কোন্ বৈশিষ্ট্যটি অবধারণের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট?
A
মানব জ্ঞানের সরলরূপ যা অবৈধ হতে পারে
B
মানব জ্ঞানের সরলতম রূপ যা সত্য-মিথ্যা হতে পারে
C
মানব জ্ঞানের জটিলরূপ যা সত্য হতে পারে
D
মানব জ্ঞানে যৌগিকরূপ যা মিথ্যা হতে পারে
উত্তরের বিবরণ
জ্ঞানের অবস্থার মূল্যায়ন থেকেই তার যথার্থতা বা বৈধতা (Validity of Knowledge) নির্ধারণের প্রশ্ন ওঠে। অর্থাৎ, কোনো জ্ঞান সত্য না মিথ্যা—তা নির্ধারণ করতে হলে জ্ঞানের অবস্থাকে বিশ্লেষণ করতে হয়।
মূল ধারণাসমূহ—
-
বিষয় বা ঘটনা (Fact) নিজে কখনো সত্য বা মিথ্যা নয়; এগুলো কেবল বাস্তব অবস্থা প্রকাশ করে।
-
সত্যতা বা মিথ্যাত্ব নির্ধারিত হয় অবধারণ (Proposition) বা বাক্যের ক্ষেত্রে, কারণ তা কোনো ঘটনার সম্পর্কে ধারণা বা বিচার প্রকাশ করে।
-
অর্থাৎ, অবধারণই সত্য বা মিথ্যা হতে পারে, ঘটনা নয়।
-
তাই জ্ঞানের যথার্থতা নির্ধারণে অবধারণ ও বাস্তব ঘটনার মধ্যে সামঞ্জস্য (Correspondence) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 11 hours ago
প্রয়োগবাদের প্রবক্তা কে?
Created: 12 hours ago
A
কান্ট
B
জন ডিউই
C
উইলিয়াম জেমস
D
শিলার
প্রয়োগবাদ একটি দার্শনিক চিন্তাধারা, যার সূচনা সি. এস. পার্স ১৮৭৮ সালে তাঁর প্রবন্ধ How to Make Our Ideas Clear-এ করেন। তবে অপশন অনুযায়ী যদি সি. এস. পার্স না থাকে, তাহলে সঠিক উত্তর হবে উইলিয়াম জেমস।
কারণ, তিনি সত্যতা সম্পর্কিত প্রয়োগবাদী মতের প্রধান প্রবক্তা, যিনি ১৮৯৮ সালে এই চিন্তাধারাকে নতুনভাবে তুলে ধরেন এবং জনপ্রিয়তা দেন।

0
Updated: 12 hours ago
বাংলাদেশের কোন দর্শনের সাথে মরমী চিন্তাধারার সংশ্লেষ্ট রয়েছে?
Created: 23 hours ago
A
বৈষ্ণববাদ
B
বাউলবাদ
C
ফারাইজি দর্শন
D
চর্যাপদ
বাংলাদেশে বাউলবাদ হলো মরমী ধারার দর্শন এরা মূলত সাধন-ভজন গোষ্ঠী দেহ-সাধনা করে। এই মতবাদ সুফিবাদ ও সহজিয়া সাধনার মিশ্রণ, যেখানে মানবদেহকেই সব সত্যের কেন্দ্র বলে মনে করা হয়।

0
Updated: 23 hours ago
'আকারগত সত্য' সাধারণত কী নামে পরিচিত?
Created: 11 hours ago
A
নির্ভুলতা
B
বিশ্বাসযোগ্যতা
C
প্রাসঙ্গিকতা
D
বৈধতা
সত্য দুই প্রকারের হতে পারে—আকারগত সত্য ও উপাদানগত সত্য।
মূল ধারণাসমূহ—
-
আকারগত সত্য (Formal Truth): যখন কোনো অবধারণ বা অনুমান যুক্তির নিয়মানুসারে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তখন তাকে আকারগত সত্য বলা হয়।
-
উপাদানগত সত্য (Material Truth): যখন কোনো অনুমান যুক্তির নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি বাস্তব বিষয় বা ঘটনার সাথেও মিলে যায়, তখন সেটি উপাদানগত সত্য।
-
সাধারণভাবে, আকারগত সত্যকে বৈধতা (Validity) এবং উপাদানগত সত্যকে সত্যতা (Truth) বলা হয়।
-
যুক্তিবিদ্যা মূলত বৈধতার সমস্যা নিয়েই আলোচনা করে, অর্থাৎ কোনো যুক্তি গঠনগতভাবে সঠিক কি না, তা নির্ণয়ই এর মূল লক্ষ্য।

0
Updated: 11 hours ago