দল সমাজকর্মের নীতি নয়-
A
দলীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার
B
দলীয় গতিশীলতা
C
দলের গণতান্ত্রিক আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার
D
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ না করা
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে সর্বশেষ শিশু আইন প্রণীত হয় ২০১৩ সালে, যা দেশের শিশু অধিকার সুরক্ষায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। এই “শিশু আইন, ২০১৩” (Children Act, 2013) দ্বারা ১৯৭৪ সালের পুরনো শিশু আইন বাতিল করা হয় এবং এটি জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ (UN Convention on the Rights of the Child – CRC) অনুযায়ী প্রণীত হয়।
এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুদের সুরক্ষা, উন্নয়ন, বিচার ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং তাদেরকে সকল ধরনের নির্যাতন, শোষণ ও অবহেলা থেকে রক্ষা করা।
শিশু আইন ২০১৩-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১) শিশুর সংজ্ঞা: ১৮ বছর বয়সের নিচে যে কেউ শিশুর অন্তর্ভুক্ত।
২) শিশু আদালত স্থাপন: শিশুদের বিচার কার্যক্রম আলাদা আদালতের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যাতে তারা ন্যায্য বিচার পায়।
৩) শিশু কল্যাণ বোর্ড ও কর্মকর্তা: শিশু সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যবস্থা।
৪) অপরাধী শিশুদের পুনর্বাসন: শাস্তির পরিবর্তে সংশোধন ও পুনর্বাসনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫) শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ: মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
৬) শিশুর অধিকার নিশ্চিতকরণ: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, বিনোদন ও নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠার অধিকার সংরক্ষণ।
২০১৩ সালের শিশু আইন বাংলাদেশের শিশু অধিকার ও কল্যাণে একটি আধুনিক, মানবিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইন, যা দেশের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।

0
Updated: 11 hours ago
বাংলাদেশে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম কী নামে পরিচিত?
Created: 11 hours ago
A
Donation
B
Voluntary Social Work
C
Aid
D
Help
বাংলাদেশে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমকে ইংরেজিতে Voluntary Social Work বলা হয়। এটি এমন একটি সমাজসেবামূলক উদ্যোগ, যা কোনো আর্থিক লাভ বা ব্যক্তিগত স্বার্থের উদ্দেশ্যে নয়, বরং সম্পূর্ণভাবে মানবকল্যাণ ও সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
এই ধরনের কার্যক্রমে ব্যক্তি, দল বা সংগঠন সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে। তারা সমাজে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা, সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে।
স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের প্রধান ক্ষেত্রসমূহ হলো:
১) দারিদ্র্য নিরসন: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয় ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
২) শিক্ষা উন্নয়ন: নিরক্ষরতা দূরীকরণ, প্রাথমিক শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান।
৩) স্বাস্থ্যসেবা: বিনামূল্যে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালনা।
৪) পরিবেশ রক্ষা: বৃক্ষরোপণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি।
৫) দুস্থ ও অসহায় মানুষের সহায়তা: অনাথ, প্রতিবন্ধী, প্রবীণ ও বিপর্যস্ত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো।
অতএব, স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম এমন এক মানবিক প্রচেষ্টা, যা সমাজে সহযোগিতা, সহানুভূতি ও ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামাজিক কল্যাণ সাধন করে।

0
Updated: 11 hours ago
কোন আইনটি সামাজিক নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কযুক্ত?
Created: 13 hours ago
A
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯
B
পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫
C
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন ১৯২৩
D
যোগাযোগ আইন ২০০৬
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ হল একটি আইন যা ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতে প্রণীত হয়েছিল এবং বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সংশোধিত আকারে কার্যকর রয়েছে। এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা পেশাগত রোগে আহত বা মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের উপর নির্ভরশীলদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। আইনটি শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
-
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ সরাসরি সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ এটি শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।
-
অন্যান্য আইন যেমন জনশৃঙ্খলা বা সুরক্ষামূলক আইন সামাজিক নিরাপত্তার মূলধারার বাইরে পড়ে, যা মূলত জনসাধারণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে।

0
Updated: 13 hours ago
'বাস্তবায়নের ফাঁক' কথাটি নির্দেশ করে?
Created: 11 hours ago
A
দক্ষতার অভাব
B
সঠিক তদারকি না থাকা
C
মূল্যায়ন না করা
D
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মধ্যে ব্যবধান
বাস্তবায়নের ফাঁক’ (Implementation Gap) বলতে বোঝানো হয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তব প্রয়োগের মধ্যে থাকা ব্যবধান বা অসঙ্গতি। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে সরকার বা প্রতিষ্ঠান কোনো উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা তৈরি করলেও বাস্তব পর্যায়ে তা সঠিকভাবে কার্যকর হয় না। ফলে নির্ধারিত লক্ষ্য ও বাস্তব ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য দেখা দেয়।
এই ফাঁক সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ হলো প্রশাসনিক অদক্ষতা, নীতিগত অসামঞ্জস্য, এবং সামাজিক বা রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এটি একটি সাধারণ সমস্যা।
বাস্তবায়নের ফাঁক সৃষ্টির প্রধান কারণগুলো হলো:
১) আমলাতান্ত্রিক জটিলতা: অতিরিক্ত নিয়মকানুন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করে।
২) দুর্নীতি: তহবিলের অপব্যবহার ও স্বজনপ্রীতি উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা হ্রাস করে।
৩) পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের অভাব: যথাযথ মনিটরিং না থাকায় প্রকল্পের অগ্রগতি সঠিকভাবে মূল্যায়িত হয় না।
৪) অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে প্রকল্প অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
৫) সামাজিক সমস্যা: দারিদ্র্য, অশিক্ষা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করে।

0
Updated: 11 hours ago