ইতিহাস বিখ্যাত ট্রয় নগরী কোথায়?
A
ইতালি
B
স্পেন
C
তুরস্ক
D
গ্রিস
উত্তরের বিবরণ
• ইতিহাস বিখ্যাত ট্রয় নগরী — তুরস্কে অবস্থিত।
-------------------------------
• ইতিহাস এবং অবস্থান:
- হোমারের মহাকাব্যে বর্ণিত ইতিহাসে, ট্রয় নগরী হলো বিখ্যাত একটি নগরী যা বর্তমান — তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের হেসারলিক নামক স্থানে অবস্থিত ছিল।
• প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁজ:
- উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে, ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্র্যাঙ্ক কালভার্ট এবং জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক হেনরিক শ্লিম্যানের প্রচেষ্টায় ট্রয় নগরীর সন্ধান লাভ করা সম্ভব হয়।
• ধ্বংস:
- গ্রিকদের দ্বারা — ট্রয় নগরী ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
- ট্রয় এর ধ্বংসের কারণ হেলেনকেন্দ্রিক ঐতিহাসিক — ট্রোজান যুদ্ধ।
উৎস: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ও ইউনেস্কোর ওয়েবসাইট।
0
Updated: 5 months ago
১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশের কোন ভাস্করের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পায়?
Created: 5 months ago
A
শামীম সিকদার
B
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ
C
হামিদুজ্জামান খান
D
আবদুস সুলতান
• ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশের হামিদুজ্জামান খান ভাস্করের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পায়।
---------------------
• হামিদুজ্জামান খান:
- একজন বাংলাদেশী ভাস্কর।
- তিনি ১৯৮১ সালে বঙ্গভবনে 'পাখি পরিবার',
- ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমিতে 'মুক্তিযোদ্ধা',
- ১৯৮৮ সালে আশুগঞ্জ জিয়া সারকারখানায় 'জাগ্রত বাংলা'এবং
- ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল অলিম্পিক পার্কে 'স্টেপস' (সিঁড়ি) নির্মাণ করেন- হামিদুজ্জামান খান।
- "His piece titled ‘Steps’ has found a permanent place in the Seoul Olympic Park in Korea."
• অলিম্পিকে বাংলাদেশ:
- ১৯৮০ সালেই মস্কো অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের।
- কিন্তু শেষ মুহূর্তে গেমস বয়কট করে।
- ১৯৮৪ সালে লস্ অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক গেমসে মার্চ পাস্টে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মাঠে নামে।
- ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা অংশ নেন।
- এরপর নিয়মিত অলিম্পিক গেমসে লাল-সবুজের পতাকা উড়ছে।
- এখন পর্যন্ত কোনো আসরেই পদক জেতা হয়নি বাংলাদেশের।
উৎস: Bengal Foundation, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯।
0
Updated: 5 months ago
পিএলও-এর সদর দপ্তর-
Created: 5 months ago
A
তিউনিস
B
ফিলিস্তিন
C
বেনগাজি
D
মরক্কো
• পিএলও (PLO):
- PLO-এর পূর্ণরূপ— Palestine Liberation Organization.
- প্রতিষ্ঠিত হয় — ১৯৬৪ সালে।
- সদর দপ্তর: রামাল্লাহ — ফিলিস্তিন।
- PLO-এর প্রথম চেয়ারম্যান — আহমদ শুকিরি ।
- PLO-এর তৃতীয় চেয়ারম্যান — ইয়াসির আরাফাত।
- সংগঠনটি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ১৯৭৪ সাল থেকে পিএলও জাতিসংঘে পর্যবেক্ষক মর্যাদা ভোগ করছে।
• 'Orient House':
- জেরুজালেমে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এর সদর দপ্তর।
- ওরিয়েন্ট হাউস হল ইসরায়েলি অধিকৃত জেরুজালেমে স্বায়ত্তশাসন এবং সংহতির জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক এবং এটিই আজ ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা নেড়েছে।
তথ্যসূত্র: orienthouse.org, Encyclopaedia Britannica, Britannica.
0
Updated: 5 months ago
বাংলায় ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে প্রথম এসেছিল-
Created: 5 months ago
A
ইংরেজরা
B
ওলন্দাজরা
C
ফরাসিরা
D
পর্তুগিজরা
• বাংলায় ইউরোপীয় বণিকেদের মধ্যে,
- পর্তুগিজরাই প্রথম বাংলায় আগমন করে।
- পনেরো শতকের শুরু থেকেই তারা বাণিজ্যের জন্য দুঃসাহসিক সমুদ্রযাত্রা শুরু করে।
- ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ভাস্কো ডা গামার কালিকটে পৌঁছার কয়েক দশক পরে বাংলায় পর্তুগিজদের আগমন ঘটে।
- প্রথম আগত ইউরোপীয়ান বাণিজ্যিক দল হলেও তাদের অপকর্ম ও দস্যুতার কারণে বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খান পর্তুগিজদের চট্টগ্রাম ও সন্দ্বীপের ঘাঁটি দখল করে, তাদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করেন।
- তাছাড়া পর্তুগিজরা এদেশে আগত ইউরোপীয় অন্যন্য শক্তির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত হয়ে এদেশ ত্যাগে বাধ্য হয়।
পর্তুগীজদের নিয়ে আরো কিছু তথ্য:
• পর্তুগালের অধিবাসীরা পর্তুগিজ বা ফিরিঙ্গি নামে পরিচিত।
• ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগিজরাই প্রথম বাংলায় আগমন করে।
• আলবুকার্ক উপমহাদেশে পর্তুগিজ-শক্তির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
• উপমহাদেশে আগমন- ১৪৯৮
• বাংলায় আগমন- ১৫১৬ ( হুগলি )
• বাংলায় প্রথম কুঠি-১৫১৭ ( হুগলি )
• বাংলা ত্যাগ-১৬৬৬ চট্রগ্রাম থেকে
• ভারত ত্যাগ-১৯৬১ গয়া থেকে।
-------------------------
বাংলায় ইউরোপীয়দের আগমন:
- হল্যান্ডের অধিবাসীদের ওলন্দাজ বা ডাচ বলা হয়।
- তারা ‘ডাচ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি' গঠন করে বাণিজ্যের উদ্দেশে ১৬০২ খ্রিস্টাব্দে উপমহাদেশে আসে।
- ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে ওলন্দাজরা বিদরার যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। ফলে ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে শেষ পর্যন্ত সকল বাণিজ্যকেন্দ্র গুটিয়ে তারা এদেশ ত্যাগে বাধ্য হয়।
- ওলন্দাজদের মতোই দিনেমার বা ডেনমার্কের অধিবাসী একদল বণিক বাণিজ্য করার জন্য ‘ডেনিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠন করে।
- এদেশে লাভজনক ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয়ে ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে বাণিজ্যিক সফলতা ছাড়াই দিনেমাররা এদেশ ত্যাগ করে।
- ইউরোপীয়দের মধ্যে সবার শেষে আসেন ফরাসিরা।
• ইংরেজরা বাংলায় আগমন-১৬০০ সালে।
• ফরাসিরা বাংলায় আগমন-১৬৭৪ সালে।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, নবম দশম শ্রেণি ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago