ইসলামী সরকার কোন্ ধরণের শাসন পদ্ধতি অনুসরণ করে?
A
একনায়কত্ত
B
গনতন্ত্র ভিত্তিক
C
শুরা ভিত্তিক
D
বংশীয় মর্যাদা ভিত্তিক
উত্তরের বিবরণ
ইসলামী সরকার এমন এক শাসনব্যবস্থা যা পরামর্শ ও ন্যায়ের নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত, যেখানে সব সিদ্ধান্ত কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রহণ করা হয়।
-
এই শাসনব্যবস্থার মূলভিত্তি হলো শুরা, অর্থাৎ পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
-
সরকার পরিচালনায় কুরআন ও সুন্নাহর নীতিকে সর্বোচ্চ মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
-
রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমে জনগণের কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা মুখ্য লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারিত।
-
শুরা ব্যবস্থায় শাসক এককভাবে নয়, বরং জ্ঞানি ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের মতামত অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
-
এর মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রে দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
ইসলামী খেলাফত রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব কী?
Created: 1 day ago
A
ইসলাম প্রচার
B
অমুসলিমদের সুরক্ষা
C
অপরাধ রোধ
D
ইসলাম প্রচার ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা
ইসলামী খেলাফত রাষ্ট্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যা আল্লাহর নির্দেশনা ও নববী আদর্শ অনুসারে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে ন্যায়, সমতা ও আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা করা।
১. খেলাফত রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব ইসলাম প্রচার ও দাওয়াতের প্রসার ঘটানো, যাতে মানবজাতি সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত হয়।
২. এটি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সংরক্ষিত থাকে।
৩. রাষ্ট্রের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরস্পর সম্পর্কিত, কারণ উভয় ক্ষেত্রেই আল্লাহর বিধান কার্যকর করা হয়।
৪. কুরআন ও সুন্নাহকে প্রশাসনিক ও বিচারব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
৫. খেলাফত রাষ্ট্র দারিদ্র্য দূরীকরণ, ন্যায়বিচার ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজে ভারসাম্য আনে।
৬. এটি নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আত্মিক শুদ্ধতা ও সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে।
৭. রাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো আল্লাহর মনোনীত দীন (ইসলাম) সংরক্ষণ, রক্ষা ও বিশ্বব্যাপী প্রচার করা।
৮. খেলাফত ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজে সত্য, ন্যায়, সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ইসলামী সভ্যতার মূল ভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago
ইতিহাসে 'আমুল ফীল' কিসের জন্য বিখ্যাত?
Created: 22 hours ago
A
আবু তালেবের বিবাহের বছর হিসাবে
B
হযরত হামজা (রাঃ) এর জন্মের বছর হিসাবে
C
আবু সুফিয়ানের জন্মের বছর হিসাবে
D
রাসুল (সাঃ) এর জন্মের বছর হিসাবে
‘আমুল ফিল’ অর্থাৎ ‘হাতির বছর’ ইসলামি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নির্দেশ করে। এই বছরে ইয়েমেনের শাসক আব্রাহা কাবা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে হস্তীবাহিনীসহ মক্কার দিকে অগ্রসর হন। তবে আল্লাহ তাআলা তাঁর কুদরতে ছোট ছোট আবাবিল পাখি পাঠান, যারা পাথরের দ্বারা সেই বাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়।
-
এই ঘটনাটি ‘সুরা আল-ফিল’-এ বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
-
ঘটনাটি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত হয়।
-
একই বছরে রাসুলুল্লাহ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন, তাই এ বছরটি তাঁর জন্মবছর হিসেবে বিখ্যাত।
-
এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা কাবা শরিফের পবিত্রতা ও সংরক্ষণ স্বয়ং তাঁর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেন।
-
সূত্র: যাদুল মা‘আদ (১/৭৬) এবং সুবুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফি সিরাতে খাইরিল ইবাদ (১/৩৩৪–৩৩৫)।

0
Updated: 22 hours ago
বাইয়াতে রিদওয়ানের প্রেক্ষাপট কী ছিল?
Created: 21 hours ago
A
হযরত ওসমান (রাঃ)এর শহীদ হওয়ার গুজব
B
হযরত উমর (রাঃ) এর বিরোধিতা করার কারনে
C
মক্কায় প্রবেশে কুরাইশদের প্রচন্ড বিরোধিতা
D
মুসলমানদের মধ্যে সাহস সঞ্চার করার জন্য
বাইয়াতে রিদওয়ান ছিল ইসলামী ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা ঘটে হুদায়বিয়ার সময়। এর প্রেক্ষাপট ছিল মক্কার কুরাইশদের দ্বারা হযরত উসমান (রা.)-কে মক্কায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া। এতে মক্কা ও মদিনার মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
-
নবী মুহাম্মদ (সা.) হযরত উসমান (রা.)-কে দূত হিসেবে মক্কায় পাঠান শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য।
-
তাঁর ফিরে আসতে বিলম্ব হওয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে উসমান (রা.) শহিদ হয়েছেন, যা মুসলমানদের মধ্যে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
-
এই পরিস্থিতিতে নবী (সা.)-এর নির্দেশে প্রায় ১৪০০ সাহাবি বাবলা গাছের নিচে শপথ (বাইয়াত) গ্রহণ করেন, যে তারা হযরত উসমান (রা.)-এর হত্যার প্রতিশোধ নেবেন।
-
এই শপথই ইতিহাসে পরিচিত ‘বাইয়াতে রিদওয়ান’ নামে, যার অর্থ আল্লাহর সন্তুষ্টির বাইয়াত।
-
কুরআনে সূরা আল-ফাতহে এই ঘটনার উল্লেখ আছে, যেখানে আল্লাহ তাআলা বলেন যে, যারা এই বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন, আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।

0
Updated: 21 hours ago