সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা কী?
A
সহমর্মিতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সামাজিক অধিকার প্রদান
B
নিয়ন্ত্রণ করা
C
সীমিত ধর্মীয় অধিকার প্রদান
D
সীমিত সাংস্কৃতিক অধিকার প্রদান
উত্তরের বিবরণ
ইসলাম মানবতার শিক্ষা দেয়, যেখানে সব মানুষের সঙ্গে ন্যায় ও সদাচরণের আদেশ রয়েছে। কুরআনের এই আয়াতে বলা হয়েছে, যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষ পোষণ করে না এবং তাদের ঘরবাড়ি থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ করা নিষিদ্ধ নয়। এটি ইসলামের সহনশীলতা ও মানবিকতার স্পষ্ট উদাহরণ।
পয়েন্ট আকারে—
-
আল্লাহ বলেন, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে দ্বীনের কারণে যুদ্ধ করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায়বিচার করতে নিষেধ করা হয়নি।
-
এই নির্দেশনার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, অমুসলিম ও সংখ্যালঘুদের সঙ্গেও ন্যায়, দয়া ও মানবিক আচরণ করতে হবে।
-
ইসলাম এমন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলে যেখানে প্রত্যেকে নিজস্ব ধর্ম ও সংস্কৃতির স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে।
-
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবনে অমুসলিমদের সাথে ন্যায় ও দয়ার আচরণ করে এই নীতির বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
-
তাই সংখ্যালঘুদের প্রতি ইসলামের নির্দেশনা হলো—সহমর্মিতা, ন্যায়বিচার ও সামাজিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

0
Updated: 1 day ago
যে হাদিসের সনদের দোষ-ত্রুটি গোপন করা হয় তাকে বলে?
Created: 1 day ago
A
মুদাল্লাস
B
মন্কাতা
C
শাম
D
মাক্তু
মুদাল্লাস হাদীস এমন একটি হাদীস যার সনদে অস্পষ্টতা বা গোপনতা থাকে। এতে কোনো বর্ণনাকারী তার শিক্ষক বা যিনি তাকে হাদীসটি বলেছেন, তার নাম উল্লেখ না করে এমনভাবে বর্ণনা করেন যেন তিনি সরাসরি তার কাছ থেকে শুনেছেন। এর ফলে সনদের একটি স্তর আড়াল হয়ে যায়, যা হাদীসের নির্ভরযোগ্যতায় প্রভাব ফেলে।
পয়েন্ট আকারে—
-
মুদাল্লাস হাদীস শব্দটি এসেছে “তাদলিস” থেকে, যার অর্থ গোপন করা বা আড়াল করা।
-
এতে বর্ণনাকারী ইচ্ছাকৃতভাবে বা অসাবধানতাবশত সনদের ত্রুটি বা দুর্বলতা লুকিয়ে রাখেন।
-
তিনি এমনভাবে হাদীস বর্ণনা করেন যেন সরাসরি তার শিক্ষক থেকে শুনেছেন, অথচ বাস্তবে অন্য কারও মাধ্যমে শুনেছেন।
-
এ কারণে এই ধরণের হাদীস বিশুদ্ধতার দিক থেকে দুর্বল বা যাচাইযোগ্য নয় বলে বিবেচিত হয়।
-
হাদীসবিদগণ মুদাল্লাস বর্ণনাকারীদের সনদ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেন যাতে সত্যতা নিশ্চিত করা যায়।

0
Updated: 1 day ago
সূরা ফাতহের মধ্যে বিজয়ের পূর্বাভাস কীভাবে দেওয়া হয়েছিলো?
Created: 21 hours ago
A
রাসূল (সাঃ)-এর স্বপ্নে মক্কায় প্রবেশের মাধ্যমে
B
সাহাবীগনের স্বপ্নে মক্কায় প্রবেশের মাধ্যমে
C
মক্কাবাসীদের আমন্ত্রনের মাধ্যমে
D
হযরত ওসমান (রাঃ)এর স্বপ্নের মাধ্যমে
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর সেই স্বপ্নের সত্যতা ঘোষণা করেছেন, যেখানে তিনি মুমিনদের নিরাপদে মক্কায় প্রবেশ করতে দেখেছিলেন। এটি ছিল ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা ভবিষ্যৎ বিজয়ের স্পষ্ট পূর্বাভাস বহন করেছিল।
-
আয়াতটি সুরা ফাতহের ২৭ নম্বর আয়াত, যেখানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দেন যে মুমিনরা ইনশাআল্লাহ নির্ভয়ে আল-মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে।
-
রাসুল (সঃ)-এর এই স্বপ্ন ছিল ওহি দ্বারা প্রাপ্ত সত্য স্বপ্ন, যা হুদাইবিয়ার চুক্তির পর মুসলমানদের জন্য আশার বার্তা হয়ে আসে।
-
এতে বলা হয়, মুসলমানরা মাথা মুন্ডন ও চুল ছেঁটে উমরা পালন করবে, অর্থাৎ তারা সফলভাবে মক্কায় প্রবেশ করবে।
-
পরবর্তীতে এই ভবিষ্যদ্বাণী হুদাইবিয়ার চুক্তির এক বছর পর উমরাতুল ক্বাযা ও পরে মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে বাস্তবে পরিণত হয়।
-
এই আয়াত প্রমাণ করে যে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অবশ্যম্ভাবীভাবে সত্য, এবং নবী (সঃ)-এর স্বপ্ন আল্লাহর নির্দেশেই বাস্তবায়িত হয়েছিল।

0
Updated: 21 hours ago
কোন পাপ আল্লাহ্ ক্ষমা করেন না?
Created: 1 day ago
A
ব্যাভিচারের পাপ
B
শিরকের পাপ
C
হত্যা করার পাপ
D
রাসুল (সাঃ)-কে অপমান করার পাপ
আল্লাহ তায়ালা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি শিরককে কখনো ক্ষমা করেন না, তবে এর বাইরে যেসব পাপ রয়েছে, সেগুলো তিনি যাকে চান ক্ষমা করে দেন। এটি আল্লাহর একান্ত ইচ্ছাধীন বিষয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে, সে এক মহাপাপ ও অমার্জনীয় অপরাধ করে।
-
শিরক অর্থ হলো আল্লাহর সত্তা, গুণ বা ইবাদতে অন্য কাউকে অংশীদার করা।
-
এটি এমন একটি পাপ যা তওবা ছাড়া কখনো ক্ষমাযোগ্য নয়।
-
তাওহিদ হচ্ছে ইসলামের মূল ভিত্তি, যা আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করে।
-
আল্লাহর সাথে শরীক করা মানুষের আখিরাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় এবং জান্নাত থেকে বঞ্চিত করে।
-
কুরআনের অন্য আয়াতেও বলা হয়েছে—“যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার আশ্রয় হবে জাহান্নাম।”
-
এই আয়াত মানুষকে সতর্ক করে দেয় যে, ইমান রক্ষার প্রথম শর্ত হলো শিরক থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা।

0
Updated: 1 day ago