'আত্ম অমর'- উক্তিটি যাচাইযোগ্য নয় বলে অর্থহীন বলেছেন-
A
অস্তিত্ববাদীগণ
B
প্রয়োগবাদীগণ
C
যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীগণ
D
মার্ক্সবাদীগণ
উত্তরের বিবরণ
যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের (Logical Positivists) মতে, তত্ত্ববিদ্যার বাক্যগুলো যাচাইযোগ্য নয়, কারণ সেগুলোর সত্য-মিথ্যা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নির্ধারণ করা যায় না। তাদের দৃষ্টিতে, এসব বাক্য প্রমাণ-অযোগ্য ও অর্থহীন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
তত্ত্ববিদ্যার বক্তব্যগুলো অভিজ্ঞতাভিত্তিক যাচাইয়ের বাইরে, তাই সেগুলোকে বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য বা মিথ্যা প্রমাণ করা সম্ভব নয়।
-
তাঁদের মতে, তত্ত্ববিদ্যা কেবল অর্থহীন বাক্যের সমষ্টি, যার কোনো প্রয়োজন বা ব্যবহারিক মূল্য নেই।
-
ফলে তাঁরা অতীতের সব তত্ত্ববিদ্যামূলক আলোচনা—যেমন “আত্মা অমর”, “ঈশ্বর অবিনশ্বর” ইত্যাদি—অর্থহীন ও যাচাইঅযোগ্য দাবি হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেন।
-
এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, অভিজ্ঞতাগত যাচাইযোগ্যতাই অর্থপূর্ণতার একমাত্র মানদণ্ড।

0
Updated: 11 hours ago
যুক্তিবিদ্যা কোন ধরণের বিজ্ঞান?
Created: 11 hours ago
A
আদর্শনিষ্ঠ এবং অভিজ্ঞতামূলক বিজ্ঞান
B
আদর্শনিষ্ঠ ও আকারগত বিজ্ঞান
C
আদর্শনিষ্ঠ ও উপাদানগত বিজ্ঞান
D
আদর্শনিষ্ঠ ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান
যুক্তিবিদ্যাকে "আদর্শনিষ্ঠ ও আকারগত বিজ্ঞান" বলা হয় কারণ এটি একদিকে চিন্তার আদর্শ নির্ধারণ করে, অন্যদিকে চিন্তার গঠন বিশ্লেষণ করে।
মূল ধারণাসমূহ—
১. আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান (Normative Science):
-
যুক্তিবিদ্যা শেখায় কীভাবে সঠিকভাবে চিন্তা করা উচিত।
-
এটি চিন্তার নিয়ম, মানদণ্ড ও আদর্শ (Norms) নির্ধারণ করে, শুধু চিন্তার বর্ণনা দেয় না।
-
এর উদ্দেশ্য সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পদ্ধতি নির্দেশ করা।
-
অন্যান্য আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে—
-
নীতিবিদ্যা: কী করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
-
নন্দনতত্ত্ব: কী সুন্দর তা নির্ধারণ করে।
-
-
তাই যুক্তিবিদ্যা হলো চিন্তার শুদ্ধতার নির্দেশক বিজ্ঞান।
২. আকারগত বিজ্ঞান (Formal Science):
-
যুক্তিবিদ্যা চিন্তার বিষয়বস্তু নয়, বরং গঠন বা রূপ (Form) নিয়ে আলোচনা করে।
-
এটি দেখে যুক্তির কাঠামো যৌক্তিক কি না, আশ্রয়বাক্যগুলো সত্য কি না, তা নয়।
-
উদাহরণ:
-
“সকল মানুষ মরণশীল। সক্রেটিস একজন মানুষ। অতএব, সক্রেটিস মরণশীল।”
এখানে যুক্তির গঠন বা আকার সঠিক, তাই অনুমানটি যৌক্তিক।
“মানুষ”, “মরণশীল” বা “সক্রেটিস”-এর বাস্তব অর্থ এখানে মুখ্য নয়।
-
সারমর্ম:
যুক্তিবিদ্যা আদর্শনিষ্ঠ, কারণ এটি সঠিক চিন্তার নিয়ম শেখায়;
আর এটি আকারগত, কারণ এটি চিন্তার গঠন বা ফর্ম বিশ্লেষণ করে, বিষয়বস্তু নয়।

