শহর সমতি উন্নয়ন (Urban Community Development) যাত্রা শুরু হয়-
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
উত্তরের বিবরণ
শহর সমষ্টি উন্নয়ন (Urban Community Development) কর্মসূচির সূচনা ঘটে ১৯৫৫ সালে, যা বাংলাদেশের সমাজকর্ম ও সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
এই কর্মসূচি মূলত শহুরে দারিদ্র্য, বস্তি সমস্যা, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং সামাজিক অস্থিরতা মোকাবিলার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়। জাতিসংঘের সমাজকল্যাণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার একই বছরে ঢাকা আরবান কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন করে।
পরীক্ষামূলক প্রকল্প:
১৯৫৫ সালে ঢাকার কায়েতটুলী এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে শহর সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প (Urban Community Development Project - UCDP) চালু করা হয়। এর মাধ্যমে শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, সচেতনতা সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সংগঠন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য ছিল:
১) শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা।
২) বস্তিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
৩) জনগণের অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।
৪) নগর সমাজকল্যাণ কার্যক্রমে সম্প্রদায়ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলা।
১৯৫৫ সালে ঢাকার কায়েতটুলীতে শুরু হওয়া এই শহর সমষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প ছিল বাংলাদেশের শহর সমাজকর্মের প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়াস, যা পরবর্তীতে নগর সমাজকল্যাণ কর্মসূচির ভিত্তি স্থাপন করে

0
Updated: 11 hours ago
কোনটি সামাজিক গবেষনার পদ্ধতি নয়?
Created: 1 day ago
A
সাক্ষাৎকার পদ্ধতি
B
সামাজিক জরিপ পদ্ধতি
C
পরীক্ষা মূলক পদ্ধতি
D
ঐতিহাসিক পদ্ধতি
সামাজিক গবেষণার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে সমাজ, মানুষ ও সামাজিক ঘটনার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা হয়। প্রধান পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা, জরিপ, কেস স্টাডি, নৃবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, পরীক্ষণ পদ্ধতি ইত্যাদি। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো:
১) তুলনামূলক পদ্ধতি: দুটি বা ততোধিক সমাজ বা সম্প্রদায়ের মধ্যে তুলনা করে তাদের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্ধারণ করা হয়। এটি সমাজের কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিশ্লেষণে সহায়ক।
২) জরিপ পদ্ধতি: এটি সবচেয়ে প্রচলিত গবেষণা পদ্ধতি, যেখানে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত প্রশ্নপত্র বা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পরিসংখ্যানভিত্তিক তথ্য সংগৃহীত হয়।
৩) কেস স্টাডি (Case Study): কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান বা ঘটনার গভীর ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে বিষয়টির প্রকৃতি ও প্রভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
৪) নৃবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি: গবেষক সরাসরি সমাজে মিশে গিয়ে মানুষের আচরণ, সংস্কৃতি ও জীবনধারা পর্যবেক্ষণ করেন। এটি সমাজের অন্তর্নিহিত সংস্কৃতি ও সম্পর্কের ধরন বোঝার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
৫) গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা:
-
গুণগত গবেষণা: মানুষের আচরণ, মনোভাব, অভিজ্ঞতা ও সামাজিক ঘটনার গভীরতা বিশ্লেষণ করে।
-
পরিমাণগত গবেষণা: পরিসংখ্যান, সংখ্যা ও পরিমাপযোগ্য তথ্যের মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কিত ধারণা তৈরি করে।
৬) পরীক্ষণ পদ্ধতি বা পরীক্ষামূলক পদ্ধতি: নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কোনো ঘটনার কারণ ও ফলাফল নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়।
৭) ঐতিহাসিক পদ্ধতি: অতীতের ঘটনা, দলিল ও ঐতিহাসিক নথি বিশ্লেষণ করে বর্তমান সমাজের বিকাশ ও কাঠামো বোঝা হয়।
উল্লেখ্য, সাক্ষাৎকার পদ্ধতি সামাজিক গবেষণার মূল পদ্ধতি নয়; এটি কেবল একটি তথ্য সংগ্রহের উপায় (Data Collection Method) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং উত্তর হবে অপশন "a"।

0
Updated: 1 day ago
বেকারত্ব হলো-
Created: 13 hours ago
A
ভালো কাজ বা চাকুরী না পাওয়া
B
কাজে অনিচ্ছুক থাকা
C
কাজ করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কোন কাজ না পাওয়া
D
কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলা
বেকারত্ব (Unemployment) হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে একজন কর্মক্ষম ও কর্মে আগ্রহী ব্যক্তি প্রচলিত মজুরিতে কাজ খুঁজলেও কাজ পেতে ব্যর্থ হন। এটি শুধু একটি ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, বরং সমাজ ও অর্থনীতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।
বেকারত্বের ফলে শ্রমশক্তি অব্যবহৃত থাকে, যার কারণে উৎপাদন কমে যায়, দারিদ্র্য বৃদ্ধি পায় এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এটি সমাজে নির্ভরশীলতার প্রবণতা বাড়ায় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর করে।
অতএব, বেকারত্ব এমন একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা, যেখানে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী আয় উপার্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
সে অনুযায়ী, উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত হবে অপশন “C”।

0
Updated: 13 hours ago
সমাজকর্ম প্রশাসনের তিনটি (৩টি) স্তর কী কী?
Created: 11 hours ago
A
জাতীয়, জেলা ও উপজেলা
B
নিয়ন্ত্রণ, প্রচার ও সমন্বয়
C
পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন
D
বাজেট, লোকবল ও সেবা
সমাজকর্ম প্রশাসন (Social Work Administration) হলো সমাজকর্ম কার্যক্রমের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়নের একটি সংগঠিত প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা কর্মসূচিগুলো দক্ষভাবে পরিচালিত হয়। সমাজকর্ম প্রশাসনের কার্যকর পরিচালনার জন্য এটি সাধারণত তিনটি মৌলিক স্তরে বিভক্ত।
সমাজকর্ম প্রশাসনের তিনটি স্তর হলো:
১) নীতি নির্ধারণ (Policy Making):
এই স্তরে সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, এবং কার্যক্রমের নীতি নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে সমাজের প্রয়োজন ও সমস্যার ভিত্তিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার দিক নির্দেশ করে।
২) কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন (Program Planning and Implementation):
এই স্তরে নির্ধারিত নীতি ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি, প্রকল্প ও কার্যক্রম প্রণয়ন করা হয়। এরপর সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ, জনবল ও সংগঠনগত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
৩) মূল্যায়ন ও সংশোধন (Evaluation and Modification):
এই স্তরে সমাজকর্ম কর্মসূচির কার্যকারিতা ও ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়। প্রয়োজন অনুসারে কর্মপদ্ধতি বা নীতিতে পরিবর্তন ও সংশোধন এনে কার্যক্রমকে আরও উন্নত করা হয়।
সমাজকর্ম প্রশাসনের এই তিনটি স্তর একে অপরের পরিপূরক, যা একসাথে সমাজকল্যাণমূলক কাজকে কার্যকর, পরিকল্পিত ও টেকসই করে তোলে।
সে অনুযায়ী, অপশন “C” উত্তর হিসেবে বেশি উপযুক্ত।

0
Updated: 11 hours ago