তাকাফুল জায়েজ কী না?
A
লাভ ক্ষতির ভিত্তিতে জায়েজ
B
জায়েজ নয়
C
হারাম
D
মুবাহ্
উত্তরের বিবরণ
ইসলাম পারস্পরিক সহযোগিতা ও কল্যাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত লেনদেনকে সমর্থন করে। তাই যদি কোনো বীমা বা তাকাফুল ব্যবস্থা এমন নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শরীয়তের নির্দেশ অনুযায়ী চলে এবং হারাম উপাদান থেকে মুক্ত থাকে, তবে সেটি বৈধ গণ্য হয়।
-
তাকাফুল শব্দের অর্থ পারস্পরিক দায়িত্ব বা সহযোগিতা, যা ইসলামী বীমা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত।
-
এই ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের ক্ষতি পূরণে সাহায্য করে, লাভ বা ক্ষতি ভাগাভাগি করে নেয়।
-
সংগৃহীত অর্থ যদি হালাল ব্যবসা বা শরীয়তসম্মত বিনিয়োগে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা বৈধ।
-
এতে সুদ (রিবা), জুয়া (মায়সির) বা অনিশ্চয়তা (গারার) থাকা চলবে না।
-
মূল উদ্দেশ্য হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণ, লাভ অর্জন নয় বরং সমাজে নিরাপত্তা ও সহায়তার পরিবেশ তৈরি করা।
-
শরীয়তসম্মত তাকাফুল ব্যবস্থা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক উত্তম উপায়, যা সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
বিদায়ী হজ্জের ভাষণে কোন্ মৌলিক নীতির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে?
Created: 21 hours ago
A
যুদ্ধ কৌশল
B
যুদ্ধ বিলোপ
C
নারী অধিকার
D
মানবতার মর্যাদা ও ক্ষমতা
বিদায় হজের ভাষণ ছিল মানবতার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ মানবজাতির ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের নীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এটি শুধু ধর্মীয় নির্দেশ নয়, বরং সমগ্র মানবসমাজের জন্য এক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
মানুষের জীবন, সম্পদ ও মর্যাদা পবিত্র, এগুলোর প্রতি আঘাত বা অবমাননা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
-
জাতি, বর্ণ ও ভাষার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় কেবল তাকওয়া ও সৎকর্মের ভিত্তিতে।
-
নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়, যাতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সমাজে ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
সুদ, রক্তপাত ও অন্যায়ের সকল রূপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।
-
এই ভাষণ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন এক দলিল, যেখানে মানবতার মর্যাদা ও সমতার মূলনীতি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
হুদাইবিয়ার সন্ধি কত বছর স্থায়ী হয়?
Created: 1 day ago
A
২ বছর
B
৩ বছর
C
৪ বছর
D
১ বছর
হুদাইবিয়ার সন্ধি ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চুক্তি, যা মুসলমানদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও ইসলামের বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। এটি মদিনার মুসলমান ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সম্পাদিত হয়।
১. চুক্তিটি ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে (৬ হিজরি) হুদাইবিয়া নামক স্থানে স্বাক্ষরিত হয়।
২. এর মেয়াদ ছিল ১০ বছর, যার মধ্যে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকবে বলে শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।
৩. সন্ধির মাধ্যমে মুসলমানদের নিরাপদে মক্কায় ওমরাহ পালনের অনুমতি পরবর্তী বছরে দেওয়া হয়।
৪. এতে কিছু শর্ত মুসলমানদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও, তা ভবিষ্যতে ইসলামের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করে।
৫. মাত্র দুই বছর পর কুরাইশরা সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করে, একটি মিত্র গোত্রের ওপর হামলা চালিয়ে।
৬. এর ফলে চুক্তিটি বাতিল হয় এবং মুসলমানরা মক্কা বিজয়ের পথে অগ্রসর হয়, যা ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয়।
৭. হুদাইবিয়ার সন্ধি ছিল ইসলামী কূটনীতির ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও কৌশলগত সফলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
৮. এই চুক্তির মাধ্যমে ইসলামের বার্তা শান্তিপূর্ণভাবে আরব উপদ্বীপে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 1 day ago
‘আমার সুন্নাত' বলে রাসুল (সাঃ) একটি আমলের দিকে নির্দেশ করেছেন সেটি কী?
Created: 22 hours ago
A
ব্যবসা করা
B
রাষ্ট্র পরিচালনা করা
C
মসজিদের ইমামতি করা
D
বিবাহ করা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বিবাহের গুরুত্ব অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “যে বিবাহ করেছে, সে তার ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ করেছে।” অর্থাৎ বিবাহ মানুষের চরিত্র ও আত্মসংযমকে রক্ষা করে, যা ঈমানের পরিপূর্ণতার অংশ। অন্য হাদীসে তিনি আরও বলেন, “বিবাহ করা আমার সুন্নাত।” এ নির্দেশনার মাধ্যমে তিনি মুসলমানদের বিবাহকে ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন।
-
বিবাহ মানুষকে অশ্লীলতা ও পাপ থেকে রক্ষা করে, তাই একে ঈমানের অর্ধেক বলা হয়েছে।
-
এটি ইসলামী সমাজে নৈতিকতা, পরিবারব্যবস্থা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
-
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এই নির্দেশ মুসলমানদের জন্য জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত হিসেবে বিবেচিত।
-
বিবাহের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহভীতির বাস্তব প্রকাশ ঘটাতে পারে, কারণ এটি দায়িত্বশীলতা ও আত্মসংযম শেখায়।
-
ইসলামে বিবাহ কেবল দাম্পত্য সম্পর্ক নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক ও সামাজিক ভারসাম্যের প্রতীক।

0
Updated: 22 hours ago