হযরত আবু সুফিয়ান কখন ইসলাম গ্রহণ করেন?
A
হুদাইবিয়ার সন্ধির সময়
B
মক্কা বিজয়ের সময়
C
উহুদের যুদ্ধের সময়
D
খন্দকের যুদ্ধের সময়
উত্তরের বিবরণ
৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন, যা ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। দীর্ঘ সময় তিনি ইসলামের বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত সত্য গ্রহণ করেন।
১. তাঁর পূর্ণ নাম ছিল আবু সুফিয়ান ইবন হারব, এবং তিনি কুরাইশ গোত্রের প্রধান নেতা ছিলেন।
২. তিনি ছিলেন রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই ও দুধ ভাই, অর্থাৎ পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত।
৩. ইসলামের প্রারম্ভিক সময়ে তিনি মুসলমানদের অন্যতম প্রবল বিরোধী ও যুদ্ধনেতা ছিলেন।
৪. তিনি উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধসহ বহু যুদ্ধে কুরাইশ বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৫. মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে রাসুল (সা.)-এর সাথে সাক্ষাতের পর তিনি ইসলামের সত্যতা উপলব্ধি করে ইসলাম গ্রহণ করেন।
৬. ইসলাম গ্রহণের পর তিনি মুসলমানদের মধ্যে সম্মানজনক স্থান লাভ করেন এবং পরবর্তীতে মুয়াবিয়া (রা.)-এর পিতা হিসেবে মুসলিম ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
৭. তাঁর ইসলাম গ্রহণ মক্কাবাসীর মনোভাব পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং মক্কা বিজয়কে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago
হুদাইবিয়ার সন্ধি কত বছর স্থায়ী হয়?
Created: 1 day ago
A
২ বছর
B
৩ বছর
C
৪ বছর
D
১ বছর
হুদাইবিয়ার সন্ধি ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চুক্তি, যা মুসলমানদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও ইসলামের বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। এটি মদিনার মুসলমান ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সম্পাদিত হয়।
১. চুক্তিটি ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে (৬ হিজরি) হুদাইবিয়া নামক স্থানে স্বাক্ষরিত হয়।
২. এর মেয়াদ ছিল ১০ বছর, যার মধ্যে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকবে বলে শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।
৩. সন্ধির মাধ্যমে মুসলমানদের নিরাপদে মক্কায় ওমরাহ পালনের অনুমতি পরবর্তী বছরে দেওয়া হয়।
৪. এতে কিছু শর্ত মুসলমানদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও, তা ভবিষ্যতে ইসলামের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করে।
৫. মাত্র দুই বছর পর কুরাইশরা সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করে, একটি মিত্র গোত্রের ওপর হামলা চালিয়ে।
৬. এর ফলে চুক্তিটি বাতিল হয় এবং মুসলমানরা মক্কা বিজয়ের পথে অগ্রসর হয়, যা ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয়।
৭. হুদাইবিয়ার সন্ধি ছিল ইসলামী কূটনীতির ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও কৌশলগত সফলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
৮. এই চুক্তির মাধ্যমে ইসলামের বার্তা শান্তিপূর্ণভাবে আরব উপদ্বীপে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 1 day ago
অ্যালজেব্রা শব্দটি প্রথমত কার নিকট থেকে এসেছে?
Created: 1 day ago
A
আল বিরুনী
B
আল কিন্দি
C
আল খাওয়ারিজমি
D
আল ফারাবী
মুহাম্মাদ বিন মুসা আল খাওয়ারিজমি ছিলেন মধ্যযুগীয় ইসলামী বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত, যিনি গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ভূগোলে অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন। তাঁর কাজ পরবর্তীতে ইউরোপীয় বিজ্ঞান ও গণিতের বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলে।
১. তিনি ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ফার্স অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন এবং প্রায় ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
২. তিনি বাগদাদের বায়তুল হিকমা (House of Wisdom)-এ কাজ করতেন, যা ছিল তৎকালীন জ্ঞানের কেন্দ্র।
৩. তাঁর অন্যতম বিখ্যাত গ্রন্থ “আল-কিতাব আল-মুখতাসার ফি হিসাব আল-জাবর ওয়াল-মুকাবালা”, যেখান থেকে ‘Algebra’ শব্দটির উৎপত্তি।
৪. ‘Algorithm’ শব্দটি তাঁর নাম ‘Al-Khwarizmi’-এর লাতিন রূপ ‘Algorismi’ থেকে এসেছে।
৫. তিনি হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতি ইউরোপে পরিচিত করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
৬. তাঁর জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক কাজগুলোতে পৃথিবীর পরিধি ও জ্যোতির্বিদ্যাগত পর্যবেক্ষণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৭. ভূগোলবিদ হিসেবেও তিনি বিশ্ব মানচিত্রের সংশোধিত সংস্করণ তৈরি করেন, যা পরবর্তী কালে ইউরোপীয় মানচিত্রবিদদের জন্য ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 1 day ago
কোন সূরায় সবচেয়ে বেশী উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টনের আলোচনা করা হয়েছে?
Created: 21 hours ago
A
সুরা নিসা
B
সুরা মরিয়ম
C
সূরা আলে-ইমরান
D
সূরা আত-তাওবা
পবিত্র কুরআনের সুরা আন্-নিসা (চতুর্থ সূরা) তে উত্তরাধিকার ও সম্পদ বণ্টন সম্পর্কে সবচেয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরায় আল্লাহ তায়ালা পরিবার ও সমাজে ন্যায়সঙ্গত সম্পদ বণ্টনের নীতি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করেছেন।
-
এখানে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ বণ্টনের নির্দিষ্ট অংশ ও নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে — পিতা-মাতা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোন ও অন্যান্য আত্মীয়ের মধ্যে কার কত অংশ প্রাপ্য তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতিমদের অধিকার রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের সম্পদ অন্যরা আত্মসাৎ না করতে পারে।
-
এই সূরায় নারীদের উত্তরাধিকার ও আর্থিক অধিকারও সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সে সময়ের সমাজে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল।
-
সুরা নিসা সমাজে ন্যায়, সমতা ও দায়িত্ববোধের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দেয়।
-
এতে সম্পদের সঠিক বণ্টনের মাধ্যমে অবিচার, বৈষম্য ও পারিবারিক বিবাদ প্রতিরোধের নীতিও নির্ধারিত হয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago