ইসলামের প্রথম শহীদ কে?
A
হযরত আম্মার
B
হযরত খুবাইর
C
হযরত হারিস
D
হযরত হানজালা
উত্তরের বিবরণ
ইসলামের প্রথম শহীদদের মধ্যে পুরুষ ও নারীর পৃথক পরিচয় ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। হযরত হারিস ইবনে আবি হালা (রাঃ) ছিলেন ইসলামের পথে শহীদ হওয়া প্রথম পুরুষ সাহাবি, যিনি নবী করিম (সা.)-এর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। অপরদিকে, ইসলামের প্রথম শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এক সাহসী নারী, হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত (রাঃ)।
-
হযরত সুমাইয়া (রাঃ) ইসলামের শুরুতে মক্কায় নির্যাতিত মুসলিমদের অন্যতম ছিলেন।
-
তিনি ইসলামের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও অবিচল সাহসের কারণে আবু জাহলের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন।
-
তাঁর স্বামী ইয়াসির (রাঃ) ও পুত্র **আম্মার (রাঃ)**ও ইসলামের প্রথম যুগের নির্যাতিত সাহাবিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
-
হযরত সুমাইয়া (রাঃ)-এর শহীদত্ব প্রমাণ করে যে, নারীও ইসলামের পথে ত্যাগ ও সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
-
ইসলামের ইতিহাসে এই ঘটনা মুসলিম সমাজে ঈমান, ধৈর্য ও ত্যাগের এক অনুপ্রেরণামূলক নিদর্শন হিসেবে অমর হয়ে আছে।

0
Updated: 1 day ago
ইহুদী ধর্মের মূল ভাষা কী?
Created: 22 hours ago
A
আরবি
B
ইংরেজি
C
হিব্রু
D
ল্যাটিন
হিব্রু ভাষা ইহুদি ধর্মের পবিত্র ও ধর্মীয় ভাষা হিসেবে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত হিব্রু ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছিল, যা আজও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, প্রার্থনা ও ধর্মগ্রন্থ পাঠে ব্যবহৃত হয়।
-
হিব্রু ভাষা একসময় কথ্য ভাষা হিসেবে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তবে পরবর্তীতে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের মাধ্যমে এটি আবার গুরুত্ব ফিরে পায়।
-
বর্তমানে এটি মূলত ধর্মীয় অধ্যয়ন, প্রার্থনা এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের পারস্পরিক যোগাযোগে ব্যবহৃত হয়।
-
প্রাচীন যুগে হিব্রু ভাষাই ছিল ইহুদি জাতির ধর্মীয় ও জাগতিক ভাষা।
-
খ্রিষ্টপূর্ব ৭ম শতাব্দী থেকে আরামীয় (Aramaic) ভাষা ফিলিস্তিন ও ইহুদি জাতির মধ্যে সাধারণ ভাষা বা Lingua Franca হিসেবে প্রচলিত হয়।
-
আরামীয় ও হিব্রু উভয়ই সেমিটিক ভাষা, এবং তাদের মধ্যে গঠন, শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণে ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে।
-
সবশেষে, ইহুদি ধর্মের মূল ও প্রাচীন ভাষা হিব্রু—যা আজও ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে টিকে আছে।

0
Updated: 22 hours ago
বাইয়াতে রিদওয়ানের প্রেক্ষাপট কী ছিল?
Created: 21 hours ago
A
হযরত ওসমান (রাঃ)এর শহীদ হওয়ার গুজব
B
হযরত উমর (রাঃ) এর বিরোধিতা করার কারনে
C
মক্কায় প্রবেশে কুরাইশদের প্রচন্ড বিরোধিতা
D
মুসলমানদের মধ্যে সাহস সঞ্চার করার জন্য
বাইয়াতে রিদওয়ান ছিল ইসলামী ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা ঘটে হুদায়বিয়ার সময়। এর প্রেক্ষাপট ছিল মক্কার কুরাইশদের দ্বারা হযরত উসমান (রা.)-কে মক্কায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া। এতে মক্কা ও মদিনার মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
-
নবী মুহাম্মদ (সা.) হযরত উসমান (রা.)-কে দূত হিসেবে মক্কায় পাঠান শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য।
-
তাঁর ফিরে আসতে বিলম্ব হওয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে উসমান (রা.) শহিদ হয়েছেন, যা মুসলমানদের মধ্যে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
-
এই পরিস্থিতিতে নবী (সা.)-এর নির্দেশে প্রায় ১৪০০ সাহাবি বাবলা গাছের নিচে শপথ (বাইয়াত) গ্রহণ করেন, যে তারা হযরত উসমান (রা.)-এর হত্যার প্রতিশোধ নেবেন।
-
এই শপথই ইতিহাসে পরিচিত ‘বাইয়াতে রিদওয়ান’ নামে, যার অর্থ আল্লাহর সন্তুষ্টির বাইয়াত।
-
কুরআনে সূরা আল-ফাতহে এই ঘটনার উল্লেখ আছে, যেখানে আল্লাহ তাআলা বলেন যে, যারা এই বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন, আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।

0
Updated: 21 hours ago
আবু জাহল কোন যুদ্ধে নিহত হয়?
Created: 21 hours ago
A
খন্দকের যুদ্ধে
B
উহুদের যুদ্ধে
C
বদরের যুদ্ধে
D
খায়বরের যুদ্ধে
আবু জাহল, ইসলামের অন্যতম প্রধান শত্রু, বদর যুদ্ধে তার পরিণতি ভোগ করেন। ৬২৪ সালের ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত এই যুদ্ধে তিনি মুসলমানদের হাতে পরাজিত হয়ে নিহত হন। যুদ্ধের সময় দুই কিশোর সাহাবি মুয়াজ ইবনে আফরা ও মুয়াদ ইবনে আমর তাঁর ওপর আক্রমণ চালিয়ে গুরুতরভাবে আহত করেন, পরে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর জীবন শেষ করেন।
-
বদর যুদ্ধ ছিল ইসলামের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ সশস্ত্র সংঘর্ষ, যেখানে সত্য ও মিথ্যার মুখোমুখি সংঘাত ঘটে।
-
আবু জাহল মুসলমানদের প্রতি অত্যাচার ও বিদ্বেষের প্রতীক ছিলেন, তাই তাঁর মৃত্যু ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় সৃষ্টি করে।
-
তাঁকে হত্যা করে মুসলমানরা মক্কার শাসন ও কুফর শক্তির বিরুদ্ধে প্রথম বিজয় অর্জন করে।
-
যুদ্ধ শেষে রাসূলুল্লাহ (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদকে পাঠান তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে, এবং তিনি আবু জাহলের শেষ নিশ্বাস প্রত্যক্ষ করেন।
-
এই ঘটনার মাধ্যমে বদর যুদ্ধ ইসলাম ও মুসলমানদের ঐতিহাসিক বিজয়ের সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হয়।

0
Updated: 21 hours ago