ইচ্ছার স্বাধীনতা তত্ত্বের প্রবক্তা কে?
A
জন লক
B
ইমানুয়েল কান্ট
C
চার্লস ডারউইন
D
ডেভিড হিউম
উত্তরের বিবরণ
প্রখ্যাত দার্শনিক ও নীতিবিদ ইমানুয়েল কান্ট-এর মতে, ইচ্ছার স্বাধীনতাই নীতিবোধের মূল ভিত্তি। তাঁর নৈতিক দর্শনে মানুষের মধ্যে ঔচিত্যবোধ (Sense of Duty) বিদ্যমান, যা নৈতিক আচরণের নির্দেশক।
মূল ধারণাসমূহ—
-
কান্ট বলেন, নৈতিক বিচারে ‘কর্তব্যবোধ’ ইচ্ছার স্বাধীনতার ফল।
-
সামর্থ্য না থাকলে ঔচিত্যবোধের কোনো প্রশ্নই ওঠে না, কারণ কর্তব্য তখন অর্থহীন হয়ে যায়।
-
তাঁর বিখ্যাত উক্তি—“Thou oughtest means thou can” অর্থাৎ “তোমার করা উচিত, তার মানেই তুমি করতে পার”—এই ধারণারই প্রতিফলন।
-
এই বক্তব্য দ্বারা তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে নৈতিক কর্তব্য তখনই অর্থপূর্ণ, যখন তা স্বাধীন ইচ্ছা দ্বারা সম্পাদনযোগ্য।
-
তাই কান্টকে বলা হয় ইচ্ছার স্বাধীনতা তত্ত্বের প্রবক্তা (Propounder of the Theory of Freedom of Will)।

0
Updated: 11 hours ago
অবভাসিক ভাববাদের প্রবক্তা কে?
Created: 1 day ago
A
জর্জ বার্কলি
B
প্লেটো
C
যেনিস
D
ইমানুয়েল কান্ট
ইমানুয়েল কান্ট, যিনি আধুনিক দর্শনের এক বিশিষ্ট জার্মান দার্শনিক, তাঁর ভাববাদকে বলা হয় অবভাসিক ভাববাদ (Transcendental Idealism)। তিনি এই মতবাদের প্রবক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত।
কান্টের মতে, মানুষ যে জগতকে উপলব্ধি করে, তা আসলে বস্তুর নিজস্ব রূপ (Thing-in-itself বা Noumenon) নয়; বরং মন ও ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে গঠিত এক অভিজ্ঞতাজগত (Phenomenon)। অর্থাৎ, আমরা বস্তুসমূহকে যেমন দেখি বা অনুভব করি, তা আমাদের বোধশক্তি ও ইন্দ্রিয়ের কাঠামোর মাধ্যমে গঠিত একটি অবভাস (Appearance) মাত্র।
তিনি বলেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য ইন্দ্রিয়ানুভূতি ও বোধশক্তি—দুয়ের সমন্বয় অপরিহার্য। ইন্দ্রিয় আমাদের উপাদান সরবরাহ করে, আর বোধশক্তি সেই উপাদানকে চিন্তার আকারে গঠন করে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই কান্টের ভাববাদকে অবভাসিক ভাববাদ বলা হয়, কারণ তাঁর মতে আমরা যে জগৎকে জানি, তা বাস্তবতার সরাসরি রূপ নয়, বরং মনগঠিত অবভাসমাত্র।

0
Updated: 1 day ago