টলেমী কে ছিলেন?
A
একজন গনিতবিদ
B
একজন জ্যোতির্বিদ
C
একজন চিকিৎসক
D
একজন শল্য চিকিৎসক
উত্তরের বিবরণ
টলেমি ছিলেন প্রাচীন যুগের এক বিশিষ্ট গ্রিক-মিশরীয় বিজ্ঞানী, যিনি জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত ও ভূগোলের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন। তাঁর গবেষণা মধ্যযুগীয় বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার ভিত্তি গঠন করেছিল এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রভাব বিস্তার করেছে।
পয়েন্ট আকারে—
-
টলেমির পূর্ণ নাম ক্লডিয়াস টলেমি (Claudius Ptolemy)।
-
তিনি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে দ্বিতীয় শতাব্দীতে বসবাস করতেন।
-
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত তত্ত্ব হলো ভূকেন্দ্রিক (Geocentric) মডেল, যেখানে পৃথিবীকে মহাবিশ্বের কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়েছে।
-
এই তত্ত্ব অনুযায়ী সূর্য, চন্দ্র ও গ্রহসমূহ পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে।
-
তিনি ‘আলমাগেস্ট’ (Almagest) নামে বিখ্যাত গ্রন্থে তাঁর জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক মতবাদ তুলে ধরেন।
-
জ্যোতির্বিদ্যার পাশাপাশি টলেমি গণিত, ভূগোল, মানচিত্র প্রণয়ন এবং সঙ্গীত তত্ত্ব সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন।
-
তাঁর রচিত ‘জিওগ্রাফিয়া’ (Geographia) বইটি ভূগোলবিদ্যার ইতিহাসে এক অমূল্য সংযোজন।
-
টলেমির কাজ পরবর্তীকালে ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, বিশেষ করে কোপারনিকাসের যুগ পর্যন্ত তাঁর তত্ত্ব প্রাধান্য পেয়েছিল।

0
Updated: 1 day ago
'মাইসির' অর্থ কী?
Created: 1 day ago
A
সুদ
B
ঘুষ
C
জুয়া
D
মদ
‘মাইসির’ বা জুয়া ইসলামে এক ধরনের নিষিদ্ধ আর্থিক ও নৈতিক অনাচার, যা পরিশ্রম ছাড়া সম্পদ অর্জনের প্রবণতাকে বোঝায়। এটি সমাজে অন্যায়ভাবে সম্পদ হস্তান্তর ও বৈরিতা সৃষ্টি করে।
-
‘মাইসির’ (مَيْسِر) শব্দের অর্থ জুয়া বা ভাগ্যনির্ভর খেলা, যেখানে লাভ-ক্ষতি সম্পূর্ণভাবে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল।
-
এটি এসেছে আরবি ধাতু يَسَرَ থেকে, যার অর্থ সহজলাভ বা পরিশ্রম ছাড়া কিছু পাওয়া।
-
ইসলামী পরিভাষায় মাইসির এমন লেনদেন বা খেলাকে বোঝায়, যেখানে একজন লাভবান হয় এবং অন্যজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়— অর্থাৎ অন্যের ক্ষতির বিনিময়ে নিজের লাভ।
-
আল-কুরআনে মাইসিরকে নিষিদ্ধ ও শয়তানের কাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, কারণ এটি মানুষের মধ্যে বিরোধ, শত্রুতা ও নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করে।
-
ইসলামী দৃষ্টিতে বৈধ সম্পদ অর্জনের উপায় হলো পরিশ্রম, ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য ও হালাল শ্রম, ভাগ্যনির্ভর খেলা নয়।

0
Updated: 1 day ago
বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদকে কী বলে?
Created: 1 day ago
A
গনীমত
B
ফাই
C
খুমুস
D
বায়তুল মাল
বিনা যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদকে ফাই বলা হয়, যা ইসলামী অর্থব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এটি যুদ্ধ ছাড়াই মুসলমানদের হাতে আসা সম্পদ বা সম্পত্তি বোঝায়।
-
পবিত্র কুরআনের সুরা আনফাল-এর ১ম আয়াতে ফাই-এর বণ্টননীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
-
এই সম্পদ কেবল আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ)-এর নির্দেশ অনুযায়ী বণ্টিত হতো।
-
রাসুল (সাঃ) স্বীয় সিদ্ধান্তে নয়, বরং আল্লাহ তাআলার নির্দেশ অনুসারে ফাই সম্পদ বণ্টন করতেন।
-
ফাই-এর বণ্টনের উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম সমাজে ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
-
এতে দরিদ্র, অনাথ, অসহায় ও সমাজকল্যাণমূলক কার্য অন্তর্ভুক্ত থাকত, যাতে সমাজের সকল শ্রেণি এর সুফল পায়।

0
Updated: 1 day ago
ভাই ভাই সম্পর্ক বিনষ্টকারী কোন কাজ সুরা আল-হুজরাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
টাকা ধার দেয়া
B
সালাম না দেয়া
C
উপহাস ও বিদ্রূপ করা
D
দাওয়াত না দেয়া
এই আয়াতে মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্কের আদর্শ আচরণ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ অন্যকে তুচ্ছ বা অপমান না করে।
-
আয়াতে বলা হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ” — অর্থাৎ এটি সরাসরি বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে করা আহ্বান।
-
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, কারণ এতে অহংকার ও হীনমন্যতা সৃষ্টি হয়।
-
বিদ্রূপের শিকার ব্যক্তিরাই আল্লাহর কাছে উত্তম হতে পারে, তাই কাউকে ছোট করে দেখা অন্যায়ের শামিল।
-
এই আয়াত মানুষকে সম্মান, ভ্রাতৃত্ব ও নৈতিক শালীনতার শিক্ষা দেয়।
-
এটি সমাজে ঘৃণা ও বিভেদ রোধের এক গুরুত্বপূর্ণ নীতি, যা ইসলামী সামাজিক ন্যায়ের মূলভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago