হাবসার বাদশাহ নাজজাশীর সম্মুখে মুসলমানদের পক্ষ থেকে যে সাহাবী বক্তব্য রাখেন তাঁর নাম?
A
হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
B
হযরত জাফর ইবনে আবি তালিব (রাঃ)
C
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
D
হযরত বেলাল ইবনে রাবাহ (রাঃ)
উত্তরের বিবরণ
হযরত জাফর ইবনে আবি তালিব (রা.) হাবশার বাদশাহ নাজাশীর দরবারে ইসলামের মূল শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর বক্তব্যে ইসলামের আগমনের আগে আরব সমাজের অজ্ঞতা ও পাপাচারের চিত্র যেমন ফুটে ওঠে, তেমনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনে সেই সমাজে ন্যায়, মানবতা ও একত্ববাদের আলোকপ্রাপ্তিও প্রকাশ পায়।
পয়েন্ট আকারে—
-
হযরত জাফর (রা.) বলেন, ইসলামের আগমনের আগে আরবরা ছিল অজ্ঞ ও মূর্খ জাতি, যারা মূর্তিপূজা করত এবং মৃতদের মাংস খেত।
-
তারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করত, প্রতিবেশীর প্রতি খারাপ আচরণ করত এবং সমাজে অন্যায় ছিল স্বাভাবিক বিষয়।
-
এরপর রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর প্রেরিত নবী হিসেবে আগমন করেন, যিনি মানুষকে একত্ববাদ, সত্য, ন্যায়বিচার ও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার শিক্ষা দেন।
-
তিনি মানুষকে অন্যায়ের পরিবর্তে ন্যায়ের পথে, মূর্তিপূজার পরিবর্তে আল্লাহর উপাসনায়, আর বিদ্বেষের পরিবর্তে ভালোবাসা ও মানবিকতায় আহ্বান জানান।
-
জাফর (রা.)-এর এই যুক্তিগ্রাহ্য ও প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্য শুনে বাদশাহ নাজাশী ইসলামের শিক্ষা সম্পর্কে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং পরবর্তীতে মুসলমানদের আশ্রয় দেন।

0
Updated: 1 day ago
বৌদ্ধধর্মের অনির্বাণ ধারনাটি সাথে ইসলামের সাদৃশ্য পূর্ণশব্দটি কী?
Created: 1 day ago
A
বাকাবিল্লাহ্
B
তাসকিয়াতুল কল্ব
C
ফানাফিল্লাহ্
D
কলবে মুতমায়িন্না
বৌদ্ধধর্মে অনির্বাণ ধারণাটি আত্মার চিরস্থায়ী শান্তি ও নির্বাণ লাভের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা দুঃখ, লোভ ও আসক্তি থেকে মুক্তির প্রতীক। ইসলামে এর নিকটতম সাদৃশ্যপূর্ণ শব্দ হলো জান্নাত, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন চিরস্থায়ী সুখের প্রতিফলন।
-
বৌদ্ধধর্মে অনির্বাণ মানে হলো এমন এক অবস্থায় পৌঁছানো, যেখানে জন্ম-মৃত্যুর চক্র (সংসার) শেষ হয় এবং আত্মা সম্পূর্ণ মুক্তি লাভ করে।
-
ইসলামে জান্নাত হচ্ছে পরিশুদ্ধ আত্মার জন্য চিরস্থায়ী শান্তি ও আনন্দের স্থান, যেখানে কোনো দুঃখ-কষ্ট নেই।
-
উভয় ধারণার কেন্দ্রবিন্দু হলো আত্মার মুক্তি ও চিরশান্তি, যদিও দর্শন ও বিশ্বাসের ভিত্তি একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
বৌদ্ধধর্মে মুক্তি অর্জিত হয় আত্মশুদ্ধি ও জ্ঞান দ্বারা, আর ইসলামে তা অর্জিত হয় ঈমান, আমল ও আল্লাহর রহমত দ্বারা।
-
তাই উভয় ধর্মেই শেষ লক্ষ্য হলো দুঃখমুক্তি ও শান্তি, তবে ইসলামে তা আল্লাহর ইচ্ছা ও নির্দেশের পরিপূর্ণ আনুগত্যের মাধ্যমে সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম নিরাপত্তা করকে কী বলা হয়?
Created: 1 day ago
A
উশর
B
জিজিয়া
C
দিয়াত
D
খারাজ
জিযিয়া হলো ইসলামী শাসনব্যবস্থার একটি আর্থ-সামাজিক বিধান, যা অমুসলিম নাগরিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সংরক্ষণের নিশ্চয়তা দেয়।
-
জিযিয়া (الْجِزْيَةُ) অর্থ নির্ধারিত অর্থকর বা ট্যাক্স, যা ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম নাগরিকদের (আহলে জিম্মা) কাছ থেকে আদায় করা হয়।
-
এই করের বিনিময়ে তাদের জান-মাল, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
-
মুসলমানরা যেখানে যাকাত প্রদান করে, সেখানে অমুসলিম নাগরিকরা জিযিয়া প্রদান করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে।
-
জিযিয়া প্রদানের পর তারা ইসলামী রাষ্ট্রের সুরক্ষা ও প্রশাসনিক সুবিধা ভোগ করে, এবং তাদের ধর্মীয় আচারে কোনো বাধা দেওয়া হয় না।
-
ইসলামী ইতিহাসে এই বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ন্যায়বিচার, সহাবস্থান ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তার ভিত্তিতে।

0
Updated: 1 day ago
সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে?
Created: 21 hours ago
A
ইবনু তাইমিয়া
B
ইবনু খালদুন
C
ইবনু খালদুন
D
ইবনু হাযম
ইবনে খালদুন সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত, কারণ তিনিই প্রথম সমাজ ও সভ্যতার বিকাশকে বৈজ্ঞানিক ও বিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘মুকাদ্দিমা’ সমাজ, ইতিহাস ও অর্থনীতির পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী অবদান রাখে।
-
ইবনে খালদুন সমাজ অধ্যয়নে অভিজ্ঞতাভিত্তিক পর্যবেক্ষণ ও বাস্তব বিশ্লেষণের প্রয়োগ শুরু করেন।
-
তিনি ইতিহাসকে শুধুমাত্র ঘটনা-নির্ভর নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণযোগ্য বিজ্ঞান হিসেবে দেখেন।
-
তাঁর মতে, সমাজের বিকাশ নির্ভর করে অর্থনৈতিক অবস্থা, নেতৃত্ব ও সামাজিক সংহতির (আসাবিয়্যা) ওপর।
-
‘মুকাদ্দিমা’ গ্রন্থে তিনি সভ্যতার উত্থান, বিকাশ ও পতনের একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
-
আধুনিক সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতির বহু ধারণার মূল ভিত্তি ইবনে খালদুনের চিন্তাধারার মধ্যেই নিহিত।

0
Updated: 21 hours ago