A
৫
B
৬
C
৭
D
৮
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: খ) ৬।
‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শব্দের উচ্চারণ বিশ্লেষণ
‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শব্দটি উচ্চারণ করলে এতে ৬টি অক্ষর পাওয়া যায়।
উচ্চারণ: অন্-তোর্-ভুক্-তি-মূ-লক
মোট অক্ষর: ৬টি
অক্ষর
অক্ষর (ইংরেজি: syllable) হচ্ছে এমন একটি ধ্বনি বা ধ্বনির অংশ, যা একবারে উচ্চারণ করা যায়।
তাই একে শব্দাংশও বলা হয়।
অক্ষরের প্রকারভেদ
অক্ষর দুই ধরনের হতে পারে:
-
মুক্ত অক্ষর: যেগুলো একটানে টানা যায় না।
উদাহরণ: ক / লা -
বদ্ধ অক্ষর: যেগুলো টানা যায়।
উদাহরণ: দিন / রাত
আরেকটি উদাহরণ
‘বিশ্ববিদ্যালয়’ শব্দে রয়েছে ৫টি অক্ষর:
বি + শ্ব + বি + দ্যা + লয় = মোট ৫টি অক্ষর
তথ্যসূত্র: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান ও ছন্দ-অক্ষর বিশ্লেষণ গ্রন্থ

0
Updated: 4 days ago
'বন্ধন' শব্দের সঠিক অক্ষর বিন্যাস কোনটি?
Created: 2 days ago
A
ব + ন্ + ধ + ন্
B
বন্ + ধন্
C
ব + ন্ধ + ন
D
বান্ + ধন্
বন্ধন (বিশেষ্য পদ)।
- তৎসম বা সংস্কৃত।
- প্রকৃত-প্রত্যয় - √বন্ধ্ + অন,
- এর সঠিক উচ্চারণ - বন্ + ধোন্।
অর্থ:
- বাঁধন,
- আবেষ্টন,
- নির্মাণ,
- নিয়ন্ত্রণ।
অতএব, কাছাকাছি অক্ষর বিন্যাস হিসেবে সঠিক উত্তর অপশন (খ) বন্ + ধোন্।
অন্যদিকে,
(ব + ন + ধ + ন) এগুলো অক্ষর নয় এক একটি বর্ণ।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।

0
Updated: 2 days ago
উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
Created: 2 weeks ago
A
অব্যয় ও শব্দাংশ
B
নতুন শব্দ গঠনে
C
উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
D
ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য
উপসর্গ হলো সেই অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের আগে বসে নতুন অর্থসহ শব্দ তৈরি করে, আর প্রত্যয় হলো অর্থহীন শব্দাংশ যা মূল শব্দের পরে যোগ হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে।
উপসর্গ
-
উপসর্গ হলো এমন ছোট ছোট অর্থহীন অংশ যা শব্দের শুরুতে বসে এবং নতুন অর্থবহ শব্দ তৈরি করে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ‘অজানা’ শব্দে ‘অ’, ‘অভিযোগ’ শব্দে ‘অভি’, ‘বেতার’ শব্দে ‘বে’ অংশগুলো উপসর্গ।
-
উপসর্গ নিজে কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে না, কিন্তু এটি নতুন শব্দে অর্থের দ্যোতনা বা বৈচিত্র্য আনে। তাই বলা হয়, “উপসর্গের নিজস্ব অর্থ নেই, তবে অর্থ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
-
বাংলায় প্রায় পঞ্চাশের বেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়।
-
ভাষার গতিপথ অনুযায়ী, উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ,
৩. বিদেশি উপসর্গ।
প্রত্যয়
-
প্রত্যয় হলো শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হওয়া অর্থহীন অংশ যা নতুন শব্দ গঠনে সহায়তা করে।
-
যেমন: ‘বাঘ’ + ‘আ’ = ‘বাঘা’, ‘দিন’ + ‘ইক’ = ‘দৈনিক’।
-
প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার—
১. কৃৎ প্রত্যয়:
ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় এমন শব্দাংশ যা ক্রিয়ারূপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন: ‘চল’ + ‘ন্ত’ = ‘চলন্ত’, ‘কৃ’ + ‘তব্য’ = ‘কর্তব্য’।
বাংলায় কৃৎ প্রত্যয়ের দুটি রূপ পাওয়া যায়—বাংলা কৃৎ প্রত্যয় ও সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়।
২. তদ্ধিত প্রত্যয়:
শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে।
যেমন: ‘চোর’ + ‘আ’ = ‘চোরা’, ‘কেষ্ট’ + ‘আ’ = ‘কেষ্টা’, ‘ডিঙি’ + ‘আ’ = ‘ডিঙা’, ‘হাত’ + ‘আ’ = ‘হাতা’।সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 2 weeks ago
কোন শব্দে দ্বিস্বরধ্বনি রয়েছে?
Created: 4 days ago
A
তিসি
B
মালি
C
লাউ
D
মেয়ে
• দ্বিস্বরধ্বনি যুক্ত শব্দ - লাউ।
দ্বিস্বরধ্বনি:
- পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হলে দ্বিস্বরধ্বনি হয়।
যেমন:
- 'লাউ' শব্দের [আ] পূর্ণ স্বরধ্বনি এবং [উ্] অর্ধস্বরধ্বনি মিলে দ্বিস্বরধ্বনি [আউ্] তৈরি হয়েছে।
দ্বিস্বরধ্বনির কিছু উদাহরণ:
- [আই]: তাই, নাই,
- [এই]: সেই, নেই,
- [উই]: দুই, রুই,
- [ওউ]: মৌ, বউ।
বাংলা বর্ণমালায় দুটি দ্বিস্বরধ্বনির জন্য আলাদা বর্ণ নির্ধারিত আছে, যথা: ঐ এবং ঔ।
» ঐ-এর মধ্যে দুটি ধ্বনি আছে, একটি পূর্ণ স্বরধ্বনি [ও] এবং একটি অর্ধস্বরধ্বনি [ই্]।
» একইভাবে ঔ-এর মধ্যে রয়েছে একটি পৃ স্বরধ্বনি [ও] এবং একটি অর্ধস্বরধ্বনি [উ্]।
অন্যদিকে,
"তিসি; মালি; মেয়ে" এর ক্ষেত্রে- দুটি পৃথক স্বরধ্বনি রয়েছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি, (২০২১ সংস্করণ), মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 days ago