জাবির বিন হাইয়ান কিসে বিখ্যাত?
A
আধুনিক রসায়ন
B
সাহিত্য
C
আধুনিক হস্তশিল্প
D
শিল্পকলা
উত্তরের বিবরণ
জাবির বিন হাইয়ান ছিলেন বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যিনি আধুনিক রসায়নের ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে খ্যাত। তাঁর অবদান রসায়নকে জাদুবিদ্যা বা আলকেমির পর্যায় থেকে বের করে এনে একটি পরীক্ষাভিত্তিক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
-
তিনি স্ফটিকীকরণ, পাতন, পরিস্রাবণ, বাষ্পীভবন প্রভৃতি পরীক্ষাগারিক প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন ও ব্যবহারিক রূপ দেন।
-
তাঁর গবেষণায় অম্ল (Acid), ক্ষার (Alkali) এবং রাসায়নিক যৌগের সংমিশ্রণ ও বিভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
-
জাবির বিন হাইয়ানকে পশ্চিমা জগতে “Father of Chemistry” নামে অভিহিত করা হয়।
-
তিনি প্রায় দুই হাজারেরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন বলে ধারণা করা হয়, যার মধ্যে বহু গ্রন্থ আজও বৈজ্ঞানিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে গণ্য।
-
তাঁর গবেষণা পরবর্তীকালে আবিসেনা (ইবনে সিনা), আল রাজি এবং ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।
-
তাঁর কাজ প্রমাণ করে যে ইসলামি স্বর্ণযুগে বিজ্ঞান ও জ্ঞানচর্চা ছিল যুক্তি, পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।

0
Updated: 1 day ago
সর্বপ্রথম পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ভুল ভাবে কে নির্ণয় করেন?
Created: 22 hours ago
A
ইবনে হাইসাম
B
আল ইদ্রিসি
C
আল কিন্দি
D
আল বেরুনী
আল-বেরুনী ছিলেন মধ্যযুগের এক মহান মুসলিম বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ, যিনি সর্বপ্রথম পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ভুলভাবে নির্ণয় করেন। তিনি গণনার জন্য নিজস্ব এক অভিনব ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন।
-
তিনি পাহাড়ের উচ্চতা ও দৃষ্টিকোণ পর্যবেক্ষণ করে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করেন।
-
ব্যবহৃত পদ্ধতিতে তিনি ত্রিকোণমিতি ও জ্যামিতির নিয়ম প্রয়োগ করেন, যা তখনকার যুগে অত্যন্ত আধুনিক ছিল।
-
তার এই পরিমাপ আধুনিক প্রযুক্তির আগেও অবিশ্বাস্যভাবে সঠিক ছিল।
-
আল-বেরুনীর কাজ পরবর্তীকালে ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যা ও পদার্থবিজ্ঞানের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 22 hours ago
ইতিহাসে 'আমুল ফীল' কিসের জন্য বিখ্যাত?
Created: 22 hours ago
A
আবু তালেবের বিবাহের বছর হিসাবে
B
হযরত হামজা (রাঃ) এর জন্মের বছর হিসাবে
C
আবু সুফিয়ানের জন্মের বছর হিসাবে
D
রাসুল (সাঃ) এর জন্মের বছর হিসাবে
‘আমুল ফিল’ অর্থাৎ ‘হাতির বছর’ ইসলামি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নির্দেশ করে। এই বছরে ইয়েমেনের শাসক আব্রাহা কাবা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে হস্তীবাহিনীসহ মক্কার দিকে অগ্রসর হন। তবে আল্লাহ তাআলা তাঁর কুদরতে ছোট ছোট আবাবিল পাখি পাঠান, যারা পাথরের দ্বারা সেই বাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়।
-
এই ঘটনাটি ‘সুরা আল-ফিল’-এ বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
-
ঘটনাটি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত হয়।
-
একই বছরে রাসুলুল্লাহ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন, তাই এ বছরটি তাঁর জন্মবছর হিসেবে বিখ্যাত।
-
এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা কাবা শরিফের পবিত্রতা ও সংরক্ষণ স্বয়ং তাঁর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেন।
-
সূত্র: যাদুল মা‘আদ (১/৭৬) এবং সুবুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতে খাইরিল ইবাদ (১/৩৩৪–৩৩৫)।

0
Updated: 22 hours ago
সূরা হুজরাতের আলোচ্য বিষয় কী?
Created: 1 day ago
A
সামাজিক নিয়মনীতির শিক্ষা
B
রাজনৈতিক নিয়মনীতির শিক্ষা
C
অর্থনৈতিক মূলনীতির শিক্ষা
D
নামাজের নিয়মনীতির শিক্ষা
সূরা হুজরাত ইসলামী সমাজে শিষ্টাচার, সামাজিক আচরণ ও পারস্পরিক সম্পর্কের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটি মদীনায় অবতীর্ণ হয় এবং মুসলমানদের নৈতিক ও সামাজিক জীবনের আদর্শ গঠন করে।
১. সূরাটিকে “سورة الأخلاق والأدب” বলা হয়, কারণ এতে আদব, শিষ্টাচার ও সামাজিক আচরণের নিয়ম বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
২. এতে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও আদব রক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩. মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
৪. কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়ার পর তা যাচাই না করে প্রচার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।
৫. মুসলিম সমাজে দ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ দেখা দিলে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সমঝোতা স্থাপন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
৬. অন্যের অপমান, উপহাস, গীবত ও সন্দেহ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারণ এগুলো সমাজের বন্ধন দুর্বল করে।
৭. সূরায় ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং প্রকৃত সত্যবাদী ও মুমিনদের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
৮. এই সূরার মাধ্যমে ইসলামী সমাজে নৈতিকতা, আদব ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখার এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান উপস্থাপন করা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago