কোনটিকে Vampire fish বলা হয়?
A
পেট্রোমাইজন
B
ব্রাঙ্গিওস্টোমা
C
হাঙর
D
সোর্ড ফিস
উত্তরের বিবরণ
“ভ্যাম্পায়ার ফিশ (Vampire Fish)” নামটি দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রজাতির মাছকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়—সামুদ্রিক ল্যাম্প্রে (Sea Lamprey) এবং পায়ারা (Payara)। এদের উভয়েরই নাম এসেছে রক্তচোষা বা ভ্যাম্পায়ার সদৃশ আচরণ বা চেহারা থেকে, যদিও তাদের গঠন ও বাসস্থান একেবারেই ভিন্ন।
-
সামুদ্রিক ল্যাম্প্রে (Sea Lamprey): এটি একটি পরজীবী, চোয়ালবিহীন এবং প্রাচীন মাছ (Agnatha শ্রেণিভুক্ত)। এর মুখ সাকশন-কাপ আকৃতির এবং তাতে ধারালো দাঁত থাকে, যা দিয়ে এটি অন্যান্য মাছের দেহে ছিদ্র করে তাদের রক্ত ও শরীরের তরল শোষণ করে।
-
পায়ারা (Payara): এটি দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদী অববাহিকায় পাওয়া যায় এবং একটি মিঠা পানির শিকারী মাছ (predatory freshwater fish)। এর দীর্ঘ ও ফ্যাং-এর মতো দাঁতের জন্য এটি “ভ্যাম্পায়ার ফিশ” নামে পরিচিত।
-
গঠনগত পার্থক্য: ল্যাম্প্রে চোয়ালবিহীন ও পরজীবী প্রকৃতির, আর পায়ারা চোয়ালযুক্ত ও সক্রিয় শিকারী।
-
নামের উৎপত্তি: সামুদ্রিক ল্যাম্প্রে রক্তচোষা আচরণের কারণে এবং পায়ারা তার ফ্যাং-সদৃশ দাঁতের কারণে “ভ্যাম্পায়ার ফিশ” নামে পরিচিত।
-
বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস:
-
ল্যাম্প্রে: পর্ব—Chordata, উপপর্ব—Vertebrata, শ্রেণি—Agnatha (Cyclostomata)।
-
পায়ারা: পর্ব—Chordata, শ্রেণি—Actinopterygii, বর্গ—Characiformes।
-

0
Updated: 1 day ago
'কনড্রিকথিস' মাছের উদাহরণ কোনটি?
Created: 14 hours ago
A
বুই মাছ
B
তিমি
C
রে-ফিশ
D
ক্যাটফিশ
রে-ফিশ (Ray fish) বলতে রশ্মি জাতীয় মাছকে বোঝানো হয়, যাদের দেহ চ্যাপ্টা ও ডানার মতো বিস্তৃত পেক্টোরাল ফিন থাকে। এরা মূলত কার্টিলাজিনাস মাছের (Cartilaginous fishes) অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ এদের কঙ্কাল অস্থির পরিবর্তে তরুণাস্থি দ্বারা গঠিত এবং তারা হাঙ্গরের নিকট সম্পর্কিত।
-
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগ: রে-ফিশ হলো কার্টিলাজিনাস মাছের একটি গ্রুপ, যা হাঙ্গরের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
শারীরিক বৈশিষ্ট্য: এদের দেহ চ্যাপ্টা ও ডিস্কাকৃতি, এবং পেক্টোরাল ফিন ডানার মতো প্রসারিত, যা সাঁতারে সহায়তা করে।
-
উদাহরণ: মান্টা রে ও স্টিং রে এই শ্রেণির পরিচিত সদস্য।
-
বিশেষ তথ্য: “Re:Fish” নামে একটি প্রকল্পও রয়েছে, যা বাল্টিক সাগরে প্লাস্টিক দূষণ ও পুরনো মাছ ধরার সরঞ্জাম অপসারণে কাজ করে।

