গৌতমবুদ্ধের নামের অংশ 'গৌতম' শব্দটি কী?
A
পারিবারিক উপাধি
B
মায়ের নামের অংশ
C
পালিত মায়ের নামের অংশের সাথে সম্পৃক্ত
D
বাবার নামের অংশ
উত্তরের বিবরণ
গৌতম বুদ্ধের প্রকৃত নাম ছিল সিদ্ধার্থ, তবে তাঁর পারিবারিক বা বংশগত উপাধি ছিল গৌতম। এই উপাধি তাঁর বংশপরিচয় নির্দেশ করে এবং ইতিহাসে তাঁকে “গৌতম বুদ্ধ” নামেই সর্বাধিক পরিচিত করেছে।
-
‘গৌতম’ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘গোতম’ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ হলো “গোত্রে শ্রেষ্ঠ” বা “জ্ঞানে বিশিষ্ট ব্যক্তি”।
-
তিনি ছিলেন শাক্য বংশের রাজপুত্র, এবং তাঁর জনপদের নাম ছিল শাক্য গণরাজ্য।
-
তাঁর পিতার নাম ছিল শুদ্ধোধন ও মাতার নাম মায়াদেবী।
-
‘গৌতম’ উপাধিটি তাঁর বংশপরিচয় ও ঐতিহ্যের প্রতীক, যা তাঁর আধ্যাত্মিক পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
-
পরবর্তীতে যখন তিনি জ্ঞানলাভ করে বুদ্ধত্ব অর্জন করেন, তখন তাঁকে ‘গৌতম বুদ্ধ’ বলা হয়—যার অর্থ “গৌতম বংশীয় জ্ঞানপ্রাপ্ত ব্যক্তি”।
-
এই নাম ইতিহাসে তাঁকে শুধু ধর্মপ্রবর্তক নয়, বরং জ্ঞান, করুণা ও মুক্তির প্রতীক হিসেবে অমর করেছে।

0
Updated: 1 day ago
যাকাত প্রদান অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে কে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন?
Created: 21 hours ago
A
হযরত আলী (রাঃ)
B
হযরত ওমর (রাঃ)
C
হযরত ওসমান (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
হযরত আবু বকর (রা.), ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে, যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি এটিকে শুধু আর্থিক অমান্যতা নয়, বরং ইসলামের একটি মৌলিক স্তম্ভের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে দেখেছিলেন।
-
নবী করিম (সা.)-এর wafat-এর পর কিছু গোত্র যাকাত প্রদান বন্ধ করে দেয় এবং এটিকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের অধিকার বলে দাবি করে।
-
হযরত আবু বকর (রা.) দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে।
-
তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেক সাহাবি প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও পরে হযরত উমর (রা.) তাঁর অবস্থানের সমর্থন করেন।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হন, এবং ফলস্বরূপ ইসলামের অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
-
ইতিহাসে এই যুদ্ধগুলো পরিচিত “হুরুবুর রিদ্দা” (বিদ্রোহ দমন যুদ্ধ) নামে।হযরত আবু বকর (রা.), ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে, যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি এটিকে শুধু আর্থিক অমান্যতা নয়, বরং ইসলামের একটি মৌলিক স্তম্ভের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে দেখেছিলেন।
-
নবী করিম (সা.)-এর wafat-এর পর কিছু গোত্র যাকাত প্রদান বন্ধ করে দেয় এবং এটিকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের অধিকার বলে দাবি করে।
-
হযরত আবু বকর (রা.) দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে।
-
তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেক সাহাবি প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও পরে হযরত উমর (রা.) তাঁর অবস্থানের সমর্থন করেন।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হন, এবং ফলস্বরূপ ইসলামের অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
-
ইতিহাসে এই যুদ্ধগুলো পরিচিত “হুরুবুর রিদ্দা” (বিদ্রোহ দমন যুদ্ধ) নামে।
-

0
Updated: 21 hours ago
মদিনায় গিয়ে রাসুল (সাঃ) সর্বপ্রথম কার মেহমান হন?
Created: 21 hours ago
A
আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ)
B
আব্দুর রাহমান বিন আউফ (রাঃ)
C
আবু জার গিফারী (রাঃ)
D
মুসআব ইবনু উমাইর
মদিনায় হিজরতের পর নবী করিম (সা.) যখন সেখানে পৌঁছান, তখন তিনি সর্বপ্রথম হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.)-এর ঘরে মেহমান হন। তিনি ছিলেন নবীর প্রতি অতুলনীয় ভালোবাসা ও আতিথেয়তার উদাহরণ।
-
তাঁর আসল নাম ছিল খালেদ ইবনে জায়েদ ইবনে কুলাইব।
-
নবী (সা.)-এর আগমনে মদিনার লোকেরা নিজেদের ঘরে তাঁকে আতিথ্য দেওয়ার অনুরোধ করলেও, উটের থামার স্থানে নবী (সা.) থাকার সিদ্ধান্ত নেন, আর সেটিই ছিল আবু আইয়ুব (রা.)-এর বাড়ি।
-
নবী (সা.) কিছু দিন তাঁর ঘরের নিচতলায় অবস্থান করেন এবং ইসলামী সমাজ গঠনের ভিত্তি স্থাপন শুরু করেন।
-
হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) পরবর্তীতে জিহাদে অংশগ্রহণ ও ইসলামের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
তাঁর মাজার বর্তমানে ইস্তানবুলে (তুরস্ক) অবস্থিত এবং এটি মুসলমানদের জন্য এক ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন।

0
Updated: 21 hours ago
যে হাদিসের সনদের দোষ-ত্রুটি গোপন করা হয় তাকে বলে?
Created: 1 day ago
A
মুদাল্লাস
B
মন্কাতা
C
শাম
D
মাক্তু
মুদাল্লাস হাদীস এমন একটি হাদীস যার সনদে অস্পষ্টতা বা গোপনতা থাকে। এতে কোনো বর্ণনাকারী তার শিক্ষক বা যিনি তাকে হাদীসটি বলেছেন, তার নাম উল্লেখ না করে এমনভাবে বর্ণনা করেন যেন তিনি সরাসরি তার কাছ থেকে শুনেছেন। এর ফলে সনদের একটি স্তর আড়াল হয়ে যায়, যা হাদীসের নির্ভরযোগ্যতায় প্রভাব ফেলে।
পয়েন্ট আকারে—
-
মুদাল্লাস হাদীস শব্দটি এসেছে “তাদলিস” থেকে, যার অর্থ গোপন করা বা আড়াল করা।
-
এতে বর্ণনাকারী ইচ্ছাকৃতভাবে বা অসাবধানতাবশত সনদের ত্রুটি বা দুর্বলতা লুকিয়ে রাখেন।
-
তিনি এমনভাবে হাদীস বর্ণনা করেন যেন সরাসরি তার শিক্ষক থেকে শুনেছেন, অথচ বাস্তবে অন্য কারও মাধ্যমে শুনেছেন।
-
এ কারণে এই ধরণের হাদীস বিশুদ্ধতার দিক থেকে দুর্বল বা যাচাইযোগ্য নয় বলে বিবেচিত হয়।
-
হাদীসবিদগণ মুদাল্লাস বর্ণনাকারীদের সনদ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেন যাতে সত্যতা নিশ্চিত করা যায়।

0
Updated: 1 day ago