ভাই ভাই সম্পর্ক বিনষ্টকারী কোন কাজ সুরা আল-হুজরাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
A
টাকা ধার দেয়া
B
সালাম না দেয়া
C
উপহাস ও বিদ্রূপ করা
D
দাওয়াত না দেয়া
উত্তরের বিবরণ
এই আয়াতে মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্কের আদর্শ আচরণ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ অন্যকে তুচ্ছ বা অপমান না করে।
-
আয়াতে বলা হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ” — অর্থাৎ এটি সরাসরি বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে করা আহ্বান।
-
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, কারণ এতে অহংকার ও হীনমন্যতা সৃষ্টি হয়।
-
বিদ্রূপের শিকার ব্যক্তিরাই আল্লাহর কাছে উত্তম হতে পারে, তাই কাউকে ছোট করে দেখা অন্যায়ের শামিল।
-
এই আয়াত মানুষকে সম্মান, ভ্রাতৃত্ব ও নৈতিক শালীনতার শিক্ষা দেয়।
-
এটি সমাজে ঘৃণা ও বিভেদ রোধের এক গুরুত্বপূর্ণ নীতি, যা ইসলামী সামাজিক ন্যায়ের মূলভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago
আল্লাহ্ কাকে জিবরাইল (আঃ)-এর মাধ্যমে সালাম দেন?
Created: 22 hours ago
A
হযরত আয়েশা (রাঃ)
B
হযরত খাদীজা (রাঃ)
C
হযরত ওমর (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিবরাইল (আ.) আগমন করেন, তখন তাঁর পাশে ছিলেন হজরত খাদিজা (রা.)। জিবরাইল (আ.) নবী করিম (সা.)-কে বললেন যে, আল্লাহ তায়ালা নিজেই খাদিজা (রা.)-কে সালাম পাঠিয়েছেন। এটি ছিল তাঁর প্রতি আল্লাহর বিশেষ সম্মান ও ভালোবাসার প্রকাশ।
-
হজরত খাদিজা (রা.) জবাবে বলেন, “ইন্নাল্লাহা হুয়াস সালাম, ওয়া আলা জিবরিলাস সালাম, ওয়া আলাইকাস সালাম, ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকুহ।”
-
এর অর্থ, “নিশ্চয় আল্লাহ সেই সত্তা যিনি সালাম ও শান্তির অধিকারী, জিবরাইলের ওপর সালাম, আপনার ওপরও সালাম ও আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।”
-
এই ঘটনা আল্লাহর প্রেরিত সালামের একমাত্র উদাহরণ হিসেবে ইসলামী ইতিহাসে বিখ্যাত।
-
এটি হজরত খাদিজা (রা.)-এর মর্যাদা, ঈমান, ও মহান চরিত্রের স্বীকৃতি প্রকাশ করে।
-
বুখারি ও নাসায়ি গ্রন্থে এই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়।
-
উল্লেখযোগ্য যে, হজরত আয়েশা (রা.)-কে জিবরাইল (আ.) নিজে সালাম দিয়েছেন, তবে আল্লাহ সরাসরি সালাম পাঠাননি, যা খাদিজা (রা.)-এর বিশেষত্বকে আরও স্পষ্ট করে।

0
Updated: 22 hours ago
জাবির বিন হাইয়ান কিসে বিখ্যাত?
Created: 1 day ago
A
আধুনিক রসায়ন
B
সাহিত্য
C
আধুনিক হস্তশিল্প
D
শিল্পকলা
জাবির বিন হাইয়ান ছিলেন বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যিনি আধুনিক রসায়নের ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে খ্যাত। তাঁর অবদান রসায়নকে জাদুবিদ্যা বা আলকেমির পর্যায় থেকে বের করে এনে একটি পরীক্ষাভিত্তিক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
-
তিনি স্ফটিকীকরণ, পাতন, পরিস্রাবণ, বাষ্পীভবন প্রভৃতি পরীক্ষাগারিক প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন ও ব্যবহারিক রূপ দেন।
-
তাঁর গবেষণায় অম্ল (Acid), ক্ষার (Alkali) এবং রাসায়নিক যৌগের সংমিশ্রণ ও বিভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
-
জাবির বিন হাইয়ানকে পশ্চিমা জগতে “Father of Chemistry” নামে অভিহিত করা হয়।
-
তিনি প্রায় দুই হাজারেরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন বলে ধারণা করা হয়, যার মধ্যে বহু গ্রন্থ আজও বৈজ্ঞানিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে গণ্য।
-
তাঁর গবেষণা পরবর্তীকালে আবিসেনা (ইবনে সিনা), আল রাজি এবং ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।
-
তাঁর কাজ প্রমাণ করে যে ইসলামি স্বর্ণযুগে বিজ্ঞান ও জ্ঞানচর্চা ছিল যুক্তি, পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।

0
Updated: 1 day ago
কত হিজরিতে বদর যুদ্ধ সংগঠিত হয়?
Created: 1 day ago
A
প্রথম হিজরি
B
তৃতীয় হিজরি
C
পঞ্চম হিজরি
D
দ্বিতীয় হিজরি
বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা ইসলামের শক্তি ও বিশ্বাসের প্রথম সুস্পষ্ট বিজয় হিসেবে স্বীকৃত। এটি মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল এবং ইসলামের ভবিষ্যৎ ভিত্তি স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।
পয়েন্ট আকারে—
-
বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ২ হিজরি, ১৭ রমজান (১৩ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে।
-
এটি ইসলামের ইতিহাসে প্রথম ও সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।
-
যুদ্ধটি হয় মদিনার মুসলমান ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে।
-
মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আর কুরাইশদের নেতৃত্বে ছিলেন আবু জাহল।
-
মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় ৩১৩ জন, আর কুরাইশদের সংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার।
-
আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানরা এই যুদ্ধে বিজয় লাভ করে, যা ইসলামের অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
বদরের বিজয় মুসলিম সমাজে ঐক্য, আত্মবিশ্বাস ও ঈমানের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 1 day ago