স্বামী ও স্ত্রী সম্পর্কে কুরআনে কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?
A
মনের সাথে
B
দেহের সাথে
C
পোশাকের সাথে
D
ফুলের বাগানের সাথে
উত্তরের বিবরণ
এই আয়াতে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্কের গভীরতা ও পরিপূর্ণতা অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে তাদের সম্পর্ককে ‘লিবাস’ (পোশাক) এর সঙ্গে তুলনা করে একে অপরের পরিপূরক ও রক্ষাকবচ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
-
সূরা আল-বাকারা (২:১৮৭)-এ আল্লাহ বলেন, “তোমরা পরস্পরের জন্য পোশাক।”
-
পোশাক যেমন মানবদেহকে আচ্ছাদিত, রক্ষিত ও শোভিত করে, তেমনি স্বামী ও স্ত্রীও একে অপরের সম্মান, মর্যাদা ও গোপনীয়তা রক্ষা করেন।
-
এটি বোঝায় যে, দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মানসিক প্রশান্তি ও নিরাপত্তা বিদ্যমান থাকা উচিত।
-
স্বামী-স্ত্রী উভয়েই একে অপরের দোষ-ত্রুটি আড়াল করে, যেমন পোশাক দেহের ত্রুটি ঢেকে রাখে।
-
এই উপমা ইসলামী দৃষ্টিতে বিবাহকে শুধু সামাজিক বন্ধন নয় বরং আত্মিক ও নৈতিক পরিপূর্ণতার সম্পর্ক হিসেবে উপস্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago
কোন সূরায় সবচেয়ে বেশী উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টনের আলোচনা করা হয়েছে?
Created: 21 hours ago
A
সুরা নিসা
B
সুরা মরিয়ম
C
সূরা আলে-ইমরান
D
সূরা আত-তাওবা
পবিত্র কুরআনের সুরা আন্-নিসা (চতুর্থ সূরা) তে উত্তরাধিকার ও সম্পদ বণ্টন সম্পর্কে সবচেয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরায় আল্লাহ তায়ালা পরিবার ও সমাজে ন্যায়সঙ্গত সম্পদ বণ্টনের নীতি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করেছেন।
-
এখানে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ বণ্টনের নির্দিষ্ট অংশ ও নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে — পিতা-মাতা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোন ও অন্যান্য আত্মীয়ের মধ্যে কার কত অংশ প্রাপ্য তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতিমদের অধিকার রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের সম্পদ অন্যরা আত্মসাৎ না করতে পারে।
-
এই সূরায় নারীদের উত্তরাধিকার ও আর্থিক অধিকারও সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সে সময়ের সমাজে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল।
-
সুরা নিসা সমাজে ন্যায়, সমতা ও দায়িত্ববোধের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দেয়।
-
এতে সম্পদের সঠিক বণ্টনের মাধ্যমে অবিচার, বৈষম্য ও পারিবারিক বিবাদ প্রতিরোধের নীতিও নির্ধারিত হয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
কোন্ ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে মিথ্যা অপবাদ নামে পরিচিত?
Created: 1 day ago
A
ইফকের ঘটনা
B
ব্যাভিচারের ঘটনা
C
চুরির ঘটনা
D
কোনটিই নয়
ইফকের ঘটনা ইসলামি ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা মিথ্যা অপবাদ ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে গভীর শিক্ষা দেয়। এতে মুনাফিকদের কুপ্রচার ও আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্যের বিজয় প্রতিফলিত হয়েছে।
-
ইফক অর্থ অত্যন্ত জঘন্য মিথ্যা অপবাদ।
-
এই ঘটনা বনু মুসতালিক যুদ্ধের পর সংঘটিত হয়, যখন আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাফেলায় ছিলেন।
-
ফেরার পথে ভুলক্রমে কাফেলা তাঁকে রেখে চলে গেলে, মুনাফিকরা তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে দেয়।
-
মুনাফিক নেতা আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এই অপপ্রচারের মূল উদ্দোক্তা ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল নবী (সা.)-এর পরিবারকে কলঙ্কিত করা।
-
এ ঘটনায় নবী (সা.), সাহাবাগণ ও মদীনার সমাজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
-
পরে সুরা আন-নূর-এর ১১-২০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আয়েশা (রা.)-এর নির্দোষিতা ও পবিত্রতা ঘোষণা করেন।
-
এই আয়াতগুলো মিথ্যা অপবাদ, গুজব ছড়ানো ও অন্যের সম্মানহানি থেকে বিরত থাকার কঠোর সতর্কবার্তা প্রদান করে।
-
ঘটনাটি মুসলমানদের শিখিয়েছে যে, অভিযোগ প্রমাণ ছাড়া গ্রহণ করা মারাত্মক অন্যায় এবং সততা ও শুদ্ধ চরিত্র রক্ষার দায়িত্ব প্রত্যেক বিশ্বাসীর ওপর অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago
পুনর্জন্ম কোন দুটি ধর্মের মূলনীতি?
Created: 21 hours ago
A
হিন্দু ও বৌদ্ধ
B
বৌদ্ধ ও ইহুদী
C
হিন্দু ও খ্রিস্টান
D
ইহুদী ও খ্রিস্টান
হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম উভয়ই পুনর্জন্ম বা আত্মার পুনরাবর্তনের ধারণাকে কেন্দ্র করে গঠিত দুটি প্রধান ধর্ম। এই বিশ্বাস অনুসারে, আত্মা মৃত্যুর পর সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয় না বরং পূর্বজীবনের কর্মফলের ভিত্তিতে নতুন জীবনে প্রবেশ করে।
১. পুনর্জন্মের মূলনীতি উভয় ধর্মেই মানবজীবনের ধারাবাহিকতা ও কর্মফলের ন্যায়বিচারের প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত।
২. কর্ম (Karma) এখানে মূল ভূমিকা পালন করে— পূর্বজন্মের ভালো বা মন্দ কাজ পরবর্তী জন্মের অবস্থান নির্ধারণ করে।
৩. এই প্রক্রিয়া এক অন্তহীন জন্ম-মৃত্যুর চক্র (সংসার) সৃষ্টি করে, যা অব্যাহত থাকে যতক্ষণ না আত্মা মুক্তি লাভ করে।
৪. হিন্দুধর্মে এই মুক্তিকে “মোক্ষ” বলা হয়, আর বৌদ্ধধর্মে একে “নির্বাণ” বলা হয়।
৫. উভয় ধর্মেই এই মুক্তি অর্জনের জন্য আত্মসংযম, নৈতিক জীবন ও জ্ঞানচর্চাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
৬. এই বিশ্বাস মানুষকে ন্যায়পরায়ণ ও দায়িত্বশীল জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা দেয়, কারণ প্রতিটি কাজের ফল ভবিষ্যৎ জীবনে প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 21 hours ago