সমাজকর্ম প্রশাসনের তিনটি (৩টি) স্তর কী কী?
A
জাতীয়, জেলা ও উপজেলা
B
নিয়ন্ত্রণ, প্রচার ও সমন্বয়
C
পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন
D
বাজেট, লোকবল ও সেবা
উত্তরের বিবরণ
সমাজকর্ম প্রশাসন (Social Work Administration) হলো সমাজকর্ম কার্যক্রমের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়নের একটি সংগঠিত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা কর্মসূচিগুলো দক্ষভাবে পরিচালিত হয়। সমাজকর্ম প্রশাসনের কার্যকর পরিচালনার জন্য এটি সাধারণত তিনটি মৌলিক স্তরে বিভক্ত।
সমাজকর্ম প্রশাসনের তিনটি স্তর হলো:
১) নীতি নির্ধারণ (Policy Making):
এই স্তরে সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, এবং কার্যক্রমের নীতি নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে সমাজের প্রয়োজন ও সমস্যার ভিত্তিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার দিক নির্দেশ করে।
২) কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন (Program Planning and Implementation):
এই স্তরে নির্ধারিত নীতি ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি, প্রকল্প ও কার্যক্রম প্রণয়ন করা হয়। এরপর সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ, জনবল ও সংগঠনগত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
৩) মূল্যায়ন ও সংশোধন (Evaluation and Modification):
এই স্তরে সমাজকর্ম কর্মসূচির কার্যকারিতা ও ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে কর্মপদ্ধতি বা নীতিতে পরিবর্তন ও সংশোধন এনে কার্যক্রমকে আরও উন্নত করা হয়।
সমাজকর্ম প্রশাসনের এই তিনটি স্তর একে অপরের পরিপূরক, যা একসাথে সমাজকল্যাণমূলক কাজকে কার্যকর, পরিকল্পিত ও টেকসই করে তোলে।
সে অনুযায়ী, অপশন “C” উত্তর হিসেবে বেশি উপযুক্ত।

0
Updated: 11 hours ago
কুমিল্লা মডেলের উদ্ভাবক হলেন-
Created: 1 day ago
A
হেনরি ডুনান্ট
B
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম
C
ড. আখতার হামিদ খান
D
ব্যাডেন পাওয়েল
কুমিল্লা মডেলের উদ্ভাবক ছিলেন আখতার হামিদ খান। তিনি ১৯৫৯ সালে কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর প্রথম পরিচালক হিসেবে এই মডেলটি উদ্ভাবন করেন। কুমিল্লা মডেল বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়নের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ধারণা হিসেবে পরিচিত।
এই মডেলের মূল লক্ষ্য ছিল—
-
তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
-
সমবায়ভিত্তিক উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণকে সংগঠিত করা।
-
কৃষি, শিক্ষা ও স্থানীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে একটি টেকসই পল্লী উন্নয়ন কাঠামো গঠন করা।
এই মডেল পরবর্তীতে শুধু বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পল্লী উন্নয়নের একটি সফল উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

0
Updated: 1 day ago
সমর্থন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রম কোন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়?
Created: 13 hours ago
A
ব্যক্তি সমাজকর্ম
B
দল সমাজকর্ম
C
সমষ্ঠী সমাজকর্ম
D
সামাজিক সমাজকর্ম
ব্যক্তি সমাজকর্ম (Social Case Work) হলো সমাজকর্মের একটি মৌলিক পদ্ধতি, যেখানে সমাজকর্মী একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত, সামাজিক ও মানসিক সমস্যার সমাধানে সরাসরি সহায়তা প্রদান করেন। এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে তার নিজস্ব সামর্থ্য ও সম্ভাবনা অনুযায়ী সমস্যার মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলা এবং তার সামাজিক অভিযোজনকে সহজ করা।
এই পদ্ধতিতে সমাজকর্মী ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত অবস্থা, অনুভূতি, পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশ গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেন। এরপর তিনি এমন সমাধান খুঁজে বের করেন, যা ক্লায়েন্টের মানসিক অবস্থা, সামাজিক সম্পর্ক ও জীবনের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য:
১) ব্যক্তি-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি: ক্লায়েন্টের সমস্যা, চাহিদা ও অনুভূতির প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদান করা হয়।
২) মনোসামাজিক বিশ্লেষণ: ব্যক্তির আচরণ তার মানসিক অবস্থা ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের আলোকে বিশ্লেষণ করা হয়।
৩) সমর্থনমূলক কার্যক্রম (Supportive Function): ক্লায়েন্টকে মানসিকভাবে উৎসাহ, আত্মবিশ্বাস ও নৈতিক সহায়তা প্রদান করা হয়, যাতে সে নিজের সমস্যা মোকাবিলায় দৃঢ় হয়।
৪) সংস্কারমূলক কার্যক্রম (Reformative Function): প্রয়োজনে ব্যক্তির ভুল বা অনুপযুক্ত আচরণ সংশোধন করে তার মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়।

0
Updated: 13 hours ago
সমাজকর্মের বিশেষায়িত শাখা হলো-
Created: 11 hours ago
A
চিকিৎসা সমাজকর্ম
B
প্রতিরোধমূলক সমাজকর্ম
C
উন্নয়নমুলক সমাজকর্ম
D
ব্যক্তি সমাজকর্ম
সমাজকর্মের বিশেষায়িত শাখাগুলি সমাজের নির্দিষ্ট সমস্যা ও জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এসব শাখার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা সমাজকর্ম, বিদ্যালয় সমাজকর্ম, শিল্প সমাজকর্ম, প্রবীণ সমাজকর্ম, সাইকিয়াট্রিক সমাজকর্ম ইত্যাদি।
-
চিকিৎসা সমাজকর্ম: হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে রোগীদের মানসিক, সামাজিক ও আবেগিক চাহিদা পূরণে সহায়তা প্রদান করে।
-
বিদ্যালয় সমাজকর্ম: শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে।
-
শিল্প সমাজকর্ম: কারখানার শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা, অধিকার এবং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে।
-
প্রবীণ সমাজকর্ম: প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে সমাজকর্মের জ্ঞান ও কৌশল প্রয়োগ করে।
-
সাইকিয়াট্রিক সমাজকর্ম: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সহায়তা প্রদান করে।

0
Updated: 11 hours ago