কোন্ সাহাবী খন্দকের যুদ্ধে পরীখা খননের পরামর্শ দেন?
A
হযরত ওমর (রাঃ)
B
হযরত আলী (রাঃ)
C
হযরত সালমান ফার্সি (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
উত্তরের বিবরণ
খন্দকের যুদ্ধ ইসলামি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা আহযাবের যুদ্ধ নামেও পরিচিত। এই যুদ্ধ মদিনার প্রতিরক্ষায় নবী করিম (সা.)-এর কৌশলগত প্রজ্ঞা ও সাহাবিদের ত্যাগের সাক্ষ্য বহন করে।
-
মদিনা নগরীর তিন দিক প্রাকৃতিকভাবে খেজুরবাগান ও পাহাড় দ্বারা সুরক্ষিত ছিল।
-
চতুর্থ দিকটি ছিল উন্মুক্ত, যেখান দিয়ে শত্রু আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল সবচেয়ে বেশি।
-
এই উন্মুক্ত দিক রক্ষার জন্য হজরত সালমান ফারসি (রা.) পরিখা খননের পরামর্শ দেন, যা মূলত পারস্যদের যুদ্ধকৌশল ছিল।
-
নবী করিম (সা.) তার পরামর্শ গ্রহণ করে সাহাবিদের নিয়ে খন্দক বা পরিখা খনন শুরু করেন।
-
পরিখার প্রশস্ততা এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যাতে কোনো ঘোড়া বা উট লাফিয়ে তা পার হতে না পারে।
-
এই কৌশল শত্রুদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয় এবং মুসলমানদের বিজয়ের পথ সুগম করে।
-
খন্দকের যুদ্ধ প্রমাণ করে যে ইসলামে যুদ্ধ কেবল শক্তির নয়, বুদ্ধিমত্তা ও পরিকল্পনার বিষয়ও।

0
Updated: 1 day ago
জমিতে উৎপাদিত ফসলের যাকাতকে কী বলে?
Created: 1 day ago
A
যাকাত
B
উশর
C
খারাজ
D
জিজিয়া
ইসলামে কৃষি উৎপাদনের ওপর যাকাত বা কর হিসেবে উশর আদায়ের বিধান রয়েছে, যা কৃষকের ফসলের ধরন ও সেচের পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়।
-
উশর শব্দের অর্থ দশমাংশ (১০%), যা জমিতে উৎপাদিত ফসলের যাকাত হিসেবে প্রদান করা হয়।
-
বৃষ্টির পানি বা প্রাকৃতিক সেচে উৎপন্ন ফসলের যাকাতের হার হলো এক-দশমাংশ (১০%), কারণ এতে কৃষকের অতিরিক্ত খরচ বা পরিশ্রম তুলনামূলক কম থাকে।
-
মানবসৃষ্ট সেচ বা কৃত্রিম পানির মাধ্যমে উৎপন্ন ফসলের যাকাতের হার হলো নিসফে উশর, অর্থাৎ বিশ ভাগের এক ভাগ (৫%), কারণ এতে কৃষকের পরিশ্রম ও ব্যয় বেশি হয়।
-
উশর আদায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং অসহায়দের অধিকার নিশ্চিত করা।
-
ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, এটি শুধু দান নয় বরং আল্লাহর নির্দেশিত আর্থিক দায়িত্ব, যা মুসলমানদের সম্পদে পবিত্রতা আনে।

0
Updated: 1 day ago
বদর যুদ্ধের পর মদিনার কোন্ ইহুদী গোত্রকে বহিষ্কার করা হয়?
Created: 22 hours ago
A
বানু কায়নুকা
B
বানু গাত্ফান
C
বানু নাসির
D
বানু কোরায়জা
বদর যুদ্ধের পর মদিনার বনু কায়নুকা ইহুদি গোত্রকে মদিনা থেকে বহিষ্কার করা হয়, কারণ তারা মদিনা সনদের শর্ত ভঙ্গ করেছিল। এক মুসলিম নারীর সম্ভ্রমহানি ঘটনার মাধ্যমে তারা মুসলমানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যার ফলস্বরূপ এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
-
বনু কায়নুকা ছিল মদিনার তিনটি প্রধান ইহুদি গোত্রের একটি।
-
তারা প্রথমেই মুসলমানদের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করে শত্রুতা প্রকাশ করে।
-
এক ইহুদি স্বর্ণকার এক মুসলিম নারীর বস্ত্র খুলে দিয়ে অপমান করলে ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
-
ফলস্বরূপ মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় এবং খলিফা মুহাম্মদ (সা.) তাদের মদিনা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।
-
এই ঘটনার পর বাকি ইহুদি গোত্রগুলোও মুসলমানদের প্রতি সতর্ক হয়ে যায়।

0
Updated: 22 hours ago
যাতুন নিকাতাইন কার উপাধি?
Created: 22 hours ago
A
হযরত যয়নব (রাঃ)
B
হযরত আসমা (রাঃ)
C
হযরত আয়েশা (রাঃ)
D
হযরত সুমাইয়া (রাঃ)
‘যাতুন নিকাতাইন’ উপাধিটি প্রদান করা হয়েছিল হযরত আসমা বিনতে আবু বকর (রা.)-কে। তিনি ছিলেন ইসলামের প্রাথমিক যুগের সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ নারী।
-
মদিনায় হিজরতের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)-এর জন্য খাবার বহন করেন।
-
খাবার রাখার দুটি বস্তার মুখ বাঁধার জন্য তিনি নিজের কোমরবন্ধনী (নিকাত) ছিঁড়ে দুই ভাগে ভাগ করেন।
-
এই ত্যাগ ও বুদ্ধিমত্তার কারণে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ‘যাতুন নিকাতাইন’ উপাধি দেন, যার অর্থ ‘দুই কোমরবন্ধনীওয়ালা নারী’।
-
তাঁর এই কাজ ইসলামী ইতিহাসে ত্যাগ, বুদ্ধি ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মরণীয়।

0
Updated: 22 hours ago