মহানবীর সর্বশেষ যুদ্ধ কোনটি?
A
হুনাইনের যুদ্ধ
B
খাইবারের যুদ্ধ
C
তাবুকের যুদ্ধ
D
ইয়ামামার যুদ্ধ
উত্তরের বিবরণ
মহানবীর (সা.) জীবনের সর্বশেষ যুদ্ধ ছিল তাবুক অভিযান, যা ইসলামী ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
-
এই অভিযান অনুষ্ঠিত হয় ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে (৯ হিজরির রজব মাসে)।
-
এটি ছিল মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত সর্বশেষ সামরিক অভিযান।
-
তাবুক ছিল রোমান সাম্রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা, যেখানে মুসলমানদের শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
-
এই অভিযানে প্রকৃত যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি, তবে এটি ইসলামের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অবস্থানকে দৃঢ় করেছে।
-
তাবুক অভিযানের মাধ্যমে মুসলমানদের প্রতি আরব উপদ্বীপের আনুগত্য ও ইসলামী প্রভাব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 1 day ago
তাকাফুল জায়েজ কী না?
Created: 1 day ago
A
লাভ ক্ষতির ভিত্তিতে জায়েজ
B
জায়েজ নয়
C
হারাম
D
মুবাহ্
ইসলাম পারস্পরিক সহযোগিতা ও কল্যাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত লেনদেনকে সমর্থন করে। তাই যদি কোনো বীমা বা তাকাফুল ব্যবস্থা এমন নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শরীয়তের নির্দেশ অনুযায়ী চলে এবং হারাম উপাদান থেকে মুক্ত থাকে, তবে সেটি বৈধ গণ্য হয়।
-
তাকাফুল শব্দের অর্থ পারস্পরিক দায়িত্ব বা সহযোগিতা, যা ইসলামী বীমা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত।
-
এই ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের ক্ষতি পূরণে সাহায্য করে, লাভ বা ক্ষতি ভাগাভাগি করে নেয়।
-
সংগৃহীত অর্থ যদি হালাল ব্যবসা বা শরীয়তসম্মত বিনিয়োগে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা বৈধ।
-
এতে সুদ (রিবা), জুয়া (মায়সির) বা অনিশ্চয়তা (গারার) থাকা চলবে না।
-
মূল উদ্দেশ্য হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণ, লাভ অর্জন নয় বরং সমাজে নিরাপত্তা ও সহায়তার পরিবেশ তৈরি করা।
-
শরীয়তসম্মত তাকাফুল ব্যবস্থা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক উত্তম উপায়, যা সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
ইসলামে সার্বভৌমত্তের মালিক কে?
Created: 22 hours ago
A
খলিফা
B
বাদশাহ
C
রাষ্ট্রপতি
D
আল্লাহ্
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ। মানুষের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ক্ষমতার অধিকারী নয়। ইসলামি চিন্তাধারায় এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত যে, আল্লাহই সব কিছুর সৃষ্টি, নিয়ন্ত্রণ ও বিধানদাতা।
-
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই একমাত্র সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
-
তাঁর এই ক্ষমতায় কোনো অংশীদার বা সহযোগী নেই।
-
ইসলামী রাষ্ট্রে আল্লাহর আইনই সর্বোচ্চ এবং রাষ্ট্রীয় সব ক্ষমতা তাঁর বিধানের অধীন।
-
শাসক ও প্রজারা উভয়েই আল্লাহর আদেশ ও নিষেধের প্রতি বাধ্য।
-
ইসলামী ন্যায়বিচারব্যবস্থায় মানবসৃষ্ট আইন নয়, বরং আল্লাহর নির্দেশই নীতি ও বিধানের মূল উৎস।

0
Updated: 22 hours ago
বিদায়ী হজ্জের ভাষণে কোন্ মৌলিক নীতির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে?
Created: 22 hours ago
A
যুদ্ধ কৌশল
B
যুদ্ধ বিলোপ
C
নারী অধিকার
D
মানবতার মর্যাদা ও ক্ষমতা
বিদায় হজের ভাষণ ছিল মানবতার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ মানবজাতির ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের নীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এটি শুধু ধর্মীয় নির্দেশ নয়, বরং সমগ্র মানবসমাজের জন্য এক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
মানুষের জীবন, সম্পদ ও মর্যাদা পবিত্র, এগুলোর প্রতি আঘাত বা অবমাননা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
-
জাতি, বর্ণ ও ভাষার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় কেবল তাকওয়া ও সৎকর্মের ভিত্তিতে।
-
নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়, যাতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সমাজে ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
সুদ, রক্তপাত ও অন্যায়ের সকল রূপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।
-
এই ভাষণ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন এক দলিল, যেখানে মানবতার মর্যাদা ও সমতার মূলনীতি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 22 hours ago