A
তিসি
B
মালি
C
লাউ
D
মেয়ে
উত্তরের বিবরণ
• দ্বিস্বরধ্বনি যুক্ত শব্দ - লাউ।
দ্বিস্বরধ্বনি:
- পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হলে দ্বিস্বরধ্বনি হয়।
যেমন:
- 'লাউ' শব্দের [আ] পূর্ণ স্বরধ্বনি এবং [উ্] অর্ধস্বরধ্বনি মিলে দ্বিস্বরধ্বনি [আউ্] তৈরি হয়েছে।
দ্বিস্বরধ্বনির কিছু উদাহরণ:
- [আই]: তাই, নাই,
- [এই]: সেই, নেই,
- [উই]: দুই, রুই,
- [ওউ]: মৌ, বউ।
বাংলা বর্ণমালায় দুটি দ্বিস্বরধ্বনির জন্য আলাদা বর্ণ নির্ধারিত আছে, যথা: ঐ এবং ঔ।
» ঐ-এর মধ্যে দুটি ধ্বনি আছে, একটি পূর্ণ স্বরধ্বনি [ও] এবং একটি অর্ধস্বরধ্বনি [ই্]।
» একইভাবে ঔ-এর মধ্যে রয়েছে একটি পৃ স্বরধ্বনি [ও] এবং একটি অর্ধস্বরধ্বনি [উ্]।
অন্যদিকে,
"তিসি; মালি; মেয়ে" এর ক্ষেত্রে- দুটি পৃথক স্বরধ্বনি রয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি, (২০২১ সংস্করণ), মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 days ago
নিচের কোনটিতে বিরামচিহ্ন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি?
Created: 2 weeks ago
A
ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১
B
২৬ মার্চ, ১৯৭১
C
ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
D
পয়লা বৈশাখ, চৌদ্দশো সাত
- যতিচিহ্নের অশুদ্ধ প্রয়োগ ঘটেছে ‘ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২’ বাক্যে।
• বাক্যটির শুদ্ধরূপ হবে- ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
------------------------
• যতিচিহ্ন:
মুখের কথা লিখিত রূপ দেওয়ার সময় কম-বেশি থামা বোঝাতে যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। বক্তব্যকে স্পষ্ট করতেও যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়।যতিচিহ্নকে বিরামচিহ্ন বা বিরতি চিহ্নও বলা হয়।
• কমা:
- কমা সামান্য বিরতি নির্দেশ করে। কমা পূর্ণযতি নয়, তাই কমা দিয়ে কোনো বাক্য শেষ হয় না। কমা চিহ্নের বাংলা নাম পাদচ্ছেদ।
- শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমার ব্যবহার হয়।
• সম্বোধন পদের পরে সাধারণত কমা বসে।
যেমন:
- স্যার, আমাকে ব্যাপারটি বুঝিয়ে দেবেন?
- রব, এদিকে এসো।
• বাক্যে একাধিক বিশেষ্য কিংবা বিশেষণ পদের বিবৃতি প্রকাশের ক্ষেত্রে কমা বসাতে হয়।
যেমন:
- জনি বুদ্ধিমান, সাহসী ও জ্ঞানী।
- মীম, সানি, হারুন ও রব কক্সবাজার গিয়েছে।
• তারিখ লিখতে বার ও মাসের পরে ‘কমা’ বসে।
যেমন:
- ১৯শে আশ্বিন, বৃহস্পতিবার, ১৪২৫ সালে মীম বান্দরবান জেলায় জন্মগ্রহণ করে।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ এবং বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 weeks ago
কোন সাহিত্যাদর্শের মর্মে নৈরাশ্যবাদ আছে?
