কত হিজরিতে বদর যুদ্ধ সংগঠিত হয়?
A
প্রথম হিজরি
B
তৃতীয় হিজরি
C
পঞ্চম হিজরি
D
দ্বিতীয় হিজরি
উত্তরের বিবরণ
বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা ইসলামের শক্তি ও বিশ্বাসের প্রথম সুস্পষ্ট বিজয় হিসেবে স্বীকৃত। এটি মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল এবং ইসলামের ভবিষ্যৎ ভিত্তি স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।
পয়েন্ট আকারে—
-
বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ২ হিজরি, ১৭ রমজান (১৩ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে।
-
এটি ইসলামের ইতিহাসে প্রথম ও সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।
-
যুদ্ধটি হয় মদিনার মুসলমান ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে।
-
মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আর কুরাইশদের নেতৃত্বে ছিলেন আবু জাহল।
-
মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় ৩১৩ জন, আর কুরাইশদের সংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার।
-
আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানরা এই যুদ্ধে বিজয় লাভ করে, যা ইসলামের অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
বদরের বিজয় মুসলিম সমাজে ঐক্য, আত্মবিশ্বাস ও ঈমানের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 1 day ago
ইসলামী রাষ্ট্রে জোর জবরদস্তি আছে কী?
Created: 1 day ago
A
আছে, আইনের ব্যবস্থাপনায়
B
নাই
C
কিছু ধর্মীয় অনুশাসনের ক্ষেত্রে
D
ধর্মীয় ও আইন উভয় ক্ষেত্রে
ইসলামী রাষ্ট্রে ধর্ম ও আইনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামের মূলনীতি অনুযায়ী ধর্মের বিষয়ে কোনো প্রকার জোর-জবরদস্তি নেই, তবে সমাজে ন্যায়বিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রয়োগ অপরিহার্য।
-
কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—“ধর্মে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই” (সূরা আল-বাকারা ২:২৫৬); অর্থাৎ কেউ কাউকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করতে পারে না।
-
তবে আইন ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তাই অপরাধ, অন্যায় বা অবাধ্যতার ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
-
ইসলামী শাসনব্যবস্থায় ধর্মীয় বিধান ও নাগরিক আইন—দুটিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
প্রশ্নে যেহেতু কেবল “জোর-জবরদস্তি” বলা হয়েছে, কিন্তু ধর্ম বিষয়টি নির্দিষ্ট করা হয়নি, তাই এর আওতা বিস্তৃত হয়ে ধর্মীয় ও আইন উভয় ক্ষেত্রকেই অন্তর্ভুক্ত করে।
-
এই নীতির উদ্দেশ্য হলো সমাজে ন্যায়, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা, যাতে সবাই স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ থাকে।

0
Updated: 1 day ago
ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি কোন নীতির ভিত্তিতে হয়ে থাকে?
Created: 22 hours ago
A
জনগনের মতামতের ভিত্তিতে
B
উপদেষ্টাদের মতামতের ভিত্তিতে
C
সামরিক বাহিনীর মতামতের আলোকে
D
আল্লার নির্দেশ ও ন্যায় বিচারের মাধ্যমে
ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি এমন একটি নীতিমালা যা মানবতার কল্যাণ, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে গঠিত। এটি আল্লাহর নির্দেশ ও ইসলামি শরীয়াহর নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়, যাতে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কও নৈতিকতা ও সত্যনিষ্ঠার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে।
১. ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি আল্লাহর নির্দেশ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।
২. এর মূল ভিত্তি হলো ইসলামি শরীয়াহ, যা প্রতিটি বিষয়ে ন্যায়, সমতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়।
৩. ইসলামী রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে শান্তি, সহযোগিতা ও ন্যায়বিচার রক্ষার উদ্দেশ্যে।
৪. এই নীতির অধীনে আগ্রাসন, শোষণ বা অন্যায়ের কোনো স্থান নেই।
৫. কুরআন ও হাদীসে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অঙ্গীকার রক্ষা, সত্যবাদিতা ও মানবিকতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৬. ইসলামী বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য হলো একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে প্রতিটি জাতি মর্যাদার সঙ্গে সহাবস্থান করতে পারে।

0
Updated: 22 hours ago
পবিত্র কোরআনের কোন্ সূরায় লৌহের কথা উল্লেখ করেন?
Created: 22 hours ago
A
সূরা বাকারা
B
সূরা নাস
C
সূরা হাদীদ
D
সূরা ফীল্
সূরা আল-হাদীদ পবিত্র কোরআনের ৫৭ নম্বর সূরা, যেখানে ২৫ নম্বর আয়াতে লোহার (হাদীদ) উল্লেখ পাওয়া যায়। এতে বলা হয়েছে,
“আর আমি লৌহ (লোহা) নাযিল করেছি, যাতে আছে প্রচণ্ড শক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ।”
-
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা লোহার শক্তি, উপযোগিতা ও মানবকল্যাণে ভূমিকার কথা প্রকাশ করেছেন।
-
সূরার নাম ‘আল-হাদীদ’ অর্থাৎ ‘লোহা’, যা এই আয়াত থেকেই গৃহীত।
-
লোহা মানবসভ্যতার অগ্রগতি, যুদ্ধ, নির্মাণ ও প্রযুক্তি সবক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
আয়াতের ভাষা থেকে বোঝা যায়, লোহা পৃথিবীতে স্বাভাবিকভাবে নয়, বরং আল্লাহর ইচ্ছায় প্রেরিত এক বিশেষ অনুগ্রহ।
-
বিজ্ঞানীরাও পরবর্তীতে প্রমাণ করেন যে লোহার মূল উপাদান নক্ষত্রে সৃষ্টি হয়ে পৃথিবীতে এসেছে, যা আয়াতের অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 22 hours ago