বৌদ্ধধর্মের অনির্বাণ ধারনাটি সাথে ইসলামের সাদৃশ্য পূর্ণশব্দটি কী?
A
বাকাবিল্লাহ্
B
তাসকিয়াতুল কল্ব
C
ফানাফিল্লাহ্
D
কলবে মুতমায়িন্না
উত্তরের বিবরণ
বৌদ্ধধর্মে অনির্বাণ ধারণাটি আত্মার চিরস্থায়ী শান্তি ও নির্বাণ লাভের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা দুঃখ, লোভ ও আসক্তি থেকে মুক্তির প্রতীক। ইসলামে এর নিকটতম সাদৃশ্যপূর্ণ শব্দ হলো জান্নাত, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন চিরস্থায়ী সুখের প্রতিফলন।
-
বৌদ্ধধর্মে অনির্বাণ মানে হলো এমন এক অবস্থায় পৌঁছানো, যেখানে জন্ম-মৃত্যুর চক্র (সংসার) শেষ হয় এবং আত্মা সম্পূর্ণ মুক্তি লাভ করে।
-
ইসলামে জান্নাত হচ্ছে পরিশুদ্ধ আত্মার জন্য চিরস্থায়ী শান্তি ও আনন্দের স্থান, যেখানে কোনো দুঃখ-কষ্ট নেই।
-
উভয় ধারণার কেন্দ্রবিন্দু হলো আত্মার মুক্তি ও চিরশান্তি, যদিও দর্শন ও বিশ্বাসের ভিত্তি একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
বৌদ্ধধর্মে মুক্তি অর্জিত হয় আত্মশুদ্ধি ও জ্ঞান দ্বারা, আর ইসলামে তা অর্জিত হয় ঈমান, আমল ও আল্লাহর রহমত দ্বারা।
-
তাই উভয় ধর্মেই শেষ লক্ষ্য হলো দুঃখমুক্তি ও শান্তি, তবে ইসলামে তা আল্লাহর ইচ্ছা ও নির্দেশের পরিপূর্ণ আনুগত্যের মাধ্যমে সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
'ইফক' অর্থ কী?
Created: 1 day ago
A
পরনিন্দা
B
মিথ্যা রটনা
C
অপবাদ
D
প্রকাশ করা
‘ইফক’ শব্দটি ইসলামী পরিভাষায় জঘন্য মিথ্যা অপবাদ বা ভিত্তিহীন রটনার প্রতীক, যা ইসলামের ইতিহাসে এক অত্যন্ত সংবেদনশীল ও শিক্ষণীয় ঘটনার স্মারক। এই ঘটনাটি মুসলিম সমাজে সত্যনিষ্ঠা ও সতর্কতার গুরুত্ব তুলে ধরে।
১. ‘ইফক’ অর্থ জঘন্য মিথ্যা অপবাদ, যা কোনো নির্দোষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হয়।
২. এটি সম্পর্কিত সেই ঘটনা যেখানে মুনাফিকরা হজরত আয়েশা (রা.)-এর সতীত্ব সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ রটনা করেছিল।
৩. এই অপবাদ রাসুল (সা.) ও তাঁর পরিবারকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছিল এবং মুসলিম সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল।
৪. আল্লাহ তাআলা এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সুরা আন-নূরের ১১ থেকে ২০ নম্বর আয়াতে আয়েশা (রা.)-এর নির্দোষিতা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন।
৫. এসব আয়াতে গীবত, অপবাদ ও মিথ্যা প্রচারের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে কঠোর সতর্কবাণী প্রদান করা হয়েছে।
৬. ঘটনাটি মুসলমানদের জন্য শিক্ষা দেয় যে যাচাই ছাড়া কোনো সংবাদ প্রচার করা মারাত্মক অন্যায়।
৭. ‘ইফক’-এর এই ঘটনা ইসলামী সমাজে সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়।
৮. এটি মানব ইতিহাসে মিথ্যা অপবাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর ন্যায়বিচারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 1 day ago
সূরা হুজরাতের আলোচ্য বিষয় কী?
Created: 1 day ago
A
সামাজিক নিয়মনীতির শিক্ষা
B
রাজনৈতিক নিয়মনীতির শিক্ষা
C
অর্থনৈতিক মূলনীতির শিক্ষা
D
নামাজের নিয়মনীতির শিক্ষা
সূরা হুজরাত ইসলামী সমাজে শিষ্টাচার, সামাজিক আচরণ ও পারস্পরিক সম্পর্কের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটি মদীনায় অবতীর্ণ হয় এবং মুসলমানদের নৈতিক ও সামাজিক জীবনের আদর্শ গঠন করে।
১. সূরাটিকে “سورة الأخلاق والأدب” বলা হয়, কারণ এতে আদব, শিষ্টাচার ও সামাজিক আচরণের নিয়ম বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
২. এতে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও আদব রক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩. মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
৪. কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়ার পর তা যাচাই না করে প্রচার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।
৫. মুসলিম সমাজে দ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ দেখা দিলে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সমঝোতা স্থাপন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
৬. অন্যের অপমান, উপহাস, গীবত ও সন্দেহ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারণ এগুলো সমাজের বন্ধন দুর্বল করে।
৭. সূরায় ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং প্রকৃত সত্যবাদী ও মুমিনদের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
৮. এই সূরার মাধ্যমে ইসলামী সমাজে নৈতিকতা, আদব ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখার এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান উপস্থাপন করা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
ইসলামে সার্বভৌমত্তের মালিক কে?
Created: 22 hours ago
A
খলিফা
B
বাদশাহ
C
রাষ্ট্রপতি
D
আল্লাহ্
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ। মানুষের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ক্ষমতার অধিকারী নয়। ইসলামি চিন্তাধারায় এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত যে, আল্লাহই সব কিছুর সৃষ্টি, নিয়ন্ত্রণ ও বিধানদাতা।
-
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই একমাত্র সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
-
তাঁর এই ক্ষমতায় কোনো অংশীদার বা সহযোগী নেই।
-
ইসলামী রাষ্ট্রে আল্লাহর আইনই সর্বোচ্চ এবং রাষ্ট্রীয় সব ক্ষমতা তাঁর বিধানের অধীন।
-
শাসক ও প্রজারা উভয়েই আল্লাহর আদেশ ও নিষেধের প্রতি বাধ্য।
-
ইসলামী ন্যায়বিচারব্যবস্থায় মানবসৃষ্ট আইন নয়, বরং আল্লাহর নির্দেশই নীতি ও বিধানের মূল উৎস।

0
Updated: 22 hours ago