বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদকে কী বলে?
A
গনীমত
B
ফাই
C
খুমুস
D
বায়তুল মাল
উত্তরের বিবরণ
বিনা যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদকে ফাই বলা হয়, যা ইসলামী অর্থব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এটি যুদ্ধ ছাড়াই মুসলমানদের হাতে আসা সম্পদ বা সম্পত্তি বোঝায়।
-
পবিত্র কুরআনের সুরা আনফাল-এর ১ম আয়াতে ফাই-এর বণ্টননীতি ঘোষণা করা হয়েছে।
-
এই সম্পদ কেবল আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ)-এর নির্দেশ অনুযায়ী বণ্টিত হতো।
-
রাসুল (সাঃ) স্বীয় সিদ্ধান্তে নয়, বরং আল্লাহ তাআলার নির্দেশ অনুসারে ফাই সম্পদ বণ্টন করতেন।
-
ফাই-এর বণ্টনের উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম সমাজে ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা করা।
-
এতে দরিদ্র, অনাথ, অসহায় ও সমাজকল্যাণমূলক কার্য অন্তর্ভুক্ত থাকত, যাতে সমাজের সকল শ্রেণি এর সুফল পায়।

0
Updated: 1 day ago
ইসলামী বীমা বা তাকাফুলের মূল সুবিধা-
Created: 1 day ago
A
সামাজিক নিরাপত্তা
B
সম্পদ সংরক্ষন
C
সামাজিক নিরাপত্তা ও পরস্পারিক সহায়তা
D
ইসলামী বীমা বা তাকাফুল এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থা যা সামাজিক দায়িত্ববোধ, পারস্পরিক সহযোগিতা ও ন্যায্যতার নীতিতে প্রতিষ্ঠিত। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজে নিরাপত্তা সৃষ্টি করা এবং সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার বন্ধন জোরদার করা।
পয়েন্ট আকারে—
-
তাকাফুল শব্দটি আরবি “তাকাফুল” থেকে এসেছে, যার অর্থ পারস্পরিক সহযোগিতা বা দায়িত্ব ভাগাভাগি।
-
এতে অংশগ্রহণকারীরা একটি সম্মিলিত তহবিল গঠন করেন, যা থেকে সদস্যদের সম্ভাব্য ক্ষতি পূরণ করা হয়।
-
এটি প্রচলিত বীমার ইসলামী বিকল্প, যেখানে সুদ (রিবা), জুয়া (মায়সির) ও অনিশ্চয়তা (গারার) পরিহার করা হয়।
-
তাকাফুল ব্যবস্থা ভ্রাতৃত্ব, সংহতি, ন্যায়বিচার ও পরস্পর সহায়তার নীতির ওপর পরিচালিত হয়।
-
এতে লাভের উদ্দেশ্য নয়, বরং সমাজে নিরাপত্তা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য।
-
অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের ক্ষতির ভার ভাগাভাগি করে, ফলে এটি এক ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।
-
ইসলামী অর্থনীতিতে তাকাফুলকে নৈতিক ও শরিয়তসম্মত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আদর্শ পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
পবিত্র কুরআনের কোন সুরায় মৌমাছির কথা বলা আছে?
Created: 1 day ago
A
সূরা বাকারা
B
সূরা আন্ নাজম
C
সূরা আন্ নাহল
D
সূরা ইয়াসীন
পবিত্র কুরআনের ১৬তম সূরা ‘আন-নাহল’ (النحل) মানবজাতিকে আল্লাহর অনুগ্রহ, সৃষ্টির বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়। এই সূরার নামকরণ করা হয়েছে মৌমাছি (নাহল)-এর নামে, কারণ এতে মৌমাছির জীবনধারা ও কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমতা ও প্রজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে।
১. সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, এবং এতে আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের উল্লেখ রয়েছে।
২. ৬৮ ও ৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মৌমাছিকে নির্দেশ দেন, যাতে সে পাহাড়, গাছপালা ও মানুষের নির্মিত স্থানে ঘর তৈরি করে।
৩. এসব আয়াতে মৌমাছির অতুলনীয় কর্মদক্ষতা ও আল্লাহপ্রদত্ত প্রেরণার কথা বর্ণিত হয়েছে।
৪. মৌমাছির তৈরি মধুকে আল্লাহ “মানুষের জন্য নিরাময়” হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
৫. এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রাকৃতিক ব্যবস্থার মধ্যে তাঁর অসীম জ্ঞান ও পরিকল্পনা প্রতিফলিত হয়েছে।
৬. ‘আন-নাহল’ সূরা মানুষকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, চিন্তাশীলতা ও অনুধাবনের আহ্বান জানায়।
৭. মৌমাছির উদাহরণের মাধ্যমে সূরাটি শেখায় যে সুশৃঙ্খলতা, পরিশ্রম ও উপকারিতা আল্লাহপ্রদত্ত একটি গুণ।
৮. তাই এই সূরাকে প্রায়ই “আল্লাহর নিয়ামত ও সৃষ্টির জ্ঞানভিত্তিক সূরা” বলা হয়ে থাকে।

0
Updated: 1 day ago
‘আমার সুন্নাত' বলে রাসুল (সাঃ) একটি আমলের দিকে নির্দেশ করেছেন সেটি কী?
Created: 22 hours ago
A
ব্যবসা করা
B
রাষ্ট্র পরিচালনা করা
C
মসজিদের ইমামতি করা
D
বিবাহ করা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বিবাহের গুরুত্ব অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “যে বিবাহ করেছে, সে তার ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ করেছে।” অর্থাৎ বিবাহ মানুষের চরিত্র ও আত্মসংযমকে রক্ষা করে, যা ঈমানের পরিপূর্ণতার অংশ। অন্য হাদীসে তিনি আরও বলেন, “বিবাহ করা আমার সুন্নাত।” এ নির্দেশনার মাধ্যমে তিনি মুসলমানদের বিবাহকে ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন।
-
বিবাহ মানুষকে অশ্লীলতা ও পাপ থেকে রক্ষা করে, তাই একে ঈমানের অর্ধেক বলা হয়েছে।
-
এটি ইসলামী সমাজে নৈতিকতা, পরিবারব্যবস্থা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
-
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এই নির্দেশ মুসলমানদের জন্য জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত হিসেবে বিবেচিত।
-
বিবাহের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহভীতির বাস্তব প্রকাশ ঘটাতে পারে, কারণ এটি দায়িত্বশীলতা ও আত্মসংযম শেখায়।
-
ইসলামে বিবাহ কেবল দাম্পত্য সম্পর্ক নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক ও সামাজিক ভারসাম্যের প্রতীক।

0
Updated: 22 hours ago