0
Updated: 14 hours ago
কোন উদ্দেশ্যে Myxine বেশী পরিমান স্লাইম নিঃসরণ করে?
Created: 1 day ago
A
ভক্ষক থেকে রক্ষার
B
খাদ্য হজমের
C
আবরণী খোলক তৈরীর
D
চলনে সহায়তার
মাইকসিন (Myxine) বা হ্যাগফিশ (Hagfish) এক ধরনের প্রাচীন, চক্ষুহীন সামুদ্রিক মাছ, যাদের প্রধান প্রতিরক্ষা কৌশল হলো বেশি পরিমাণ স্লাইম (mucus) বা শ্লেষ্মা নিঃসরণ করা। এই স্লাইম শত্রুদের থেকে রক্ষা পাওয়ার কার্যকর উপায় হিসেবে কাজ করে।
-
হ্যাগফিশ আক্রমণের মুখে পড়লে তৎক্ষণাৎ ত্বকের বিশেষ গ্রন্থি থেকে ঘন স্লাইম বের করে, যা শত্রুর শ্বাসনালী বন্ধ করে দেয় বা তাদের বিভ্রান্ত করে। এর ফলে শত্রু পালিয়ে যায় এবং হ্যাগফিশ নিরাপদে সরে যেতে পারে।
-
এই স্লাইমের কারণে অনেক সময় হ্যাগফিশকে “স্লাইম ইল” (Slime eel) নামেও ডাকা হয়, যদিও তারা প্রকৃত ইল নয়।
-
এরা সাধারণত ১,৩০০ মিটার (প্রায় ৪,২৬০ ফুট) গভীর ঠান্ডা সমুদ্রজলে বাস করে এবং নরম পলিমাটির গর্তে অবস্থান করে।
-
হ্যাগফিশের খাদ্যের মধ্যে থাকে সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী, মৃত বা পঙ্গু মাছ, এমনকি জেলে-ধরা মাছও।
-
কখনও কখনও এরা জালের মধ্যে আটকা মাছের দেহে প্রবেশ করে ভেতর থেকে খাদ্য গ্রহণ করে, যা মৎস্যজীবীদের ক্ষতির কারণ হয়।
-
হ্যাগফিশের দেহে থাকা ছিদ্রগুলো স্লাইম নির্গমনের পথ হিসেবে কাজ করে, যা তাৎক্ষণিকভাবে শত্রুর মুখ, গিল বা শরীরে লেগে প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে।
অতএব, হ্যাগফিশের স্লাইম নিঃসরণ কেবল প্রতিরক্ষামূলক নয়, বরং এটি বিবর্তনগতভাবে একটি অনন্য অভিযোজন (adaptation), যা এদের বেঁচে থাকতে সহায়তা করে।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে চাষাবাদ যোগ্য মিঠাপানির চিংড়ি কোনটি?
Created: 1 day ago
A
Macrobrachium rosenbergii
B
Penaeus monodom
C
Palaemon longicornis
D
Metapenaeus affinis
বাংলাদেশে মিঠাপানির চিংড়ি চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত, যার মধ্যে গলদা চিংড়ি (Macrobrachium spp.) সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক প্রজাতি হিসেবে পরিচিত। এদের চাষ মূলত পুকুর, খাল ও বদ্ধ জলাশয়ে করা হয়, এবং এটি দেশের রপ্তানি আয়ের একটি বড় উৎস।
-
গলদা চিংড়ি (Macrobrachium rosenbergii): এটি বাংলাদেশে চাষকৃত মিঠাপানির চিংড়িগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় ও লাভজনক প্রজাতি। একে “দৈত্যাকার নদী চিংড়ি” বা “মালয়েশিয়ান চিংড়ি” নামেও পরিচিত।
-
ছটকা গলদা (Macrobrachium malcolmsonii): তুলনামূলকভাবে আকারে ছোট, তবে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজাতি, যা সাধারণত স্থানীয়ভাবে “ছটকা চিংড়ি” নামে পরিচিত।
-
অন্যান্য মিঠাপানির চিংড়ি প্রজাতি: গদ্দল চিংড়ি, গোদা চিংড়ি এবং স্থানীয় ছটকা চিংড়িও বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা হয়।
-
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: গলদা চিংড়ি দেশের মিঠাপানির চিংড়ি রপ্তানির প্রধান উৎস, যা আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চমূল্য পায়।
-
বাসস্থান ও পরিবেশ: এরা সাধারণত নদী, হাওর, বিল, খাল এবং মিঠাপানির পুকুরে বাস করে; উষ্ণ ও অল্প লবণাক্ত পরিবেশে এদের বৃদ্ধি ভালো হয়।

0
Updated: 1 day ago