0
Updated: 11 hours ago
'দর্শন' হিসেবে সর্ব প্রথম দর্শনের কোন শাখাটি বিবেচিত হয়?
Created: 1 day ago
A
জ্ঞানবিদ্যা
B
অধিবিদ্যা
C
মূল্যবিদ্যা
D
বিশ্বতত্ত্ব
থেলিস প্রাচীন গ্রীসের এক প্রখ্যাত দার্শনিক, যিনি দর্শনের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রথম প্রশ্ন তোলেন— “এই জগতের আদি বা মূল সত্তা কী?” তাঁর মতে, সমগ্র জগতের মূল উপাদান বা আদিমতম সত্তা হলো “পানি”। তিনি বিশ্বাস করতেন, পৃথিবীর সবকিছুই পানির থেকেই সৃষ্টি হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত পানিতেই বিলীন হবে। এইভাবে জগতের মূল সত্তা নিয়ে অনুসন্ধানের মধ্য দিয়েই দর্শনের সূচনা হয়।
এই অনুসন্ধানই মূলত তত্ত্ববিদ্যার (Ontology) অন্তর্ভুক্ত।
তত্ত্ববিদ্যা (Ontology):
তত্ত্ববিদ্যাকে বলা হয় দর্শনের প্রাণস্পন্দন, কারণ এটি জগতের সর্বমৌলিক প্রশ্ন—“অস্তিত্ব কী?” বা “সত্তা কী?”—এর উত্তর অনুসন্ধান করে।
-
‘Ontology’ শব্দের অর্থ হলো সত্তাসম্পর্কীয় বিজ্ঞান (Science of Being)।
-
এটি মূলত অধিবিদ্যার (Metaphysics) একটি শাখা, যা জগতের প্রকৃত অস্তিত্ব, বাস্তবতার প্রকৃতি এবং সত্তার গঠন নিয়ে আলোচনা করে।
-
অ্যারিস্টটল একে বলেছেন “First Philosophy”, কারণ এটি সমস্ত জ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে বাস্তবতার মূল রূপ নিয়ে আলোচনা করে।
তত্ত্ববিদ্যায় আলোচনা করা হয়—
-
জগতের আদি বা মৌলিক সত্তা কী,
-
বস্তু ও আত্মার সম্পর্ক কেমন,
-
বাস্তবতা এক না বহু,
-
জগতের উৎপত্তি ও পরিবর্তনের প্রকৃতি কী।
অতএব, থেলিসের পানিকে জগতের মূল সত্তা ঘোষণা করা তত্ত্ববিদ্যারই সূচনা, যেখানে দর্শন প্রথমবারের মতো অস্তিত্ব ও বাস্তবতার মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করে।

0
Updated: 1 day ago
"যদি আকাশে মেঘ থাকে তাহলে বৃষ্টি হবে।
আকাশে মেঘ নেই।
সুতরাং বৃষ্টি হবে না। " এখানে কোন্ ভ্রান্তি ঘটেছে?
Created: 11 hours ago
A
গঠনমূলক ধারা
B
পূর্বগ অস্বীকৃতি
C
ধ্বংসমূলক ধারা
D
অনুগ স্বীকৃতি
পূর্বগ অস্বীকৃতি (Denial of the Antecedent) হলো একটি যৌক্তিক অনুপপত্তি বা ত্রুটি, যেখানে কোনো শর্তমূলক অনুমানের (conditional argument) প্রথম অংশ বা পূর্বগ (antecedent)-কে অস্বীকার করে ভুলভাবে অনুগ (consequent)-কেও অস্বীকার করা হয়।
মূল ধারণাসমূহ—
-
এর গঠন সাধারণত এমন:
-
যদি P হয়, তবে Q হবে।
-
কিন্তু P নয়।
-
অতএব, Q নয়।
-
-
এই সিদ্ধান্তটি ভ্রান্ত, কারণ P না থাকলেও Q অন্য কারণে সত্য হতে পারে।
-
উদাহরণ: যদি আকাশে মেঘ থাকে, তবে বৃষ্টি হবে।
আকাশে মেঘ নেই, তাই বৃষ্টি হবে না।
এখানে পূর্বগ (আকাশে মেঘ) অস্বীকার করে অনুগ (বৃষ্টি হওয়া) অস্বীকার করা হয়েছে—ফলে এটি পূর্বগ অস্বীকৃতির ভ্রান্তি। -
অর্থাৎ, পূর্বগ অস্বীকার করে অনুগ অস্বীকার করা যৌক্তিকভাবে অবৈধ সিদ্ধান্ত।

0
Updated: 11 hours ago