A
ডাক্তারখানা
B
অনুগমন
C
দিলখোলা
D
সম্রাট
উত্তরের বিবরণ
উত্তর: ক) ডাক্তারখানা।
এটি একটি বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ।
ডাক্তার + খানা = ডাক্তারখানা।
অপশন বিশ্লেষণ
খ) অনুগমন:
এটি একটি উপসর্গ ও প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ।
গঠন: অনু (উপসর্গ) + √গম্ (ধাতু) + অন (প্রত্যয়) = অনুগমন।
গ) দিলখোলা:
এটি একটি সমাসবদ্ধ শব্দ, অর্থাৎ দুটি স্বাধীন শব্দ একত্রে মিলেছে — দিল + খোলা।
এখানে কোনো প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়নি।
ঘ) সম্রাট:
এটি একটি তৎসম শব্দ।
👉 গঠন: সম্ (উপসর্গ) + রাজ্ (ধাতু/শব্দ)।
এখানে উপসর্গ আছে, কিন্তু প্রত্যয় নেই।
উপসংহার
-
অনুগমন: উপসর্গ ও প্রত্যয়—দুটোই আছে।
-
সম্রাট: শুধু উপসর্গ আছে।
-
দিলখোলা: সমাসবদ্ধ শব্দ, প্রত্যয় নেই।
-
ডাক্তারখানা: শুধু প্রত্যয়যোগে গঠিত, তাই এটিই সঠিক উত্তর।
সংক্ষেপে প্রত্যয়
প্রত্যয় হলো এমন একটি শব্দাংশ, যা মূল শব্দের শেষে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে।
যেমন:
-
বাঘ + আ = বাঘা → এখানে 'আ' হলো প্রত্যয়।
-
কৃ + তব্য = কর্তব্য → এখানে 'তব্য' হলো কৃৎ প্রত্যয়।
যদি শব্দের পরে প্রত্যয় যোগ হয় → তদ্ধিত প্রত্যয় (যেমন: ডাক্তারখানা)
যদি ধাতুর পরে প্রত্যয় যোগ হয় → কৃৎ প্রত্যয় (যেমন: কর্তব্য)
তথ্যসূত্র: বাংলা ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০২৫)

0
Updated: 4 days ago
তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে?- এখানে 'না'-এর ব্যবহার কি অর্থে?
Created: 2 weeks ago
A
না-বাচক
B
হ্যাঁ-বাচক
C
প্রশ্নবোধক
D
বিস্ময়সূচক
তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে?- এখানে 'না'- প্রশ্নাত্মক/প্রশ্নবোধন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
• নির্দেশাত্মক বাক্য থেকে প্রশ্নাত্মক বাক্যে রূপান্তর:
নির্দেশাত্মক বাক্য থেকে প্রশ্নাত্মক বাক্যে রূপান্তর করতে হলে বাক্যের মৌলিক অর্থ বা মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে প্রশ্নাত্মক বাক্যটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যার সবচেয়ে কাছাকাছি সম্ভাব্য উত্তর হবে নির্দেশাত্মক বাক্যটি।
• সূত্র: নির্দেশাত্মক বাক্য হ্যাঁ-বাচক হলে প্রশ্নাত্মক হবে না-বাচক, নির্দেশাত্মক বাক্য না-বাচক হলে প্রশ্নাত্মক হবে হ্যাঁ-বাচক। প্রথমটির ক্ষেত্রে বিধেয় ক্রিয়ার সঙ্গে নঞর্থক শব্দ যোগ করতে হয়, দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে নঞর্থক শব্দ বর্জন করে 'আর' প্রভৃতি বাক্যালঙ্কার শব্দের আগমন ঘটাতে হয়।
যেমন:
• নির্দেশাত্মক: দেশপ্রেমিককে সবাই ভালোবাসে।
• প্রশ্নাত্মক: দেশপ্রেমিককে কে না ভালোবাসে?
তেমনই,
• নির্দেশাত্মক: তুমি বলেছিলে আগামীকাল আসবে।
• প্রশ্নাত্মক: তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে?
