কোন পাপ আল্লাহ্ ক্ষমা করেন না?
A
ব্যাভিচারের পাপ
B
শিরকের পাপ
C
হত্যা করার পাপ
D
রাসুল (সাঃ)-কে অপমান করার পাপ
উত্তরের বিবরণ
আল্লাহ তায়ালা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি শিরককে কখনো ক্ষমা করেন না, তবে এর বাইরে যেসব পাপ রয়েছে, সেগুলো তিনি যাকে চান ক্ষমা করে দেন। এটি আল্লাহর একান্ত ইচ্ছাধীন বিষয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে, সে এক মহাপাপ ও অমার্জনীয় অপরাধ করে।
-
শিরক অর্থ হলো আল্লাহর সত্তা, গুণ বা ইবাদতে অন্য কাউকে অংশীদার করা।
-
এটি এমন একটি পাপ যা তওবা ছাড়া কখনো ক্ষমাযোগ্য নয়।
-
তাওহিদ হচ্ছে ইসলামের মূল ভিত্তি, যা আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করে।
-
আল্লাহর সাথে শরীক করা মানুষের আখিরাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় এবং জান্নাত থেকে বঞ্চিত করে।
-
কুরআনের অন্য আয়াতেও বলা হয়েছে—“যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার আশ্রয় হবে জাহান্নাম।”
-
এই আয়াত মানুষকে সতর্ক করে দেয় যে, ইমান রক্ষার প্রথম শর্ত হলো শিরক থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা।

0
Updated: 1 day ago
মহা নবী (সাঃ) কোন ইবাদাতকে সেতুবন্ধন হিসেবে উল্লেখ করেন?
Created: 21 hours ago
A
নামাজ
B
রোজা
C
যাকাত
D
হজ্জ
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকাতকে “ইসলামের সেতুবন্ধন” বলেছেন, কারণ এটি সমাজে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্পর্ক, সহানুভূতি ও ভারসাম্য সৃষ্টি করে। যাকাত শুধু একটি আর্থিক দান নয়, বরং এটি একটি সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব, যা সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
যাকাত ধনীদের সম্পদ থেকে নির্ধারিত অংশ দরিদ্রদের মাঝে বণ্টনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমায়।
-
এটি দরিদ্র ও অভাবী মানুষের কষ্ট লাঘব করে এবং তাদের জীবনে স্বস্তি আনে।
-
যাকাত সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন দৃঢ় করে।
-
এটি মানুষের মধ্যে আত্মসংযম, ত্যাগ ও আল্লাহভীতি জাগ্রত করে।
-
ইসলামী অর্থব্যবস্থায় যাকাতকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক নিরাপত্তার মূলভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
ফলে যাকাত কেবল দান নয়, বরং একটি সমন্বিত কল্যাণনীতি, যা সমাজকে ন্যায় ও সমতার পথে পরিচালিত করে।

0
Updated: 21 hours ago
ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি কোন নীতির ভিত্তিতে হয়ে থাকে?
Created: 21 hours ago
A
জনগনের মতামতের ভিত্তিতে
B
উপদেষ্টাদের মতামতের ভিত্তিতে
C
সামরিক বাহিনীর মতামতের আলোকে
D
আল্লার নির্দেশ ও ন্যায় বিচারের মাধ্যমে
ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি এমন একটি নীতিমালা যা মানবতার কল্যাণ, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে গঠিত। এটি আল্লাহর নির্দেশ ও ইসলামি শরীয়াহর নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়, যাতে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কও নৈতিকতা ও সত্যনিষ্ঠার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে।
১. ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি আল্লাহর নির্দেশ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।
২. এর মূল ভিত্তি হলো ইসলামি শরীয়াহ, যা প্রতিটি বিষয়ে ন্যায়, সমতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়।
৩. ইসলামী রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে শান্তি, সহযোগিতা ও ন্যায়বিচার রক্ষার উদ্দেশ্যে।
৪. এই নীতির অধীনে আগ্রাসন, শোষণ বা অন্যায়ের কোনো স্থান নেই।
৫. কুরআন ও হাদীসে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অঙ্গীকার রক্ষা, সত্যবাদিতা ও মানবিকতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৬. ইসলামী বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য হলো একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে প্রতিটি জাতি মর্যাদার সঙ্গে সহাবস্থান করতে পারে।

0
Updated: 21 hours ago
আল বিরুনীর সবচেয়ে বড় গবেষণার ক্ষেত্র কী ছিল?
Created: 22 hours ago
A
গনিত
B
রসায়ন
C
ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা
D
চিকিৎসা বিদ্যা
আল-বিরুনি ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, যিনি মূলত ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে গভীর গবেষণা করেছেন। তিনি পৃথিবীর আকৃতি, পরিধি ও ব্যাসার্ধ নির্ণয়ে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন এবং তাঁর গণনাগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের কাছেও বিস্ময়করভাবে নির্ভুল বলে স্বীকৃত।
-
তিনি পৃথিবীকে গোলাকার ও নিজ অক্ষে ঘূর্ণনশীল বলে যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করেছিলেন।
-
তাঁর গবেষণায় পৃথিবীর পরিধি ও ব্যাসার্ধের নির্ধারণ ছিল অত্যন্ত নিখুঁত।
-
নক্ষত্র, সূর্য ও চন্দ্রের গতি ও অবস্থান নিরূপণ, সময় পরিমাপ ও জ্যোতির্বিদ্যাগত পর্যবেক্ষণে তিনি বিশেষ পারদর্শিতা দেখান।
-
তিনি “আল-কানুন আল-মাসউদি” নামক গ্রন্থে ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের বহু তথ্য সংকলন করেন।
-
ভারত ভ্রমণের সময় তিনি “তাহকিক মা লি-ল-হিন্দ” গ্রন্থে ভারতীয় সংস্কৃতি, ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যার বর্ণনা দেন।
-
তাঁর গবেষণার ফলাফল ইউরোপীয় বিজ্ঞান বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 22 hours ago