বুদ্ধিবাদী দার্শনিকগণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করেন?
A
অবরোহ পদ্ধতি
B
আরোহ পদ্ধতি
C
সংশ্লেষক পদ্ধতি
D
বিচারমূলক পদ্ধতি।
উত্তরের বিবরণ
বুদ্ধিবাদী দার্শনিক রেনে ডেকার্ট মনে করেন, জ্ঞানের ভিত্তি যুক্তি ও বুদ্ধি। তাঁর মতে যেমন জ্যামিতিতে কিছু স্বতঃসিদ্ধ সূত্র (Axioms) থেকে অবরোহ পদ্ধতিতে (Deductive method) সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়, তেমনি মানব মনের মধ্যেও কিছু স্বতঃসিদ্ধ অন্তর্নিহিত ধারণা বিদ্যমান, যেগুলো থেকেই সত্যের সন্ধান সম্ভব।
মূল ধারণাসমূহ—
-
মানুষের জ্ঞান অর্জনের উৎস হলো বুদ্ধি ও যুক্তিবোধ।
-
অবরোহ পদ্ধতি ব্যবহার করে সত্যে পৌঁছানো যায়।
-
দার্শনিক সত্যও গাণিতিক সত্যের মতোই সুনিশ্চিত ও নির্ভুল বলে তিনি মনে করেন।
-
ডেকার্টের এই দৃষ্টিভঙ্গিই আধুনিক বুদ্ধিবাদের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 11 hours ago
'জগৎ ইচ্ছা শক্তির প্রকাশ'- উক্তিটি কার?
Created: 11 hours ago
A
এ. জে এয়ার
B
শোপেন হাওয়ার
C
ব্রাডলি
D
জি. ই ম্যুর
আর্থার শোপেনহাওয়ারের মতে, ইচ্ছাশক্তি (Will) সমগ্র জগতের মূল সত্তা ও প্রাণশক্তি। তাঁর দৃষ্টিতে, জগৎ আসলে ইচ্ছাশক্তিরই লীলাক্ষেত্র, যেখানে প্রতিটি সত্তা এই ইচ্ছাশক্তির প্রকাশ।
মূল ধারণাসমূহ—
-
ইচ্ছাশক্তিই জগতের প্রাণস্পন্দন, যা সর্বত্র বিরাজমান।
-
এটি বিদ্যমান মানবজগৎ, প্রাণিজগৎ, উদ্ভিদজগৎ ও জড়জগতে।
-
শোপেনহাওয়ারের মতে, যেখানে ইচ্ছাশক্তি নেই, সেখানে কোনো ধারণাও নেই, আর জগতও নেই — “No will: no idea, no world.”
-
অর্থাৎ, ইচ্ছাশক্তির অনুপস্থিতিতে কেবল শূন্যতা (Nothingness) বিরাজ করে।
-
তাঁর দর্শন অনুসারে, ইচ্ছাশক্তিই অস্তিত্বের মূল ভিত্তি ও জগতের গতি-প্রেরণা।

0
Updated: 11 hours ago
একটি যুক্তিবাক্যে পদ থাকে-
Created: 11 hours ago
A
একটি
B
দুইটি
C
তিনটি
D
চারটি
কটি যুক্তিবাক্য সাধারণত দুটি পদ নিয়ে গঠিত—উদ্দেশ্য ও বিধেয়। তবে গঠনগত দিক থেকে যুক্তিবাক্যের তিনটি অংশ চিহ্নিত করা যায়।
মূল ধারণাসমূহ—
-
দুটি পদ:
১. উদ্দেশ্য (Subject) — যার সম্পর্কে কিছু বলা হয়।
২. বিধেয় (Predicate) — যা উদ্দেশ্যের সম্পর্কে কিছু বলে। -
তিনটি অংশ:
১. উদ্দেশ (Subject Term)
২. বিধেয় (Predicate Term)
৩. সংযোজক (Copula) — যা উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে যুক্ত করে এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে।
অর্থাৎ, যুক্তিবাক্যের গঠন হলো—উদ্দেশ + সংযোজক + বিধেয়।

0
Updated: 11 hours ago
দর্শনের কোন্ শাখা জ্ঞানের প্রকৃতি, উৎস, সীমাবদ্ধতা ও বৈধতা নিয়ে আলোচনা করে?
Created: 23 hours ago
A
অধিবিদ্যা
B
জ্ঞানবিদ্যা
C
নীতিবিদ্যা
D
যুক্তিবিদ্যা
জ্ঞান হলো এমন এক সত্য বিশ্বাস, যা যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ ও দৃঢ় যুক্তির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। একে পুরোপুরি বুঝতে হলে এর উৎপত্তি, স্বরূপ, শর্ত ও সীমা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। এই বিশ্লেষণই করা হয় জ্ঞানবিদ্যায় (Epistemology)।
Knowledge is a true belief established on the basis of rational evidence and sound reasoning. To understand it fully, one must analyze its origin, nature, conditions, and limits. Such analysis is done in Epistemology.

0
Updated: 23 hours ago