প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা বলতে কী বুঝায়?
A
আলাদা ব্যবস্থা
B
মূল ধারার সাথে সম্পৃক্ত করা
C
ভাতা দেওয়া
D
পুনর্বাসন করা
উত্তরের বিবরণ
প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা (Inclusive Services for Persons with Disabilities) বলতে এমন একটি সমতাভিত্তিক ও বৈষম্যহীন সামাজিক ব্যবস্থা বোঝায়, যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের সকল ক্ষেত্রে — যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি ও সামাজিক অংশগ্রহণে — সমান সুযোগ পায়।
এই সেবার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিবন্ধীদেরকে সমাজের সক্রিয় ও উৎপাদনশীল নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, যাতে তারা অন্যদের মতোই তাদের সম্ভাবনা অনুযায়ী অবদান রাখতে পারে। এজন্য প্রয়োজন হয় নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী উপযোগী পরিবেশ, নীতি এবং অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা।
অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবার প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১) বৈষম্যহীনতা: প্রতিবন্ধীদের প্রতি কোনো প্রকার সামাজিক, অর্থনৈতিক বা কাঠামোগত বৈষম্য না থাকা।
২) সমান সুযোগ: শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক অংশগ্রহণে সমান অধিকার প্রদান।
৩) অ্যাক্সেসিবিলিটি (Accessibility): পরিবহন, ভবন, যোগাযোগব্যবস্থা ও প্রযুক্তিকে প্রতিবন্ধীবান্ধব করা।
৪) সহায়ক প্রযুক্তি ও সুবিধা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও শারীরিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
৫) সামাজিক অংশগ্রহণ: সমাজের মূলধারায় প্রতিবন্ধীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা।
অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা এমন একটি ব্যবস্থা, যা সমতা, মর্যাদা ও অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করে সমাজে সকলের অন্তর্ভুক্তি ঘটায়।
সে অনুযায়ী, অপশন “B” উত্তর হিসেবে বেশি এপ্রুপ্রিয়েট।

0
Updated: 11 hours ago
বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালু হয় কত সালে?
Created: 1 day ago
A
১৯৬৯ সালে
B
১৯৭০ সালে
C
১৯৭৯ সালে
D
১৯৮০ সালে
বিদ্যালয় সমাজকর্মের ইতিহাস অনুযায়ী, এর সূচনা ঘটে ১৯০৬–০৭ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য সমাজকর্ম পদ্ধতি ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ধারণা অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে।
বাংলাদেশে ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয় সমাজকর্ম কার্যক্রম চালু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, অনুপস্থিতি, পারিবারিক সমস্যা, এবং সামাজিক অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। তবে ১৯৮৪ সালে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, যদিও এর গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা আজও বিদ্যমান।
প্রশ্নে একটি অস্পষ্টতা রয়েছে, কারণ এখানে কোন দেশের বিদ্যালয় সমাজকর্মের কথা বলা হয়েছে তা নির্দিষ্ট নয়। তবে প্রদত্ত অপশনগুলো বাংলাদেশের বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালুর প্রসঙ্গের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উত্তর হবে অপশন “a”।

0
Updated: 1 day ago
গ্রামীন সমাজসেবা (Rural Social Service) কত সালে শুরু হয়?
Created: 13 hours ago
A
১৯৬৪ সালে
B
১৯৬৫ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
গ্রামীণ সমাজসেবা (Rural Social Service) হলো সমাজকল্যাণমূলক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি, যার লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং সমাজে স্বনির্ভরতা প্রতিষ্ঠা করা। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী উন্নয়ন ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
এই কর্মসূচি ১৯৭৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়, এবং এটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল সমাজসেবা অধিদপ্তর। প্রথম পর্যায়ে ১৯টি তৎকালীন থানায় এ কার্যক্রম চালু করা হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর সরকার ১৯৭৭ সালে আরও ২১টি থানায় এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে, যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়।
গ্রামীণ সমাজসেবার মূল উদ্দেশ্য ছিল—
১) দরিদ্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে স্বনির্ভরতা গঠন।
২) স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা সমাধান করা।
৩) নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কার্যকর সেবা প্রদান।
৪) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে সমাজে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

0
Updated: 13 hours ago
"A person with a problem comes to a place where a professional representative helps him by a given process"-
ব্যক্তি সমাজকর্মের উপাদান সম্পর্কে এই উক্তিটি কার?
Created: 1 day ago
A
H.H Perlmen
B
Mary Richmond
C
Jane Adams
D
Laura Reynolds
সমাজকর্মী এইচ. এইচ. পার্লম্যান (H. H. Perlman) প্রদত্ত উক্তি— “A person with a problem comes to a place where a professional representative helps him by a given process” — ব্যক্তি সমাজকর্মের মৌলিক কাঠামো ও কার্যপ্রণালীকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। পার্লম্যান এই উক্তির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন, একজন ব্যক্তি যখন কোনো সামাজিক বা ব্যক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হন, তখন তিনি এমন একটি প্রতিষ্ঠানে আসেন যেখানে একজন প্রশিক্ষিত সমাজকর্মী পেশাগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে সমস্যার সমাধানের পথে পরিচালিত করেন। এই ধারণাটি ব্যক্তি সমাজকর্মের কেন্দ্রীয় ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
উক্তিটির ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সমাজকর্ম প্রক্রিয়াটি কেবল সাহায্য নয়, বরং ব্যক্তিকে সক্ষম করে তোলা, যাতে তিনি নিজের সমস্যা বোঝতে পারেন এবং সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারেন। সমাজকর্মী এখানে নির্দেশক, সহায়ক ও সমর্থনদাতা হিসেবে কাজ করেন।
এই উক্তিটি ব্যক্তি সমাজকর্মের পাঁচটি অপরিহার্য উপাদান স্পষ্টভাবে তুলে ধরে—
১) সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি (The Person): যিনি কোনো ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক বা মানসিক সমস্যায় জর্জরিত।
২) সমস্যা (The Problem): যে কারণ বা পরিস্থিতি ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও মানসিক স্থিতি ব্যাহত করে।
৩) স্থান (The Place): সেই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যেখানে সমাজকর্মের পেশাগত সেবা প্রদান করা হয়, যেমন হাসপাতাল, স্কুল বা সমাজসেবা কেন্দ্র।
৪) পেশাদার সমাজকর্মী (The Professional Representative): প্রশিক্ষিত ও দক্ষ সমাজকর্মী, যিনি পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা ও নীতির আলোকে ক্লায়েন্টকে সহায়তা করেন।
৫) একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া (The Process): সমাজকর্মের ধাপে ধাপে পরিচালিত কার্যক্রম— যেমন সম্পর্ক স্থাপন, সমস্যা নির্ণয়, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন— যার মাধ্যমে সেবাদান সম্পন্ন হয়।
অতএব, পার্লম্যানের এই উক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের কাঠামো, লক্ষ্য ও প্রক্রিয়াকে সংক্ষেপে উপস্থাপন করে, যা সমাজকর্ম পেশার ভিত্তিমূল ধারণা হিসেবে সর্বাধিক স্বীকৃত।

0
Updated: 1 day ago