স্ত্রীর সম্মতিতে করা আবশ্যক, কারণ এতে তার মাতৃত্বের অধিকার প্রভাবিত হয়।
-
নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করা নিষিদ্ধ, কারণ ইসলামে সন্তান গ্রহণ উৎসাহিত করা হয়েছে।
-
দারিদ্র্য বা আর্থিক সংকটের ভয়ে সন্তান না নেওয়া শরীয়তসম্মত নয়, কারণ জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর উপর নির্ভরশীল।
-
প্রয়োজনে চিকিৎসাগত কারণ বা অস্থায়ী প্রয়োজনের জন্য আয্ল বৈধ হতে পারে, তবে তা দায়িত্বশীলতা ও পরিমিতিবোধের সঙ্গে পালন করতে হয়।

0
Updated: 1 day ago
বাইয়াতে রিদওয়ানের প্রেক্ষাপট কী ছিল?
Created: 22 hours ago
A
হযরত ওসমান (রাঃ)এর শহীদ হওয়ার গুজব
B
হযরত উমর (রাঃ) এর বিরোধিতা করার কারনে
C
মক্কায় প্রবেশে কুরাইশদের প্রচন্ড বিরোধিতা
D
মুসলমানদের মধ্যে সাহস সঞ্চার করার জন্য
বাইয়াতে রিদওয়ান ছিল ইসলামী ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা ঘটে হুদায়বিয়ার সময়। এর প্রেক্ষাপট ছিল মক্কার কুরাইশদের দ্বারা হযরত উসমান (রা.)-কে মক্কায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া। এতে মক্কা ও মদিনার মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
-
নবী মুহাম্মদ (সা.) হযরত উসমান (রা.)-কে দূত হিসেবে মক্কায় পাঠান শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য।
-
তাঁর ফিরে আসতে বিলম্ব হওয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে উসমান (রা.) শহিদ হয়েছেন, যা মুসলমানদের মধ্যে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
-
এই পরিস্থিতিতে নবী (সা.)-এর নির্দেশে প্রায় ১৪০০ সাহাবি বাবলা গাছের নিচে শপথ (বাইয়াত) গ্রহণ করেন, যে তারা হযরত উসমান (রা.)-এর হত্যার প্রতিশোধ নেবেন।
-
এই শপথই ইতিহাসে পরিচিত ‘বাইয়াতে রিদওয়ান’ নামে, যার অর্থ আল্লাহর সন্তুষ্টির বাইয়াত।
-
কুরআনে সূরা আল-ফাতহে এই ঘটনার উল্লেখ আছে, যেখানে আল্লাহ তাআলা বলেন যে, যারা এই বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন, আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।

0
Updated: 22 hours ago
মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম কোন্ শব্দটি শেখানো হয়?
Created: 1 day ago
A
ইক্রা
B
কূল
C
উত্লু
D
ইমসি
এই আয়াতের মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞানের সূচনা ঘটে এবং মানবজাতির প্রতি আল্লাহর প্রথম আহ্বান হিসেবে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
-
‘ইক্বরা’ (اقرأ) শব্দের অর্থ ‘পড়ো’ বা ‘পাঠ করো’, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম নির্দেশ।
-
এটি সুরা আল-আলাকের প্রথম আয়াত, যা নবুয়তের সূচনালগ্নে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উপর জিবরাইল (আঃ) নাজিল করেন।
-
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে জ্ঞান, পাঠ ও চিন্তার গুরুত্ব শিখিয়েছেন।
-
এটি প্রমাণ করে যে, ইসলামে জ্ঞান অর্জন ইবাদতের সমতুল্য এবং মানবজীবনের উন্নতির মৌলিক শর্ত।
-
এই শব্দ মানবজাতিকে শিক্ষা দেয় আল্লাহর সৃষ্টির রহস্য অনুধাবন ও সত্য জ্ঞানের পথে অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজনীয়তা।

0
Updated: 1 day ago