পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান কোনটি?
A
আটলান্টিক সনদ
B
মেঘনাকার্টা
C
মদিনা সনদ
D
আমেরিকান সনদ
উত্তরের বিবরণ
মদিনা সনদ মানব ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান হিসেবে স্বীকৃত, যা সমাজে শান্তি, ন্যায় ও পারস্পরিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এটি নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে প্রণীত হয়।
১. মদিনা সনদটি মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় আগমন-এর পর মুসলমান, ইহুদি ও অন্যান্য গোত্রের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণের জন্য প্রণীত হয়।
২. এটি বিভিন্ন ধর্ম, গোত্র ও জাতিগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করার প্রথম লিখিত চুক্তি।
৩. নবী করিম (সা.) এই সনদের মাধ্যমে মদিনাকে একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করেন, যেখানে সবাই সমান অধিকার ভোগ করত।
৪. এতে নাগরিক অধিকার, ন্যায়বিচার, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
৫. সনদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল সুশাসন, ন্যায় ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা এবং সংঘাত নিরসনের নীতি নির্ধারণ করা।
৬. মদিনা সনদ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রথম সংবিধানিক ভিত্তি হিসেবে গণ্য হয়।
৭. এটি বিশ্ব ইতিহাসে ধর্মীয় সহনশীলতা ও নাগরিক সমতার সর্বপ্রথম উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
৮. এই সনদের মাধ্যমে নবী (সা.) এমন এক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে ইসলামী সভ্যতার ন্যায়নিষ্ঠ ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
হযরত আবু সুফিয়ান কখন ইসলাম গ্রহণ করেন?
Created: 1 day ago
A
হুদাইবিয়ার সন্ধির সময়
B
মক্কা বিজয়ের সময়
C
উহুদের যুদ্ধের সময়
D
খন্দকের যুদ্ধের সময়
৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন, যা ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। দীর্ঘ সময় তিনি ইসলামের বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত সত্য গ্রহণ করেন।
১. তাঁর পূর্ণ নাম ছিল আবু সুফিয়ান ইবন হারব, এবং তিনি কুরাইশ গোত্রের প্রধান নেতা ছিলেন।
২. তিনি ছিলেন রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই ও দুধ ভাই, অর্থাৎ পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত।
৩. ইসলামের প্রারম্ভিক সময়ে তিনি মুসলমানদের অন্যতম প্রবল বিরোধী ও যুদ্ধনেতা ছিলেন।
৪. তিনি উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধসহ বহু যুদ্ধে কুরাইশ বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৫. মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে রাসুল (সা.)-এর সাথে সাক্ষাতের পর তিনি ইসলামের সত্যতা উপলব্ধি করে ইসলাম গ্রহণ করেন।
৬. ইসলাম গ্রহণের পর তিনি মুসলমানদের মধ্যে সম্মানজনক স্থান লাভ করেন এবং পরবর্তীতে মুয়াবিয়া (রা.)-এর পিতা হিসেবে মুসলিম ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
৭. তাঁর ইসলাম গ্রহণ মক্কাবাসীর মনোভাব পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং মক্কা বিজয়কে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago
তাকাফুল জায়েজ কী না?
Created: 1 day ago
A
লাভ ক্ষতির ভিত্তিতে জায়েজ
B
জায়েজ নয়
C
হারাম
D
মুবাহ্
ইসলাম পারস্পরিক সহযোগিতা ও কল্যাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত লেনদেনকে সমর্থন করে। তাই যদি কোনো বীমা বা তাকাফুল ব্যবস্থা এমন নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শরীয়তের নির্দেশ অনুযায়ী চলে এবং হারাম উপাদান থেকে মুক্ত থাকে, তবে সেটি বৈধ গণ্য হয়।
-
তাকাফুল শব্দের অর্থ পারস্পরিক দায়িত্ব বা সহযোগিতা, যা ইসলামী বীমা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত।
-
এই ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের ক্ষতি পূরণে সাহায্য করে, লাভ বা ক্ষতি ভাগাভাগি করে নেয়।
-
সংগৃহীত অর্থ যদি হালাল ব্যবসা বা শরীয়তসম্মত বিনিয়োগে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা বৈধ।
-
এতে সুদ (রিবা), জুয়া (মায়সির) বা অনিশ্চয়তা (গারার) থাকা চলবে না।
-
মূল উদ্দেশ্য হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণ, লাভ অর্জন নয় বরং সমাজে নিরাপত্তা ও সহায়তার পরিবেশ তৈরি করা।
-
শরীয়তসম্মত তাকাফুল ব্যবস্থা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক উত্তম উপায়, যা সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
হাদিস বর্ণনাকারীর ধারাবাহিকতাকে কী বলে?
Created: 21 hours ago
A
সনদ
B
মতন
C
রেওয়ায়ত
D
দেরায়ত
হাদীস বর্ণনার ধারাবাহিকতাকে সনদ (سند) বলা হয়, যা হাদীস বিজ্ঞানের একটি মৌলিক উপাদান। এটি হাদীসের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
সনদ হলো হাদীস বর্ণনার সূত্র বা পরম্পরা, যা নবী করিম (সঃ) থেকে শুরু হয়ে একের পর এক বর্ণনাকারীর মাধ্যমে সংকলক পর্যন্ত পৌঁছায়।
-
প্রত্যেক বর্ণনাকারীর বিশ্বাসযোগ্যতা, স্মৃতি ও সততা যাচাই করে সনদের মান নির্ধারণ করা হয়।
-
সনদ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায়, একটি হাদীস সহীহ, হাসান, দাঈফ বা মওযু কোন শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত।
-
ইসলামী বিদ্যায় এটি এমন এক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যা ইতিহাসে জ্ঞান সংরক্ষণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃত।
-
সুতরাং, সনদ হাদীস বিজ্ঞানে বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রামাণিকতার মূল ভিত্তি।

0
Updated: 21 hours ago