'ইফক' অর্থ কী?
A
পরনিন্দা
B
মিথ্যা রটনা
C
অপবাদ
D
প্রকাশ করা
উত্তরের বিবরণ
‘ইফক’ শব্দটি ইসলামী পরিভাষায় জঘন্য মিথ্যা অপবাদ বা ভিত্তিহীন রটনার প্রতীক, যা ইসলামের ইতিহাসে এক অত্যন্ত সংবেদনশীল ও শিক্ষণীয় ঘটনার স্মারক। এই ঘটনাটি মুসলিম সমাজে সত্যনিষ্ঠা ও সতর্কতার গুরুত্ব তুলে ধরে।
১. ‘ইফক’ অর্থ জঘন্য মিথ্যা অপবাদ, যা কোনো নির্দোষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হয়।
২. এটি সম্পর্কিত সেই ঘটনা যেখানে মুনাফিকরা হজরত আয়েশা (রা.)-এর সতীত্ব সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ রটনা করেছিল।
৩. এই অপবাদ রাসুল (সা.) ও তাঁর পরিবারকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছিল এবং মুসলিম সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল।
৪. আল্লাহ তাআলা এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সুরা আন-নূরের ১১ থেকে ২০ নম্বর আয়াতে আয়েশা (রা.)-এর নির্দোষিতা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন।
৫. এসব আয়াতে গীবত, অপবাদ ও মিথ্যা প্রচারের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে কঠোর সতর্কবাণী প্রদান করা হয়েছে।
৬. ঘটনাটি মুসলমানদের জন্য শিক্ষা দেয় যে যাচাই ছাড়া কোনো সংবাদ প্রচার করা মারাত্মক অন্যায়।
৭. ‘ইফক’-এর এই ঘটনা ইসলামী সমাজে সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়।
৮. এটি মানব ইতিহাসে মিথ্যা অপবাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর ন্যায়বিচারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 1 day ago
রাসুল (সঃ) কত বছর বয়সে সিরিয়ায় প্রথম বাণিজ্যের জন্য সফর করেন?
Created: 21 hours ago
A
১৫ বছর
B
১০ বছর
C
১২ বছর
D
২০ বছর
রাসূলুল্লাহ (সা.) শৈশবকালেই তাঁর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সম্মুখীন হন। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি চাচা আবু তালিবের সঙ্গে প্রথমবার সিরিয়ার বাণিজ্য সফরে যান। এই সফরের সময় সিরিয়ার বুছরা শহরে খ্রিস্টান পাদ্রী বাহীরা তাঁর মধ্যে নবুওতের নিদর্শন চিনতে পারেন এবং ভবিষ্যতে তিনি নবী হবেন বলে ইঙ্গিত দেন।
-
এই সফর ছিল নবীজীর জীবনের প্রথম বিদেশযাত্রা ও বাণিজ্য অভিজ্ঞতা।
-
বাহীরা পাদ্রী নবীজীর মুখমণ্ডল ও আচরণ দেখে নবুওতের চিহ্ন শনাক্ত করেন।
-
তিনি আবু তালিবকে সতর্ক করেন যেন নবুওতের এই শিশুকে রক্ষা করা হয়, কারণ ইহুদি বা অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাঁকে ক্ষতি করতে পারে।
-
এই ঘটনাটি ইসলামী ইতিহাসে নবুওতের প্রারম্ভিক পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত।
-
সফরটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক ও দাওয়াতি জীবনের প্রস্তুতির একটি সূচনা হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 21 hours ago
ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি কোন নীতির ভিত্তিতে হয়ে থাকে?
Created: 21 hours ago
A
জনগনের মতামতের ভিত্তিতে
B
উপদেষ্টাদের মতামতের ভিত্তিতে
C
সামরিক বাহিনীর মতামতের আলোকে
D
আল্লার নির্দেশ ও ন্যায় বিচারের মাধ্যমে
ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি এমন একটি নীতিমালা যা মানবতার কল্যাণ, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে গঠিত। এটি আল্লাহর নির্দেশ ও ইসলামি শরীয়াহর নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়, যাতে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কও নৈতিকতা ও সত্যনিষ্ঠার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে।
১. ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি আল্লাহর নির্দেশ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।
২. এর মূল ভিত্তি হলো ইসলামি শরীয়াহ, যা প্রতিটি বিষয়ে ন্যায়, সমতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়।
৩. ইসলামী রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে শান্তি, সহযোগিতা ও ন্যায়বিচার রক্ষার উদ্দেশ্যে।
৪. এই নীতির অধীনে আগ্রাসন, শোষণ বা অন্যায়ের কোনো স্থান নেই।
৫. কুরআন ও হাদীসে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অঙ্গীকার রক্ষা, সত্যবাদিতা ও মানবিকতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৬. ইসলামী বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য হলো একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে প্রতিটি জাতি মর্যাদার সঙ্গে সহাবস্থান করতে পারে।

0
Updated: 21 hours ago
হাবসার বাদশাহ নাজজাশীর সম্মুখে মুসলমানদের পক্ষ থেকে যে সাহাবী বক্তব্য রাখেন তাঁর নাম?
Created: 1 day ago
A
হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
B
হযরত জাফর ইবনে আবি তালিব (রাঃ)
C
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
D
হযরত বেলাল ইবনে রাবাহ (রাঃ)
হযরত জাফর ইবনে আবি তালিব (রা.) হাবশার বাদশাহ নাজাশীর দরবারে ইসলামের মূল শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর বক্তব্যে ইসলামের আগমনের আগে আরব সমাজের অজ্ঞতা ও পাপাচারের চিত্র যেমন ফুটে ওঠে, তেমনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনে সেই সমাজে ন্যায়, মানবতা ও একত্ববাদের আলোকপ্রাপ্তিও প্রকাশ পায়।
পয়েন্ট আকারে—
-
হযরত জাফর (রা.) বলেন, ইসলামের আগমনের আগে আরবরা ছিল অজ্ঞ ও মূর্খ জাতি, যারা মূর্তিপূজা করত এবং মৃতদের মাংস খেত।
-
তারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করত, প্রতিবেশীর প্রতি খারাপ আচরণ করত এবং সমাজে অন্যায় ছিল স্বাভাবিক বিষয়।
-
এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত নবী হিসেবে আগমন করেন, যিনি মানুষকে একত্ববাদ, সত্য, ন্যায়বিচার ও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার শিক্ষা দেন।
-
তিনি মানুষকে অন্যায়ের পরিবর্তে ন্যায়ের পথে, মূর্তিপূজার পরিবর্তে আল্লাহর উপাসনায়, আর বিদ্বেষের পরিবর্তে ভালোবাসা ও মানবিকতায় আহ্বান জানান।
-
জাফর (রা.)-এর এই যুক্তিগ্রাহ্য ও প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্য শুনে বাদশাহ নাজাশী ইসলামের শিক্ষা সম্পর্কে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং পরবর্তীতে মুসলমানদের আশ্রয় দেন।

0
Updated: 1 day ago