• সূত্র: রূপান্তরিত বাক্যে প্রয়োজনমতো 'কে', 'কি', 'কোথায়' ইত্যাদি প্রশ্নাত্মক শব্দ এবং প্রশ্ন (?) চিহ্ন বসাতে
হয়।
যেমন:
• নির্দেশাত্মক: কেউ মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পারে না।
• প্রশ্নাত্মক: কেউ কি মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পারে?
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 weeks ago
‘ডাক্তার সাহেবের হাতযশ ভালো- – বাক্যে ‘হাত’ ব্যবহৃত হয়েছে –
Created: 1 day ago
A
অধিকার অর্থে
B
যশ অর্থে
C
অভ্যাস অর্থে
D
নিপুণতা অর্থে
বাক্যটি হলো –
“ডাক্তার সাহেবের হাতযশ ভালো।”
এখানে “হাতযশ” মানে হলো হাতের কাজ ভালো হওয়া, অর্থাৎ তিনি যে চিকিৎসা করেন, তা ভালো ফল দেয় বা সফল হয়।
-
এখানে ‘হাত’ শব্দটি নিপুণতা বা দক্ষতার ইঙ্গিত দেয়।
-
তাই “হাতযশ ভালো” মানে তিনি চিকিৎসায় নিপুণ বা দক্ষ।
🔹 সারাংশ:
এই বাক্যে ‘হাত’ শব্দটি নিপুণতা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, কারণ এটি চিকিৎসকের সফল চিকিৎসাকৌশলের প্রতি ইঙ্গিত করে।

0
Updated: 1 day ago
নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?
Created: 2 weeks ago
A
কষ্ট
B
উপনিষৎ
C
কল্যাণীয়েষু
D
আষাঢ়
আষাঢ় শব্দে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রকৃতি: স্বাভাবিক প্রয়োগ বা ষ-ত্ব বিধান?
ষ-ত্ব বিধান কী?
বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য ‘ষ’ ধ্বনি সাধারণভাবে প্রচলিত নয়। দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ষ’ লেখা হয় না। তবে কিছু তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ষ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এসব ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের নির্দিষ্ট নিয়মকেই বলা হয় ষ-ত্ব বিধান।
‘ষ’ ব্যবহারের প্রধান নিয়মাবলি:
১. ঋ অথবা ঋ-কার যুক্ত শব্দে সাধারণত ‘ষ’ হয়। যেমন: ঋষি, উৎকৃষ্ট, কৃষক।
২. ট-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে তার সাথে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: কষ্ট, নষ্ট, স্পষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
৩. অ ও আ ব্যতীত অন্য স্বরধ্বনি, এবং ক কিংবা র-এর পরে প্রত্যয়ের ‘স’ → ‘ষ’ হয়। যেমন: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চিকীর্ষা, চক্ষুষ্মান।
৪. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গযুক্ত কিছু ধাতুর ক্ষেত্রে ‘স’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ষ’ হয়। যেমন: অভিষেক (অভি + সেক), সুষুপ্ত (সু + সুপ্ত), অনুষঙ্গ, সুষমা।
৫. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর অনেক সময় ‘ষ’ হয়। উদাহরণ: বর্ষা, বর্ষণ, ঘর্ষণ।
৬. কিছু শব্দে স্বভাবগতভাবেই মূর্ধন্য ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন: আষাঢ়, ঊষা, রোষ, কোষ, ভাষণ, পৌষ, ষড়ঋতু।
যেসব ক্ষেত্রে ষ-ত্ব বিধান কার্যকর নয়:
-
বিদেশি শব্দ, যেমন আরবি, ফারসি, ইংরেজি থেকে আগত শব্দে ‘ষ’ হয় না। উদাহরণ: মাস্টার, পোশাক, পোস্ট, জিনিস।
-
‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত সংস্কৃত শব্দেও সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না। যেমন: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উপসংহার:
তৎসম শব্দে সঠিক বানান নির্ধারণে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আষাঢ় শব্দে 'ষ' স্বভাবতই ব্যবহার হয়েছে—এটি ষ-ত্ব বিধান অনুযায়ী নয়, বরং ব্যতিক্রমধর্মী একটি শব্দের উদাহরণ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 2 weeks ago