রাঈসুল মুফাসসিরীন কার উপাধি?
A
আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ)
B
আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রাঃ)
C
হযরত আবু বকর (রাঃ)
D
হযরত ওসমান (রাঃ)
উত্তরের বিবরণ
‘রঈসুল মুফাসসিরীন’ উপাধি প্রদান করা হয়েছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-কে, যিনি কুরআনের ব্যাখ্যায় অতুলনীয় জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী ছিলেন।
-
তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চাচাতো ভাই এবং ইসলামী জ্ঞানে বিশেষভাবে কুরআনের তাফসিরে খ্যাতিমান।
-
রাসুল (সা.) তাঁর জন্য দোয়া করেছিলেন, যাতে আল্লাহ তাঁকে কুরআনের গভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করেন।
-
তাঁর তাফসিরে ভাষাগত বিশ্লেষণ, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও অর্থগত ব্যাখ্যা অসাধারণভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
পরবর্তী প্রজন্মের মুফাসসিররা তাঁকে কুরআন ব্যাখ্যার মৌলিক পথপ্রদর্শক হিসেবে অনুসরণ করেছেন।
-
তাই তাঁকে ‘কুরআনের প্রধান ব্যাখ্যাকারী’ বা ‘রঈসুল মুফাসসিরীন’ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন কতজন সাক্ষী প্রয়োজন?
Created: 21 hours ago
A
দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী
B
দুইজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন নারী
C
একজন পুরুষ ও একজন নারী
D
একজন পুরুষ ও তিন জন নারী
বিবাহের আকদ বা চুক্তি ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যেখানে সাক্ষীর উপস্থিতি অপরিহার্য। কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী, সাক্ষী হিসেবে দুজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুজন নারী থাকা আবশ্যক। এতে চুক্তির স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
-
সূত্র: সুরা আল-বাকারা, আয়াত ২৮২—এ আয়াতে সাক্ষীর সংখ্যা ও শর্ত স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
বিয়ের সময় সাক্ষীরা প্রস্তাব (ইজাব) ও কবুল (কবুল) উভয় বক্তব্য শুনে উপস্থিত থাকতে হবে।
-
সাক্ষী হতে হবে বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন ব্যক্তি, যাতে পরবর্তীতে কোনো বিভ্রান্তি বা অস্বীকারের সুযোগ না থাকে।
-
ইসলামে সাক্ষীর উপস্থিতি বিবাহের বৈধতা ও সামাজিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করার একটি মূল শর্ত।
-
এই নিয়মের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার ও পারিবারিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং বিবাহ সম্পর্কের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

0
Updated: 21 hours ago
জাবির বিন হাইয়ান কিসে বিখ্যাত?
Created: 1 day ago
A
আধুনিক রসায়ন
B
সাহিত্য
C
আধুনিক হস্তশিল্প
D
শিল্পকলা
জাবির বিন হাইয়ান ছিলেন বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যিনি আধুনিক রসায়নের ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে খ্যাত। তাঁর অবদান রসায়নকে জাদুবিদ্যা বা আলকেমির পর্যায় থেকে বের করে এনে একটি পরীক্ষাভিত্তিক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
-
তিনি স্ফটিকীকরণ, পাতন, পরিস্রাবণ, বাষ্পীভবন প্রভৃতি পরীক্ষাগারিক প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন ও ব্যবহারিক রূপ দেন।
-
তাঁর গবেষণায় অম্ল (Acid), ক্ষার (Alkali) এবং রাসায়নিক যৌগের সংমিশ্রণ ও বিভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
-
জাবির বিন হাইয়ানকে পশ্চিমা জগতে “Father of Chemistry” নামে অভিহিত করা হয়।
-
তিনি প্রায় দুই হাজারেরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন বলে ধারণা করা হয়, যার মধ্যে বহু গ্রন্থ আজও বৈজ্ঞানিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে গণ্য।
-
তাঁর গবেষণা পরবর্তীকালে আবিসেনা (ইবনে সিনা), আল রাজি এবং ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।
-
তাঁর কাজ প্রমাণ করে যে ইসলামি স্বর্ণযুগে বিজ্ঞান ও জ্ঞানচর্চা ছিল যুক্তি, পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।

0
Updated: 1 day ago
দাসদের প্রতি ইসলামের মূল দৃষ্টিভঙ্গি-
Created: 1 day ago
A
সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ
B
তাদের দ্বারা অর্থ উপার্জন
C
সামাজিক কাজে লাগানো
D
মানবিক মর্যাদা প্রদান ও ন্যায্য আচরণ
ইসলাম দাসপ্রথা বিলোপে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। ইসলামের আগমনের পূর্বে সমাজে দাসত্ব ছিল প্রচলিত ও নির্মম একটি প্রথা, কিন্তু ইসলাম ধীরে ধীরে সেই ব্যবস্থা সংস্কার করে মানবিক ও ন্যায্যতার পথে পরিচালিত করেছে।
পয়েন্ট আকারে—
-
ইসলামের আবির্ভাবকালে দাসত্বের নানা উৎস ও পথ বিদ্যমান ছিল, ইসলাম সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
-
একই সঙ্গে ইসলাম দাসদের মুক্ত করার বহু সুযোগ ও উৎসাহের ব্যবস্থা করেছে।
-
কেবল যুদ্ধে বন্দী হওয়া কাফির, মুশরিক ও তাদের নারী-শিশুদের দাসত্বের আওতায় আনা হতো।
-
যুদ্ধবন্দীরা যদি ইসলাম গ্রহণ করত, তবে তারা মুক্তি পেত এবং সমাজে স্বাধীন নাগরিক হিসেবে অবস্থান করত।
-
ইসলাম দাসদের সাথে উত্তম আচরণ, সমান খাদ্য ও বস্ত্র প্রদান এবং নিপীড়ন নিষিদ্ধ করেছে।
-
দাস মুক্ত করা ইসলামি শরিয়তে পাপ মোচনের অন্যতম সওয়াবপূর্ণ কাজ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
-
এই ন্যায় ও মানবিক আচরণের নীতি অন্য কোনো ধর্মে এত বিস্তৃত ও বাস্তব রূপে বিদ্যমান ছিল না।

0
Updated: 1 day ago