কোন দার্শনিক প্রয়োগবাদী কিন্তু আমেরিকার দার্শনিক নন-
A
সি এস পার্স
B
উইলিয়ামে জেমস
C
জন ডিউই
D
এফ.সি. এস শীলার
উত্তরের বিবরণ
ফার্ডিনান্ড ক্যানিং স্কট শিলার (Ferdinand Canning Scott Schiller) ছিলেন জার্মান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রয়োগবাদী দার্শনিক। তিনি প্রয়োগবাদকে নৈতিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
শিলার ছিলেন ইউরোপের একমাত্র বিশিষ্ট ব্রিটিশ প্রয়োগবাদী চিন্তক।
-
তিনি প্রয়োগবাদে মানবিক উদ্দেশ্য ও নৈতিক কার্যকারিতার গুরুত্ব আরোপ করেন।
-
প্রশ্নে উল্লেখিত অন্য তিনজন দার্শনিক (যেমন: চার্লস স্যান্ডার্স পার্স, উইলিয়ম জেমস ও জন ডিউই) সবাই আমেরিকান প্রয়োগবাদী দার্শনিক।
-
ফলে, অপশনগুলোর মধ্যে শিলারই একমাত্র ব্রিটিশ, বাকি তিনজন আমেরিকান।

0
Updated: 11 hours ago
মূল্য কত প্রকার?
Created: 1 day ago
A
দুই
B
তিন
C
চার
D
পাঁচ
মূল্যতত্ত্বে সমস্ত প্রকার মূল্যে সাধারণভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়— স্বতঃমূল্য এবং পরতঃমূল্য (Intrinsic and Extrinsic Values)। জাগতিক জীবনে আমরা যে বস্তুগুলোর মূল্য নির্ধারণ করি, তা প্রায়ই এই দুই ধরনের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে।
পরতঃমূল্য (Extrinsic Value):
যেসব বস্তুর নিজস্ব কোনো মূল্য নেই, কিন্তু অন্য কোনো মূল্যবান জিনিস অর্জনে সহায়ক হওয়ায় আমরা সেগুলোকে মূল্যবান মনে করি, সেগুলোকে পরতঃমূল্য বলা হয়।
-
অর্থ বা টাকা-পয়সা এর একটি উদাহরণ; এর নিজস্ব কোনো মূল্য নেই, কিন্তু এটি জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্জনে সহায়তা করে বলে আমরা এর মূল্য স্বীকার করি।
-
একইভাবে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা-ও পরতঃমূল্যবান, কারণ এটি আমাদের দৈহিক সুস্থতা ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
-
তদ্রূপ সামাজিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব অন্য সুফল অর্জনের সহায়ক হওয়ায় এগুলোও পরতঃমূল্যের অন্তর্ভুক্ত।
স্বতঃমূল্য (Intrinsic Value):
যেসব কিছুর মূল্য অন্য কিছুর ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং নিজস্ব গুণেই মূল্যবান, তাদের স্বতঃমূল্য বলা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, বিদ্যা অর্থের মতো নয়; এর মূল্য নিজস্ব জ্ঞানগত ও মানসিক উৎকর্ষে নিহিত।
-
ভাববাদী চিন্তাধারায় সত্য, মঙ্গল (শিব) ও সুন্দর-কে স্বতঃমূল্যবান হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
এই তিনটি আদর্শ মানব জীবনের পরম লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত, কারণ তারা নিজ গুণেই শ্রদ্ধা ও সাধনার যোগ্য।
অতএব, স্বতঃমূল্য মানুষের আত্মিক ও নৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত, আর পরতঃমূল্য বস্তুগত বা উপযোগমূলক জীবনের প্রয়োজনে নির্ভরশীল।

0
Updated: 1 day ago
একটি যুক্তিবাক্যে পদ থাকে-
Created: 11 hours ago
A
একটি
B
দুইটি
C
তিনটি
D
চারটি
কটি যুক্তিবাক্য সাধারণত দুটি পদ নিয়ে গঠিত—উদ্দেশ্য ও বিধেয়। তবে গঠনগত দিক থেকে যুক্তিবাক্যের তিনটি অংশ চিহ্নিত করা যায়।
মূল ধারণাসমূহ—
-
দুটি পদ:
১. উদ্দেশ্য (Subject) — যার সম্পর্কে কিছু বলা হয়।
২. বিধেয় (Predicate) — যা উদ্দেশ্যের সম্পর্কে কিছু বলে। -
তিনটি অংশ:
১. উদ্দেশ (Subject Term)
২. বিধেয় (Predicate Term)
৩. সংযোজক (Copula) — যা উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে যুক্ত করে এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে।
অর্থাৎ, যুক্তিবাক্যের গঠন হলো—উদ্দেশ + সংযোজক + বিধেয়।

0
Updated: 11 hours ago
কোন যুক্তির সিদ্ধান্ত আশ্রয়বাক্যকে অতিক্রম করে যায়?
Created: 1 day ago
A
অবরোহ
B
আবর্তন
C
আরোহ
D
প্রতিবর্তন
আরোহ যুক্তি (Inductive reasoning) এমন এক ধরনের যুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট কিছু পর্যবেক্ষণ বা বিশেষ উদাহরণ থেকে একটি সাধারণ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া হয়। এতে যুক্তির সিদ্ধান্ত কখনোই আশ্রয়বাক্যের চেয়ে সংকীর্ণ নয়; বরং তা আশ্রয়বাক্যকে অতিক্রম করে আরও সাধারণ বা ব্যাপক রূপ ধারণ করে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি দেখা যায়—
-
এই কাকটি কালো,
-
ঐ কাকটি কালো,
-
আরও অনেক কাকই কালো,
তাহলে সিদ্ধান্তে বলা যায়, “সব কাক কালো”।
এখানে প্রতিটি আশ্রয়বাক্য নির্দিষ্ট কাককে নির্দেশ করছে, কিন্তু সিদ্ধান্তটি সব কাকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অর্থাৎ এটি আশ্রয়বাক্যের সীমা অতিক্রম করেছে।
অতএব, আরোহ যুক্তির বিশেষত্ব হলো— এর সিদ্ধান্ত সর্বদা আশ্রয়বাক্যের চেয়ে অধিক ব্যাপক, এবং এটি সাধারণীকরণের মাধ্যমে নতুন জ্ঞান উপস্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago