ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম নিরাপত্তা করকে কী বলা হয়?
A
উশর
B
জিজিয়া
C
দিয়াত
D
খারাজ
উত্তরের বিবরণ
জিযিয়া হলো ইসলামী শাসনব্যবস্থার একটি আর্থ-সামাজিক বিধান, যা অমুসলিম নাগরিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সংরক্ষণের নিশ্চয়তা দেয়।
-
জিযিয়া (الْجِزْيَةُ) অর্থ নির্ধারিত অর্থকর বা ট্যাক্স, যা ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম নাগরিকদের (আহলে জিম্মা) কাছ থেকে আদায় করা হয়।
-
এই করের বিনিময়ে তাদের জান-মাল, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
-
মুসলমানরা যেখানে যাকাত প্রদান করে, সেখানে অমুসলিম নাগরিকরা জিযিয়া প্রদান করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে।
-
জিযিয়া প্রদানের পর তারা ইসলামী রাষ্ট্রের সুরক্ষা ও প্রশাসনিক সুবিধা ভোগ করে, এবং তাদের ধর্মীয় আচারে কোনো বাধা দেওয়া হয় না।
-
ইসলামী ইতিহাসে এই বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ন্যায়বিচার, সহাবস্থান ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তার ভিত্তিতে।

0
Updated: 1 day ago
যাতুন নিকাতাইন কার উপাধি?
Created: 22 hours ago
A
হযরত যয়নব (রাঃ)
B
হযরত আসমা (রাঃ)
C
হযরত আয়েশা (রাঃ)
D
হযরত সুমাইয়া (রাঃ)
‘যাতুন নিকাতাইন’ উপাধিটি প্রদান করা হয়েছিল হযরত আসমা বিনতে আবু বকর (রা.)-কে। তিনি ছিলেন ইসলামের প্রাথমিক যুগের সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ নারী।
-
মদিনায় হিজরতের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)-এর জন্য খাবার বহন করেন।
-
খাবার রাখার দুটি বস্তার মুখ বাঁধার জন্য তিনি নিজের কোমরবন্ধনী (নিকাত) ছিঁড়ে দুই ভাগে ভাগ করেন।
-
এই ত্যাগ ও বুদ্ধিমত্তার কারণে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ‘যাতুন নিকাতাইন’ উপাধি দেন, যার অর্থ ‘দুই কোমরবন্ধনীওয়ালা নারী’।
-
তাঁর এই কাজ ইসলামী ইতিহাসে ত্যাগ, বুদ্ধি ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মরণীয়।

0
Updated: 22 hours ago
ব্যাভিচার প্রমান করার জন্য কতজন লোকের সাক্ষ্য প্রয়োজন?
Created: 1 day ago
A
৪ জন
B
৬ জন
C
২ জন
D
৩ জন
নিচে দেওয়া বাক্যটির অর্থ ও স্পষ্টতা বজায় রেখেই সংক্ষেপে পুনঃলিখন করা হল।
-
যেসব নারী ব্যভিচার করবে, তাদের বিরুদ্ধে চারজন পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
-
যদি ওই চারজন সাক্ষ্য প্রদান করে, তাহলে ঐ নারীকে গৃহে আবদ্ধ করে রাখা হবে।
-
আবদ্ধ রাখার মেয়াদ হলো যতক্ষণ না তাদের মৃত্যু হয় বা আল্লাহ তাদের জন্য কোনো পৃথক পথ বের করেন।

0
Updated: 1 day ago
ইসলামী বীমা বা তাকাফুলের মূল সুবিধা-
Created: 1 day ago
A
সামাজিক নিরাপত্তা
B
সম্পদ সংরক্ষন
C
সামাজিক নিরাপত্তা ও পরস্পারিক সহায়তা
D
ইসলামী বীমা বা তাকাফুল এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থা যা সামাজিক দায়িত্ববোধ, পারস্পরিক সহযোগিতা ও ন্যায্যতার নীতিতে প্রতিষ্ঠিত। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজে নিরাপত্তা সৃষ্টি করা এবং সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার বন্ধন জোরদার করা।
পয়েন্ট আকারে—
-
তাকাফুল শব্দটি আরবি “তাকাফুল” থেকে এসেছে, যার অর্থ পারস্পরিক সহযোগিতা বা দায়িত্ব ভাগাভাগি।
-
এতে অংশগ্রহণকারীরা একটি সম্মিলিত তহবিল গঠন করেন, যা থেকে সদস্যদের সম্ভাব্য ক্ষতি পূরণ করা হয়।
-
এটি প্রচলিত বীমার ইসলামী বিকল্প, যেখানে সুদ (রিবা), জুয়া (মায়সির) ও অনিশ্চয়তা (গারার) পরিহার করা হয়।
-
তাকাফুল ব্যবস্থা ভ্রাতৃত্ব, সংহতি, ন্যায়বিচার ও পরস্পর সহায়তার নীতির ওপর পরিচালিত হয়।
-
এতে লাভের উদ্দেশ্য নয়, বরং সমাজে নিরাপত্তা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য।
-
অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের ক্ষতির ভার ভাগাভাগি করে, ফলে এটি এক ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।
-
ইসলামী অর্থনীতিতে তাকাফুলকে নৈতিক ও শরিয়তসম্মত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আদর্শ পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 1 day ago