বাংলা অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ ব্যাকরণের কোন অংশের অন্তর্ভুক্ত করা যায়?
A
সন্ধি
B
উপসর্গ
C
কারক
D
প্রত্যয়
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: খ) উপসর্গ।
অব্যয়ীভাব সমাস
যখন অব্যয় (যেমন: উপ, প্রতি, নির্, অনু) ধরনের শব্দ বিশেষ্য বা অন্য কোনো পদের আগে বসে এবং সেইভাবে গঠিত শব্দের মানে সেই অব্যয়ের অর্থেই প্রকাশ পায়—তখন তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
এখানে মনে রাখতে হবে:
উপসর্গ হলো এক ধরনের অব্যয়।
তাই উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দগুলোকে অব্যয়ীভাব সমাস ধরা হয়।
এই সমাসে ব্যাসবাক্য (পূর্ণ বাক্য) গঠনের সময় আলাদা করে অব্যয়ের নাম বলা হয় না, কেবল তার অর্থ বোঝানো হয়।
উদাহরণসহ ব্যাখ্যা
১. উপকূল = উপ + কূল → কূলের কাছে
২. প্রতিদিন = প্রতি + দিন → প্রতিটি দিন
৩. নির্ভয় = নির্ + ভয় → ভয় নেই এমন
৪. অনুকূল = অনু + কূল → কূলের অনুগত
এই শব্দগুলোর বৈশিষ্ট্য
-
এগুলো উপসর্গ + বিশেষ্য পদের মিলনে গঠিত।
-
নতুন অর্থ তৈরি করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে এদের উপসর্গ হিসেবেও ধরা হয়।
অন্যান্য অপশন কেন নয়
-
ক) সন্ধি: ধ্বনির মিলন সংক্রান্ত।
-
গ) কারক: বিভক্তি ও পদের সম্পর্ক বোঝায়।
-
ঘ) প্রত্যয়: শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হয়।
উৎস: ভাষাশিক্ষা – ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago
‘অপমান’ শব্দে ’অপ’ উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 days ago
A
বিপরীত
B
নিকৃষ্ট
C
স্থানান্তর
D
বিকৃত
’অপ’ উপসর্গ
-
সংজ্ঞা: ‘অপমান’ শব্দে ‘অপ’ উপসর্গটি ‘বিপরীত’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
ধরন: ‘অপ’ একটি তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ।
-
’অপ’ উপসর্গের অন্যান্য ব্যবহার:
-
বিপরীত অর্থে: অপমান, অপকার, অপচয়, অপবাদ।
-
নিকৃষ্ট অর্থে: অপসংস্কৃতি, অপকর্ম, অপসৃষ্টি, অপযশ।
-
স্থানান্তর অর্থে: অপসারণ, অপহরণ, অপনোদন।
-
বিকৃত অর্থে: অপমৃত্যু।
-

0
Updated: 2 days ago
অপহরণ' শব্দে 'অপ' উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
বিকৃত
B
স্থানান্তর
C
নিকৃষ্ট
D
বিপরীত
‘অপ’ উপসর্গের ব্যবহার:
-
বিপরীত অর্থে:
-
উদাহরণ: অপমান, অপকার, অপচয়, অপবাদ।
-
-
নিকৃষ্ট অর্থে:
-
উদাহরণ: অপসংস্কৃতি, অপকর্ম, অপসৃষ্টি, অপযশ।
-
-
স্থানান্তর অর্থে:
-
উদাহরণ: অপসারণ, অপহরণ, অপনোধন।
-
-
বিকৃত অর্থে:
-
উদাহরণ: অপমৃত্যু।
-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ:
-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা ২০টি।
-
উদাহরণ: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 3 weeks ago
’অচিন’ শব্দের ‘অ’ উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত?
Created: 3 months ago
A
নেতিবাচক
B
বিয়োগান্ত
C
নঞর্থক
D
অজানা
উপসর্গ ও 'অ' উপসর্গের ব্যবহার
‘অচিন’ শব্দে ব্যবহৃত ‘অ’ উপসর্গটি নঞর্থক বা অভাবসূচক অর্থ প্রকাশ করে।
‘অ’ উপসর্গযুক্ত কিছু শব্দ উদাহরণস্বরূপ:
-
নিন্দার্থে: অকেজো, অচেনা, অপয়া
-
অভাব বোঝাতে: অচিন, অজানা, অথৈ
-
ক্রমবর্ধমান বা অবিরাম অর্থে: অঝোর, অঝোরে
উপসর্গ কী?
বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দাংশ আছে যা মূল শব্দ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে। এই ধরনের শব্দাংশকে উপসর্গ বলা হয়।
বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন শ্রেণির:
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
৩. বিদেশি উপসর্গ
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গগুলোকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। মোট ২১টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে।
এগুলো হলো:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা
[বি, নি, সু ও আ – এই উপসর্গগুলো তৎসম শব্দেও ব্যবহৃত হয়।]
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত উৎস থেকে আগত উপসর্গগুলোকে তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ বলা হয়।
সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা ২০টি।
উদাহরণ:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ
৩. বিদেশি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত কিছু বিদেশি শব্দের সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিদেশি উপসর্গও গৃহীত হয়েছে।
এসব উপসর্গের সংখ্যা নির্দিষ্টভাবে বলা যায় না, তবে ভাষা অনুযায়ী কিছু উদাহরণ:
-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
উৎস:
-
প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 3 months ago