Created: 1 week ago
A
রোমান্টিসিজম
B
আধুনিকতাবাদ
C
উত্তরাধুনিকতাবাদ
D
বাস্তববাদ
উত্তর-আধুনিকতাবাদ:
- উত্তর-আধুনিকবাদ মতটি সংস্কৃতি, সাহিত্য, শিল্প, দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি, স্থাপত্য, সমালোচনার ক্ষেত্রে Deconstruction ও Post-structural- ism-এর সঙ্গে অনেকটাই সংশ্লিষ্ট।
- Postmodernism শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৮৭০ সালে। জন ওয়াটকিনস চ্যাপম্যান ফরাসি Impressionism থেকে চিত্রকলাকে পৃথক করার জন্য প্রথম এই ধারার চিত্রের কথা বলেন।
- সাহিত্যের ক্ষেত্রে Postmodern ধারণাটি প্রথম আসে ১৯৭২ সালে আমেরিকান 'সীমান্ত ২' (Boundary 2) পত্রিকার মাধ্যমে। ডেভিড এনটিন, চার্লস অলসন, জর্জ লুইস বর্জ প্রমুখ এই ধারাকে বেগবান করেন। আরব-আমেরিকার লেখক ইহাব হাসান ১৯৭১ সালে উত্তর-আধুনিক ধারায় সাহিত্য সমালোচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
- উত্তর-আধুনিকতার মূলকথা হচ্ছে: 'সব কিছুই বহমান ও খণ্ডিত। সত্যের কোনো বস্তুগত রূপ নেই। সমস্ত নৈতিক, সামাজিক রীতি-নীতি কৃত্রিম, বিধি বহির্ভূত অকারণ ও বাইরে থেকে চাপানো; সত্য কেবল বিষয়গত ও আধ্যাত্মীয়।'
- আরনল্ড টয়েনবি, আরভিং হো, হ্যারি লেভিন, এডওয়ার্ড সাইড প্রমুখ উত্তর-আধুনিক ধারার সমর্থক।
- এই ধারা মূলত আধুনিকতার বিপরীতে পথসন্ধান করে এবং মধ্যযুগের মূল্যবোধে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মধ্যযুগ ব্যাখ্যায় বৈজ্ঞানিকতার বদলে অনেকে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় স্থিত হন। এখানেই উত্তর-আধুনিকতার সীমাবদ্ধতা।
- মূলত নৈরাশ্য থেকে এ পথে তারা সর্বসমস্যার সমাধান খোঁজেন। তখন আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে তারা পতিত হন ধর্মমোহে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago
যে পদে বাক্যের ক্রিয়াপদটির গুণ, প্রকৃতি, তীব্রতা ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থা বোঝায়, তাকে বলা হয়-
Created: 2 weeks ago
A
ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
B
ক্রিয়াবিশেষণ
C
ক্রিয়াবিশেষ্যজাত বিশেষণ
D
ক্রিয়াবিভক্তি
• ক্রিয়াবিশেষণ:
ক্রিয়াবিশেষণ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে। ক্রিয়াবিশেষণ বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে। এটি ক্রিয়ার গুণ, প্রকৃতি, তীব্রতা, বৈশিষ্ট্য ও অর্থ-প্রকাশক শব্দ হিসেবে কাজ করে এবং ক্রিয়া সময় স্থান, প্রকার, উৎস, উপকরণ ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থার অর্থগত ধারণা দেয়।
নিচের বাক্যে নিম্নরেখ শব্দগুলাে ক্রিয়া বিশেষণের উদাহরণ:
- ছেলেটি দ্রুত দৌড়ায়।
- লোকটি ধীরে হাঁটে।
এখানে দ্রুত, ধীরে শব্দ গুলো হল ক্রিয়া বিশেষণ।
ক্রিয়া বিশেষণকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
• ধরনবাচক ক্রিয়া বিশেষণ: কোনাে ক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরন বাচক ক্রিয়াবিশেষণ তা নির্দেশ করে।
যেমন
- টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে।
- ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না।
• কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: এই ধরনের ক্রিয়াবিশেষণ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল নির্দেশ করে।
যেমন:
- যথাসময়ে সে হাজির হয় ।
• স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: ক্রিয়ার স্থান নির্দেশ করে স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ।
যেমন: মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়।
• নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: না, নি ইত্যাদি দিয়ে ক্রিয়ার নেতিবাচক অবস্থা বোঝায়। এগুলো সাধারণত ক্রিয়ার পরে বসে।
যেমন:
- তিনি আর এখন ক্রিকেট খেলেন না।
• পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ: 'কি', 'যে', 'বা', 'না', 'ত' ইত্যাদি পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে কাজ করে।
যেমন:
- আমি কি যাব?
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ) এবং ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 weeks ago