দাসদের প্রতি ইসলামের মূল দৃষ্টিভঙ্গি-
A
সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ
B
তাদের দ্বারা অর্থ উপার্জন
C
সামাজিক কাজে লাগানো
D
মানবিক মর্যাদা প্রদান ও ন্যায্য আচরণ
উত্তরের বিবরণ
ইসলাম দাসপ্রথা বিলোপে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। ইসলামের আগমনের পূর্বে সমাজে দাসত্ব ছিল প্রচলিত ও নির্মম একটি প্রথা, কিন্তু ইসলাম ধীরে ধীরে সেই ব্যবস্থা সংস্কার করে মানবিক ও ন্যায্যতার পথে পরিচালিত করেছে।
পয়েন্ট আকারে—
-
ইসলামের আবির্ভাবকালে দাসত্বের নানা উৎস ও পথ বিদ্যমান ছিল, ইসলাম সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
-
একই সঙ্গে ইসলাম দাসদের মুক্ত করার বহু সুযোগ ও উৎসাহের ব্যবস্থা করেছে।
-
কেবল যুদ্ধে বন্দী হওয়া কাফির, মুশরিক ও তাদের নারী-শিশুদের দাসত্বের আওতায় আনা হতো।
-
যুদ্ধবন্দীরা যদি ইসলাম গ্রহণ করত, তবে তারা মুক্তি পেত এবং সমাজে স্বাধীন নাগরিক হিসেবে অবস্থান করত।
-
ইসলাম দাসদের সাথে উত্তম আচরণ, সমান খাদ্য ও বস্ত্র প্রদান এবং নিপীড়ন নিষিদ্ধ করেছে।
-
দাস মুক্ত করা ইসলামি শরিয়তে পাপ মোচনের অন্যতম সওয়াবপূর্ণ কাজ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
-
এই ন্যায় ও মানবিক আচরণের নীতি অন্য কোনো ধর্মে এত বিস্তৃত ও বাস্তব রূপে বিদ্যমান ছিল না।

0
Updated: 1 day ago
মহানবীর সর্বশেষ যুদ্ধ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
হুনাইনের যুদ্ধ
B
খাইবারের যুদ্ধ
C
তাবুকের যুদ্ধ
D
ইয়ামামার যুদ্ধ
মহানবীর (সা.) জীবনের সর্বশেষ যুদ্ধ ছিল তাবুক অভিযান, যা ইসলামী ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
-
এই অভিযান অনুষ্ঠিত হয় ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে (৯ হিজরির রজব মাসে)।
-
এটি ছিল মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত সর্বশেষ সামরিক অভিযান।
-
তাবুক ছিল রোমান সাম্রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা, যেখানে মুসলমানদের শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
-
এই অভিযানে প্রকৃত যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি, তবে এটি ইসলামের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অবস্থানকে দৃঢ় করেছে।
-
তাবুক অভিযানের মাধ্যমে মুসলমানদের প্রতি আরব উপদ্বীপের আনুগত্য ও ইসলামী প্রভাব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 1 day ago
‘দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না' এটা কার উক্তি?
Created: 21 hours ago
A
এরিস্টটল
B
জর্জ বার্নার্ড শ
C
ইপিকিউরাস
D
ইবনে সিনা
ইপিকিউরাস ছিলেন প্রাচীন গ্রিক চিন্তাধারার একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, যিনি মানবজীবনের প্রকৃত সুখকে ভয় ও কুসংস্কারমুক্ত মানসিক শান্তিতে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁর চিন্তায় মুক্তি মানে ছিল আত্মিক প্রশান্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বচ্ছতা অর্জন করা।
১. উক্তি — “দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না।” — এর মাধ্যমে তিনি মানুষকে অযৌক্তিক ভয় ও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তির আহ্বান জানান।
২. ইপিকিউরাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪১–২৭০) ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক।
৩. তিনি “Epicureanism” নামের দর্শনধারার প্রবর্তক, যার মূল ভিত্তি হলো আনন্দ ও মানসিক প্রশান্তি (Ataraxia)।
৪. তাঁর মতে, প্রকৃত সুখ আসে দেবতা, মৃত্যু ও অজানার ভয় থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে।
৫. তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানুষ যদি যুক্তি ও জ্ঞানের দ্বারা জীবন পরিচালনা করে, তবে ভয়, কুসংস্কার ও দুঃখ থেকে মুক্তি সম্ভব।
৬. ইপিকিউরাসের দর্শন পরবর্তীতে পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় নৈতিকতা, আত্মসংযম ও সুখবাদ (Hedonism) সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।

0
Updated: 21 hours ago
তাবুক কোথায় অবস্থিত?
Created: 21 hours ago
A
বসরার সীমান্তে
B
ইরাকে
C
সিরিয়ার সীমান্তে
D
হিজাজের সীমান্তে
তাবুক ছিল মদিনা ও দামেস্কের (সিরিয়া) মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে ইসলামী ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে আরবের কাফের, মুনাফিক ও রোমান সাম্রাজ্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে পরিচিত।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে (নবম হিজরিতে)।
-
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনা থেকে প্রায় ৬৯০ কিলোমিটার দূরে তাবুক প্রান্তরে সেনাবাহিনীসহ যাত্রা করেন।
-
এটি ইতিহাসে “গাযওয়াতুল উসরা” নামেও পরিচিত, যার অর্থ “কষ্টের যুদ্ধ”।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে, যখন প্রচণ্ড গরম, খাদ্যাভাব ও পানির সংকট ছিল।
-
মুসলমানদের এই অভিযাত্রা ছিল মূলত রোমান বাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি।
-
যদিও বড় কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি, তবুও এটি ইসলামী ইতিহাসে অসাধারণ ত্যাগ, ধৈর্য ও ঈমানের পরীক্ষা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।

0
Updated: 21 hours ago